![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।
কুলাউড়া পৃথিমপাশা গণহত্যা
লুৎফুর রহমান
কুলাউড়ার পৃথিমপাশার নাম শোনেছে কেউ?
একদা সেথা জমিদারের ছিল যে ঘ্যাউ ঘ্যাউ।
বুকের তাজা রক্ত দিয়ে জমিদারের হাতে-
বন্ধ হলো জমিদারি দেশের মাঝে তাতে।
একাত্তরে নবাব ইয়াওর রক্ত খেকো ছিল
হানাদেরি গ্রামে আসার দাওয়াত সে দিলো
অর্ধশত লোকের নাম দিলো সেদিন সাথে
পাকহানারা এসে প্রথম হামলা চালায় রাতে।
কানাই সেতুর উপর প্রথম ঝরলো ফুলের কলি
আবুল, রেহান, মুন্সি হলেন দেশের তরে বলি
এরপরেতে কুমুদ ডাক্তার এবং আছলিম মিয়া
প্রহাদ মাস্টার, কুনু গেলেন জীবনটা যে দিয়া।
ওই নবারের প্ররোচনায় ঝরলো হাজার প্রাণ
পৃথিমপাশার শয়েক নারী হারালো সব মান।
যুদ্ধ শেষে নবাব ইয়াওর পালিয়ে গেলো ভারতে
ঘৃন্না জানাও সবে তারে মন থেকে ভাই পারোতে।।
____________________________________
কুলাউড়ায় পৃথিমপাশায় জমিদারদের শোষণও বুকের রক্তে শেষ হয়। একাত্তরে নবাব আলী ইয়াওর খান পাকিস্তানিকে আসার নিমন্ত্রণ দেয় দূত দিয়ে আর ৫০ জনের একটি তালিকা পাঠায়। পাক হানাদার বাহিনী পৃথিমপাশায় এসেই সোজা চলে যায় আলীনগর সীমান্ত ফাঁড়িতে। ইপিআর বাহিনী ধ্বংসের জন্য। কিন্তু ইপিআর বাহিনী পালিয়ে গেলে বাবুর্চি আবুল ও তার ভাই রেহানকে ধরে নিয়ে আসে। রবিরবাজারে পাক বাহিনীর সাথে নবাবের মোলাকাত হয় আর নবাব নিরীহ এক রিকাশাঅলা কে তুলে দেয় পাকিদের হাতে। পরে কানাই সেতুর উপর এনে হত্যা করে আবুল, রেহান, আবদুর রহমান মুন্সি ও রিকশাঅলাকে। এমনভাবে সদপাশা গ্রামের ডাক্তার কুমুদ রঞ্জন দে, পৃশিপাশার আছলিম আলী, প্রহ্লাদ মাস্টার, কুনু মিয়াকে পদ্মদিঘীর পাড়ে হত্যা করে। অনেক মা বোনকে ধর্ষণ করায় নবাব। পরে দেশ স্বাধিন হবার কালে প্রাণ বাঁচাতে ঘাতক নবাব ভারতে পালিয়ে যায়।
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪২
লুৎফুরমুকুল বলেছেন: হুম
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৯
অমিত অমি বলেছেন: নির্মম।