![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।
বড়লেখায় গণহত্যা
লুৎফুর রহমান
শাহবাজপুর-কুলাউড়া রেল লাইনের কাছে
বড়লেখার দুটি লোকের হাড় লুকানো আছে।
বড়লেখা রেল লাইনের মসজিদেরই পাশে
শহিদ জহির, ইব্রাহিমে মুক্ত সুখেই হাসে।
একাত্তরে বড়লেখায় মারলো তাঁদের পাকি
ছড়িয়ে গেল খবর তখন রইলো না আর বাকি
মসজিদেরই খুঁটির সাথে বেঁধেই করে গুলি
দেশের তরে সাতই মে উড়লো তাঁদের খুলি।
একইদিনে একটি মায়ের তিন পুত্র সবাই
জুড়ি নদীর পাড়ে করে পাকবাহিনী জবাই
ন্যাপকর্মী হরি এবং তাঁর আপন দু ভাই
এই তথ্য তাজুলেরই বইতে আমি পাই।
হরি এবং বলাই সেদিন সেখানেতেই শেষ
এক সাগর রক্তে পেলাম স্বাধিন বাংলাদেশ
নিবাস সেদিন নদীর স্রোতে প্রাণে বেঁচে যান
আহা করুণ কষ্ট কথা স্বাধিনতার গান।
_________________________________
মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানায় ৭ মে পাকিস্তানি আসে। প্রথম এসেই বড়লেখা বাজারের কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেললাইনের কাছ থেকে জহির আলী নামের এক যুবক আর ইব্রাহিম আলীকে ধরে আনে। পরে বড়লেখা বাজারের রেল লাইন মসজিদের খুঁটিতে বেঁধে তাঁদের গুলি করে হত্যা করে। এরপর ন্যাপকর্মী হরিচন্দ্র দাশ আর তাঁর দু ভাই বলাইচন্দ্র দাশ এবং নিবাসচন্দ্র দাশকে বড়লেখা থেকে ধরে নিয়ে জড়ি নদীর তীরে জবাই করে বালুচাপা দিয়ে রাখে। হরি এবং বলাই সেখানেই মৃত্যুবরণ করলেও নিবাস সেদিন গড়িয়ে নদীর স্রোতে ভেসে প্রাণ বাঁচান।
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৫
লুৎফুরমুকুল বলেছেন: ধিক তাদের ধিক
রক্ত খেয়ে রাক্ষুসেরা
ফেলে পানের পিক।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪
চন্দ্রপ্রেমিক বলেছেন: কবিতার প্রতিটি বর্ণে খুজে পাই পাকিদের প্রতি চরম ক্ষোভ আর ঘৃনা। আবার দুঃখ পাই আজও তাদের দম্ভোক্তি দেখে। করুন বেদনাময় পিশাচিত কান্ড করে আবার ফোকলা দাতে হাসে। ধিক ! তোদের সেই মুখে। ধিক !