নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাসিক মুকুল

সম্পাদনা করি আমিরাত-বাংলা মাসিক মুকুল। ভালবাসি মা, মাটি ও মানুষকে..

লুৎফুরমুকুল

আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।

লুৎফুরমুকুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরুভূমির উদ্যান দুবাই হাত্তা

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মরুভূমির উদ্যান দুবাই হাত্তা

লুৎফুর রহমান



৪৫ ডিগ্রী তাপমাত্রা। এতো গরমের দিন। সময় ২০১২ সালের অক্টোবর মাস। কুরবানীর ঈদের ঘুরাতে পরবাসী পর্যটকের দল নিয়ে দেখতে গেলাম দুবাইয়ের সবচে' প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জায়গা 'হাত্তা'। আমাদের দলে আছেন মায়নুর ভাই, টিপু ভাই, সাইদুল ভাই, তাজুল ভাই, জাবেদ ভাই ও আমি। এতোদিন মধ্যপ্রাচ্য মরুভূমির দেশ শুনলেও দুবাই শহরে আধুনিকতায় ঢেকে যাওয়ায় মরুভূমি চোখে পড়েনি আমাদের। কিন্তু হাত্তার মরুর পাহাড় যেন সেই ক্ষিধে মিটিয়ে দিলো। রোদের আলোয় বালিগুলো ঝিকিমিকি করে। উপরে গরম আর নীচের বালির গরমে হাঁপিয়ে ওঠে প্রাণ। তবুও আমাদের মতো ভ্রমাণার্থীদের থেমে নেই পথচলা। হাত্তা দুবাইয়ের শেষ সীমানা। অপরপ্রান্তে দেশ ওমান। এই হাত্তা দিয়ে অনেক অবৈধ বাংলাদেশী বর্ডার পাস করে ওমান হয়ে দেশে ফেরেন। এদের ফিঙার প্রিন্ট থাকেনা তাই আবার অবাধে দুবাইতে ঢুকতে পারেন। হাত্তায় রয়েছে আর্মি ক্যাম্প। রয়েছে আর্মি টাওয়ার। গাড়ি আটকিয়ে চেক করা হয় সবাইকে। বিশেষ করে বাংলাদেশী নাগরিক দেখলেই তল্লাশির মাত্রাটা আরো বেশি হয়ে দাঁড়ায়। হাত্তার মরুভূমি যেন খা খা করে মানুষের বিহনে। আবার মানুষ হাত্তায় হিয়ে একসাথে চার ধরণের বিনোদনের সুযোগ পান।



হাত্তা আরব আমিরাতের সবচে' প্রাচীন এলাকা হিসেবে ধারণা করা হয়। দুবাই শহর থেকে ১১৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত এটি। অস্হেটাদশ শতাব্দির মিলিটারী টাওয়ার ছাড়াও রয়েছে সপ্রিতম শতাব্দির জুমা মসজিদ। হেরিটেজ গ্রাম হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে হাত্তাকে। প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীর এ জায়গায় রয়েছে ৩০টি দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। পেছনে রয়েছে সুবিশাল হাত্তা পাহাড়। আর ডিসার্ট সাফারি এডভেঞ্চার বাড়িয়ে দেয় ভ্রমণ পিপাসুদের। কৃত্রিম ভাবে পাহাড়ের মাঝে তৈরী লেকও বিনোদন আর রোমাঞ্চের মাত্রাকে আরো বাড়ায়। ইউরোপের পর্যটকরা প্রায় ১০০ মিটার উপরের পাহাড় থেকে ঝাপ দিয়ে পড়ে লেকে। তাই আরব আমিরাতে এসেছেন ঘুরতে কিন্তু হাত্তা না দেখলে যেন আমিরাতকেই দেখা হয়নি আপনার। এতিহ্যবাহি পাহাড়ি গ্রাম বানাতে হাত্তায় পুণ:নির্মাণ কাজ করেছে দুবাই সরকার। ৫০০ বছর আগের আরবীদের জীবন যাপন সম্বন্ধে ধারণা নিতে আপনাকে সাহায্য করবে হাত্তা। আরবিক ও ইংরেজী নির্দেশনা আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেবে একেকটি জায়গা ও স্থাপনার সাথে। সরকারের পক্ষ থেকে এখানে তৈরী করা হয়েছে ভ্রমাণার্থীদের জন্যে একটি কক্ষও। অন্য কক্ষে সংরক্ষণ করা হয়েছে সরকারি বারুদ ও ক্ষেপনাস্ত্র। এখানে পুরনো আরবীদের সংস্কৃতি তাদের রান্না বান্না কামার কুমার ও উট চড়ানোর দৃশ দেখা যায় জীবন্তভাবে।



হাত্তা পোঁছার আগে দেখা মিলবে একটি ছোট পার্কের। পার্কটিতে রয়েছে নানা আকৃতির ডেসার্ট সাফারি গাড়ি ও সাথে ডাইড। ঘণ্টাওয়ারী গাড়ি ভাড়া করে মরুভূমির পাহাড়ে ড্রাইভ করতে পারেন আপন মনে। এখানে আরবীরাও সবসময় পরিজন নিয়ে আসে। সেই সাথে রোমাঞ্চকর ভ্রমণার্থীরাও আসেন নানা দেশ থেকে। তাই সকল ভ্রমাণার্থীদের কাছে হাত্তা একটি রোমাঞ্চকর জায়গার নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাত্তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যও প্রাচীন স্থাপনা চোখ আটকে দেয়। ঠিক তেমনি এখানে গড়ে ওঠা কৃত্রিম লেক, ডিসার্ট সাফারি ও আশপাশের মরু উদ্যান হাতছানি দিয়ে ডাকে ভ্রমণপেমীদের।



লেখক: সম্পাদক, মাসিক মুকুল, দুবাই।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২৬

আজীব ০০৭ বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.