নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নতুন দিনের স্বপন

আমি এই মুহুতে জাপানে ধাতব বিজ্ঞানের উপর পি এইচ ডি করছি । ভাল লাগে বই পরতে । অবসরে ফেসবুক বা ব্লগ এ লিখি । স্বপ্ন দেখি ভাল মানুষ হওয়ার ।

কুয়াসা

জীবন কে ভালবাসি

কুয়াসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

৫০০০ ভুয়া PhD ডিগ্রিধারী দ্বিপদী জন্তুর ক্কিছা ও বাংলাদেশের উন্নয়নঃ

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২২

কয়েকদিন আগে পত্রিকায় দেখেছিলাম, সামাজিক উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী ভারতের চাইতে প্রায় সব ক্যাটাগরিতে এগিয়ে আছে । সংবাদটা আমাকে এতটা মুগ্ধ করেছিল যে আমি দৌড়ে আমার ভারতীয় সিনিয়রকে জানাতে গিয়েছিলাম । বেচারা মুখ কালো করে করে আমাকে জানিয়েছিল “ভারতের এই অবস্থার জন্য দায়ী তাদের দেশের লাগামহীন দুর্নীতি ।” পরবর্তীতে সে আমাকে ভারতের দুর্নীতির একটি ভয়ংকর গল্প বলেছিল । ভারতে নাকি ইউনিভার্সিটি বা কলেজের শিক্ষক হতে গেলে বড় অংকের টাকা ঘুষ থুক্কু বৈধ স্পিড মানি দিতে হয় (মাননীয় অর্থমন্ত্রীর জবানে কইলাম)। আমি তাকে জিগাইলাম কত বড় ? তার উত্তর ছিল “২ মিলিয়ন রুপি বা প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা !” এটা শুনে আমি তেমন চমকাইনি, কারন আরও বড় চমক ছিল তার পরের কথায়। এই শিক্ষকেরা যখন অধ্যাপক হয় তখন নাকি এই প্রদত স্পিড মানি তুলার জন্য অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতা সম্পন্ন ছাত্রদেরও কিছু স্পিড মানির বিনিময়ে PhD ডিগ্রি দেয় । শুনে আমার মনে হয়েছিল অন্তত শিক্ষার এই স্তরে আমরা ভারতের চাইতে ভাল । কিন্তু আমার স্বপ্ন ভাঙল যখন পত্রিকায় দেখলাম “আমাদের বঙ্গদেশে নাকি ৫০০০ ভুয়া PhD ডিগ্রিধারী দ্বিপদী জন্তু মাথা উঁচু করে সর্বত্র বিচরন করছে ।” কোথায় নেই তারা ? সরকারের সচিব থেকে ইউনিভার্সিটি প্র-ভিসি সর্বত্র তাদের অবাধ বিচরন । ভারতে তো তাও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, গবেষণা কিছু করে, পরে ৪/৫ বছর পরে ডিগ্রি অর্জন করে । আর আমাদের দেশে তো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়াও লাগে না, ঘরে বসে McDonald’s এর পিঁজা পাওয়ার মত PhD ডিগ্রি হাতে পেয়ে যায় ।

যাইহোক, হতাশার কথা বলতে বা শুনতে কোনটাই ভাল লাগে না । তাই, আগের কথাই ফিরে আসি, “বাংলাদেশ ভারতের চাইতে প্রায় সব ক্যাটাগরিতে এগিয়ে আছে” । আমি আশাবাদী আগামি দিনে আমরা বাকিগুলতেও তাদের ছাড়িয়ে যাব । এর প্রধান কারন আমাদের সাধারন মানুষের দেশপ্রেম । আমি অসাধারনদের মাঝে লোক দেখানো দেশপ্রেম ছাড়া আর কিছু দেখি না । তাদের দেশ প্রেম শুধু কথাই কথাই ইসলামবাদীদের গালি দেওয়া, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নানা ভঙ্গিমায় বলা, মানুষকে অপমান করা, ফ্যাশন আকারে লাল-সবুজের টিশার্ট গায়ে ঝুলিয়ে এখানে ওখানে বড় বড় কথা বলা আর মিডিয়াতে নিদেন পক্ষে ফেসবুক এ গলাবাজির মাঝেই সীমাবদ্ধ । তারা সারাদিন দেশপ্রেমের তুবড়ি ছুরে, রাতে রুমে ফিরে ফ্রাইড রাইস খেয়ে, বেনসন সিগারেট ঠোটে ঝুলিয়ে ভারতীয় কোন চ্যানেলে একখানা হিন্দি বা ইংলিশ ছবি দেখে আরামে নিদ্রা যায় । আর পরের সকালে উঠে আবার দেশপ্রেমিকের মুখোস পরে নেয় ।

