নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাসিক মুকুল

সম্পাদনা করি আমিরাত-বাংলা মাসিক মুকুল। ভালবাসি মা, মাটি ও মানুষকে..

লুৎফুরমুকুল

আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।

লুৎফুরমুকুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুরুঙ্গা গণহত্যা

০৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

বুরুঙ্গা গণহত্যা

লুৎফুর রহমান



বলতে পারো একাত্তরে নেয় নি কে পোষ মানি?

মুক্তিযুদ্ধের অধিনায়ক আতাউল গণি ওসমানী।

একাত্তরে তাঁর এলাকায় পাকরা মিশন চালায়

গণহারে মারলো মানুষ এবং বাড়ি জ্বালায়।



একাত্তরের ছাব্বিশে মে সময় সকাল দশ

বুরুঙ্গাতে পাকরা নামায় লাশের পাহাড় ধ্বস।

একাত্তরে মারলো সেদিন আটাত্তর জন লোক

কাঁন্দে আকাশ, কাঁন্দে বাতাস, সবাই করে শোক।



বুরুঙ্গারই হাই স্কুলের কোমল সবুজ ঘাসে

সবুজ লতা লাল হলো যে বাঙালিদের লাশে

পালিয়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচালো জীবিত কেউ আছে

শহিদ সবার রক্ত জমা পুবের কাঁঠাল গাছে।



______________________________

সিলেটের ওসমানীনগরের বুরুঙ্গায় ১৯৭১ সালের ২৬ মে ৭৮ জন নিরীহ মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল বুরুঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ। এলাকায় জানানো হয় সভায় সকলের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। ২৬ মে সকালে মৃত্যু ভয় নিয়ে শান্তি কার্ড দেয়া হবে জেনে অনেকেই হাজির হন সেখানে বিদ্যালয়ের মাঠে। সকাল ৯টার দিকে রাজাকার আব্দুল আহাদ চৌধুরী (ছাদ মিয়া), ডাঃ আব্দুল খালিকসহ পাক বাহিনীর ক্যাপ্টেন নূর উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পাক সেনা জীপে চড়ে বুরুঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থান নেয়। রাজাকার ও হানাদারদের একটি দল গ্রামে ঢুকে পুরুষদের মিটিং-এ আসার তাগিদ দিতে থাকে। সকাল ১০ টায় সমবেত লোকদের মধ্যে হিন্দু-মুসলমানকে আলাদা করে কয়েক শ মুসলমানকে কলেমা পড়িয়ে ছেড়ে দিয়ে হিন্দুদের আটকে রাখা হয়। ৩টি এলএমজির সামনে আটককৃতদের বেঁধে লাইনে দাঁড় করায়। এক সময় ক্যাপ্টেন নূর উদ্দিনের ইশারায় এলএমজি গুলো এক সাথে গর্জে উঠলে, মুহূর্তেই মানুষের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়ে উঠে সবুজ মাঠ, মাটিতে লুঠিয়ে পড়ে অনেক গুলো দেহ। আহতদের চিৎকারে ভারি হয়ে উঠে বুরুঙ্গার চারদিক। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ২টিন কেরোসিন ঢেলে দেহ গুলোর ওপর আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পরদিন সকালে আবার কয়েকজন পাক সৈন্য বুরুঙ্গায় এসে মৃত দেহ গুলোকে বুুরঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বর্তমান গণকবরে একটি গর্ত খুঁড়ে মাটি চাঁপা দেয়। পাক বাহিনীর এই ধ্বংসযজ্ঞ থেকে শিক্ষক প্রীতি রঞ্জন চৌধুরী ও নিবাস চক্রবর্তী এবং রানু মালাকার, দিনেশ বৈদ্যসহ কয়েক জন দৌড়ে পালিয়ে বেঁচে যান।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫

লুৎফুরমুকুল বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.