![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।
কুলাউড়া বরমচাল গণহত্যা
লুৎফুর রহমান
একাত্তরে বরমচালে নিকষ কালো রাতে
হত্যা এবং নারী ছিল তোতা মিয়ার হাতে
সাথি ছিল আবুল মিয়া এবং নজির আলী
একাত্তরে করলো এরা বুকটা মায়ের খালি।
আব্দুল আহাদ ছিলেন তখন নৌবাহিনীর লোক
ছেড়ে দিলেন চাকরি তিনি দেশপ্রেমেতেই বুক
রাজাকার তোতার মুখে "ইধার'' ছিল বুলি
পাকহানারা ধরলো আহাদ মারলো করে গুলি।
এরপরেতে বরমচালে চলে মরণ কার্য-
প্রাণ হারালেন ইউপি সচিব মোহন ভট্টাচার্য
সুনীল, শরৎ, মখলিছেরা ছিলেন সেথা মুক্তি
মারলো তাঁদের কাফের বলে রাজাকারের যুক্তি।
এমনতর কাণ্ড দেখে কাঁন্দে মন আর তনু
স্বাধিনতার বলি হলেন কুলাউড়ায় পনু
মুখোমুখি যুদ্ধে শহিদ মাধবপুরের শহর
বরমচালে সেদিন ছিল দুঃখ নামের নহর।
____________________________________
একাত্তরে কুলাউড়ার বরমচালে সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হয়। আহবায়ক ছিলেন নৌবাহিনীর ছাকরি ছেড়ে আসা আব্দুল আহাদ ওরফে শায়েস্তা মিয়া। রাজাকার তোতা মিয়ার দেখানো পথে পাকবাহিনী একদিন তাঁর বাড়িতে আক্রমণ করে বুলেটের পর বুলেট দিয়ে তাঁকে হত্যা করে। এরপর বরমচাল ইউপি সেক্রেটারি রমণী মোহন ভট্টচার্যকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। আরো হত্যা করে-মুক্তিযোদ্ধা শরৎ উল্লা, মখলিছ মিয়া ও সুনীলকে । ওইদিনই গ্রামের বাসিন্দা পনু মিয়াকে ধরে নিয়ে কুলাউড়ায় হত্যা করা হয়। আর পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহিদ হন মাধবপুরের শহর উল্লা। রাজাকার তোতা মিয়ার সাথে সহযোগি রাজাকার ছিলো নজির আরী ও আবুল মিয়া।
©somewhere in net ltd.