![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন কে ভালবাসি
জাপানে আসার কয়েকদিন পূর্বে পত্রিকাতে দেখেছিলাম, বাংলাদেশী এক তরুন রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি আবিস্কার করেছে, যার সাহায্যে ঘরে বসে ক্ষেতের পানির পাম্প বন্ধ করা যায় । খবরটা পড়ে আমার খুব ভাল লেগেছিল । যদিও, জাপানে এসে দেখলাম এই প্রযুক্তিটা অনেক পুরনো । আমাদের ল্যাব এর ডিভাইস গুলোকে আমি অনেক সময় এইভাবে কন্ট্রোল করতে দেখেছি । তাই এটা নিয়ে বেশি হৈচৈ করা আমাদের ক্ষুদ্রতাকে প্রকাশ করার সামিল । একি কথা সত্য আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশের হট টপিক গবেষণা, drone গবেষণা নিয়ে । বাংলাদেশের তরুণদের drone আবিস্কার নিয়ে বাংলাদেশী মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলতে এত বেশি লাফালাফি দেখি মনে হই, এটাই আমাদের তরুন মেধাবিদের জীবনের এক মাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। যেন, drone আবিস্কার করতে পারলেই আমরা অমরত্ব কে জয় করতে পারব । যদিও, প্রায় আধা যুগ আগে পৃথিবীর মানুষের সাথে drone নামক চালক বিহীন বিমানের পরিচয় । আমেরিকা, জাপান তো বটেই, আফ্রিকার অনেক গরিব দেশের ছেলে-মেয়েদের কাছেও drone গবেষণা অনেক সাধারন বিষয় ।
আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশী তরুনেরা অনেক মেধাবি । সুতরাং, drone গবেষণার মত বিলাসী নকল (মৌলিক না) গবেষণায় সময়, শ্রম ও মেধা নষ্ট না করে, বাংলাদেশের সাধারন মানুষের উপকার হয় বা আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হয়, এমন কিছু নিয়ে তাদের গবেষণা করা উচিত । যেমন, কৃষি সরঞ্জাম (যন্ত্রাংশ) এর আধুনিকীকরন । জাপানে আমার বিশ্ববিদ্যালয় কিছুটা গ্রামীণ জনপদে অবস্থিত । তাই জাপানিস গ্রামীণ জীবন বাবস্থা বা জাপানিস কৃষি বাবস্থা সচক্ষে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে । এখানে ফসল লাগানো থেকে ফসল তোলা প্রজন্ত, কায়িক পরিশ্রম বা হাতের ব্যবহার করা হয় না । সব কিছু করা হয় যান্ত্রিক বাবস্থার সাহায্যে । ঠিক একি কাজে বাংলাদেশে কিছু অঞ্ছলে শ্রমিক পাওয়া যায় না বিশেষত ফসল তোলার সময়ে । পাইলেও, কৃষককে উচ্চ শ্রম মূল্য পরিসদ করতে হয় । অনেক সময় লেবার এর অভাবে ক্ষেতের ফসল ক্ষেতেই নষ্ট হয় । যে দেশে চীন থেকে সামান্য একটা LED touch লাইট আমাদানি করতে হয়, সেই দেশে drone গবেষণা নামক নকল (মৌলিক না) গবেষণা উটক বিলাসীতা বৈ আর কি ? তাই, টি. ভি. বা পত্রিকার পাতায় মুখ দেখানোর গবেষণার চাইতে, সাধারন মানুষের উপকার হয় এমন নকল (মৌলিক না) গবেষণা করায় উত্তম ।
©somewhere in net ltd.