আমি দেশপ্রেম দেখি, সেই গ্রামবধুর মাঝে যে NGO বা সমিতি (গ্রামে প্রচলিত) থেকে কিছু টাকা নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সংসারের অভাব দূর করেছে । সেই কৃষকের মাঝে যে ভোর বেলাই ফজরের নামায পরে মাঠে গিয়ে সোনালি ধানের দিকে তাকিয়ে আল্লহকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে । সেই মসজিদের ইমাম বা মন্দিরের পুরোহিত যারা মন খুলে ঈশ্বরের কাছে দেশের জন্য প্রার্থনা করছে । সেই বস্ত্র বালিকার মাঝে যে নিজের রক্ত পানি করে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঠিক রাখছে । কারন, তাদের কাছে দেশপ্রেম বিজ্ঞাপন করে বেড়ানোর বিষয় না। তাদের কাছে লাল-সবুজের পতাকা ফ্যাশন করার জিনিস না । তাদের কাছে এই পতাকা কুরআন বা গীতার মতই পবিত্র ।আর কুরআন বা গীতার মত তারা পতাকাকে ধারন করে বুকের গভীরে আর ঘরের সব চাইতে পবিত্র ও সুন্দর জায়গাটাতে ।

আমি জানি, বাংলাদেশ পারবে । আপনার মত উচ্চ শিক্ষিত (ক্ষেত্রবিশেষে নকল ডিগ্রিধারী) মৌসুমি (২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২৬ শে মার্চ বা ১৬ ই ডিসেম্বরের দেশপ্রেমিকরা) বা লোক দেখানো দেশপ্রেমিকের কোন সাহায্য ছাড়াই, বাংলাদেশের অল্পশিক্ষিত সত্যিকারের দেশ প্রেমিকেরা বাংলাদেশ কে জয়ী করবে । সেই দিনের প্রতিক্ষাই...............।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৪

অ রণ্য বলেছেন: অবশ্যই হবে_______হবেই হবে

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৬

ফুলঝুরি বলেছেন: সুপার লাইক।
এই কথা গুলা বলে আমি ধরা খেয়েছি।মুখোশ ধারি মানুষে ভরে গেছে জগত। কষ্টকর হলেও সত্য যে অন্যদের চোখে এরাই বেশি ফেমাস আর সত্যবাদি। কারন এরা দালালি করতে পারে।আর যেখানে যেমন মুখোশ পরা দরকার সেখানে সেটা পরে।

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

কুয়াসা বলেছেন: ধন্যবাদ ফুলঝুরি, কে ফেমাস আর কে ফেমাস না, এটা বড় ব্যাপার না । মুখোস ধারীদের জয় সাময়িক । আমরাই জিতবো অবশেষে আর একই সাথে জিতবে আমাদের সোনার বাংলা

৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
ভারতে ত্রিশ লক্ষ রুপী দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হয়?

৫| ২২ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

কুয়াসা বলেছেন: সালাহউদ্দীন সাহেব, আমি লিখেছি “২ মিলিয়ন রুপি বা প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা !” তাহলে ত্রিশ লক্ষ রুপী না, বিশ লক্ষ রুপি । আর এটা আমার শোণা কথা, আমার ভারতীয় ল্যাবমেট এর কাছে থেকে। যাইহোক, আমি এতে অবাক হয় নাই । কারন আমাদের দেশেও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার হতে গেলে একটা ভাল রকমের বৈধ স্প্রীড মানি দেওয়া লাগে । আর ভারতে প্রতিযোগিতা বেশি, স্প্রীড মানির অঙ্কটা বেশী হবে স্বাভাবিক । যদিও তারা আমাদের মত অনার্স পাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার নেয় না । PhD ডিগ্রিধারী ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় না। আর আমাদের দেশের সহকারী অধ্যাপক আসে বিদেশে মাস্টার্স করতে । এটা বিদেশীদের কাছে আমাদের শিক্ষা বাবস্থাকে হাস্যকর করে তোলার মত ।

দুঃখিত, অনেকদিন ব্লগ খুলি নাই, তাই আপনার মন্তবের উত্তর দিতে পারি নাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.