নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাসিক মুকুল

সম্পাদনা করি আমিরাত-বাংলা মাসিক মুকুল। ভালবাসি মা, মাটি ও মানুষকে..

লুৎফুরমুকুল

আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।

লুৎফুরমুকুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বড়লেখা গোলসা গণহত্যা

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

বড়লেখা গোলসা গণহত্যা
লুৎফুর রহমান

বড়লেখা শহরতলির গোলসা নামের গ্রামে
রাজাকারের প্ররোচনায় পাকবাহিনী নামে
বাড়ি - বাড়ি তল্লাশিতে ধরলো শেষে চার
নিবাস, নগেন, হরি, মতি ছেলে ছিল কার?

বাংলাদেশের ছেলে তাঁরা গোলসা গাঁয়ে বাড়ি
ধরে নিলো পাকবাহিনী ছাড়লো তাদের গাড়ি
অবশেষে থামলো গাড়ি বড়লেখার বাজার
চারজনারই বুকে ছিল স্বপ্ন শতেক হাজার।

পাকির ছেলে হারামজাদা ডাইকা বলে ওভাই
চারজনাকে সবাই মিলে দাও করে দাও জবাই
জবাই করার পরে তাঁদের যেই গিয়েছে ফেলে
নিবাস দেখেন বেঁচে আছেন এখনো চোখ মেলে।

কাটা গলায় পালিয়ে গেলেন জান বাঁচালেন তাই
একইদিনে দক্ষিণভাগের শফিক মরেন ভাই
গোলসা গ্রামের পথচারি মনোরঞ্জন দাশ
পাকির গুলি লাগলো বুকে হলেন শেষে লাশ।
__________________________________
বড়লেখার গোলসা গ্রামে রাজাকারের প্ররোচনায় হামলা চালায় পাকবাহিনী। বাড়িঘর লুট আর ধর্ষণ চলে। বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে নগেন্দ্র চন্দ্র দাশ, মতিলাল দাশ, হরিপদ দাশ ও শ্রীনিবাস দাশকে ধরে নিয়ে বড়লেখা তাঁবুতে আসে। অমানুষিক শারিরীক নির্যাতন করে তাঁদের উপর। একসময় জবাই করা হয় চারজনকে। তাঁদের দেহ নিয়ে জগাধড়ির বাড়ির কাছে ফেলে দিয়ে আসে। কাটাগলায় পালিয়ে যান প্রাণে বাঁচা শ্রীনিবাস। বাকিরা এখানেই মৃত্যুর সাথে আলিঙ্গণ করেন। পরে শ্রীনিবাসের পরিবার তাঁকে বাঁচাতে শান্তি কমিটির আহবা্য়ক আবদুল আজিজের দরবারে হাজিরা দিতো। একইদিন দক্ষিণভাগের শফিক আহমদকে হত্যা করে এবং মনোরঞ্জন দাশকে গোলসার রাস্তায় গুলি করে হত্যা করে।
সূত্র: সিলেটে গণহত্যা: তাজুল মোহাম্মদ, পৃষ্ঠা-১৪৫

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.