নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাসিক মুকুল

সম্পাদনা করি আমিরাত-বাংলা মাসিক মুকুল। ভালবাসি মা, মাটি ও মানুষকে..

লুৎফুরমুকুল

আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।

লুৎফুরমুকুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহিদ বীরবিক্রম জগৎজ্যোতি দাস

২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

শহিদ বীরবিক্রম জগৎজ্যোতি দাস
লুৎফুর রহমান

তাঁর কথা লিখি যদি পুরো এক বইতে
শেষ হবে পাতা তবু পারবোনা কইতে
ভাটির এই ছেলে তিনি হাওরের ভাইরে
তাঁর ত্যাগ সাহসেতে স্বাধীনতা পাইরে।

তাঁর গড়া দাস পার্টি মুক্তিতে চমকায়
তাঁরে মিলে মারতে রাজাকার ধমকায়
সেক্টর সাত তাঁর খুন করো পারো তে
ট্রেন নেন যুদ্ধের গৌহাটি ভারতে ।

বুক জুড়ে দেশ তাঁর হাত দুয়ে অস্ত্র
স্বাধীনতা চায় শুধু গায়ে এক বস্ত্র
মা'র বুকে রক্তটা জ্যোতি দাস চায় না
আটমাস মারে তাই পাকি ঢের হায়না।

বিজয়ের মাস আগে যুদ্ধেতে লড়তে
গুলি লেগে সাথি ভাই মাটিতে পড়তে
দমেনি তো হাত তাঁর দেশপ্রেম বক্ষে
অমনিতে গুলি লাগে তাঁর এক চক্ষে
দেহ তাঁর পড়ে যায় পাশের এক বিলে যে
তাঁর দেহ তুলে নেয় রাজাকার মিলে যে
বাজারেতে রাখে তাঁরে নিষ্টুর ঝুলিয়ে
তাঁর দশা দেখাতে যে লোক ডাকে বুলিয়ে
কেটে কেটে দেহ খান নদীতে যে লাশ যে
রয়ে যায় তাঁর স্মৃতি জগজ্যোতি দাস যে।


__________________________________________
** হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামের জীতেন্দ্র দাসের কনিষ্ঠ পুত্র জগৎজ্যোতি। শৈশব থেকে জ্যোতি শান্ত স্বভাবে হলেও ছিলেন প্রতিবাদী, জেদি, মেধাবী ও সাহসী । শিক্ষাজীবন কেটেছে সুনামগঞ্জে। বাংলার ভাটি অঞ্চলের সুনামগঞ্জ-কিশোরগঞ্জ-নেত্রকোনা এবং হবিগঞ্জের হাওরাঞ্চল নিয়ে গঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধের ৭ নং সেক্টর। এ সেক্টরের কমান্ডারের দায়্ত্বি পান তৎকালীন মেজর শওকত আলী। টেকেরঘাট সাব-সেক্টরের দায়্ত্বি প্রাপ্ত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অধীনে প্রথমত জগৎজ্যোতি বিভিন্ন আক্রমণে অংশগ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে প্রশিক্ষিত চৌকস যোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত হয় গেরিলা দল, যার নাম দেওয়া হয় ফায়ারিং স্কোয়াড ‘দাস পার্টি’। ১৪ নভেম্বর যুদ্ধের এক পর্যায়ে ম্যাগজিন লোড করে শত্রুর অবস্থান দেখতে মাথা উঁচু করতে মুহুর্তে ১টি গুলি জগৎজ্যোতির চোখে বিদ্ধ করে। মেশিনগান হাতে উপুড় হয়ে পাশের বিলের পানিতে নিশ্চল হয়ে ঢলে পড়েন জ্যোতি । পাকবাহিনীর সহযোগী রাজাকারেরা রাতে জ্যোতির লাশ খুজে পেয়ে পাকবাহিনীকে খবর দেয় এবং জ্যোতির মৃতদেহটি আজমিরীগঞ্জ বাজারে নিয়ে যায়। রাজাকাররা জ্যোতি হত্যার ঘটনা ছড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য জ্যোতির অর্ধমৃত দেহ কে আজমিরীগঞ্জ গরুর হাটে একটি খুঁটির সঙ্গে ঝুলিয়ে পেরেক মেরে জনসমক্ষে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। হাফপ্যান্ট ও গেঞ্জি পরা জ্যোতির নিথর দেহটি কোন সৎকার ছাড়া ঝুলে থাকে । এক সময় জ্যোতির দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয় কুশিয়ারা নদীতে। জগৎজ্যোতির বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধের কাহিনী সিলেটের সেই অঞ্চলের মানুষের কাছে এখনে মুখে মুখে ফেরে। তিনি বীর বিক্রম উপাধি লাভ করেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.