![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।
বড়লেখা শাহবাজপুরে গণহত্যা
লুৎফুর রহমান
বড়লেখার শাহবাজপুরে অনেক চায়ের বাগান
ঘুমিয়ে পড়া লোককে তখন মুক্তিসেনা জাগান।
রাজাকার মিছবাহ, লতিফ এবং চুনু মিয়া-
গাঁয়ের মেয়ে দিতো শালার পাকির কাছে নিয়া।
পাকবাহিনী পনেরো মে পারিজুপার গাঁয়ে
ঘিরে ফেলে একটি বাড়ি ডানে এবং বাঁয়ে।
একই মায়ের তিনটি ছেলে ধরলো সেদিন শেষে
ইরশাদ, জমির, হারিছ তাঁরা মরলো সেথা হেসে।
নূর নামের ডাক্তার ছিলেন মহান অনেক গুণে
মারলো তাঁরে হাই স্কুলে স্বপ্ন কিসের বুনে?
স্বপ্ন ছিল স্বাধিন দেশের হবেন ফুলের মালি
তারপরে আলীপুরের মারলো মাহমুদ আলী।
শামসু নামের মুক্তিসেনার ভাই ও ভাবি মারে
পাননি রেহাই আতুয়া গ্রামের প্রিয় মতিন স্যারে।
কুমারশাইলের ইনছাম ও পড়শি খুরশিদ আলী
পাকবাহিনী করলো শত মায়ের যে বুক খালি।
বাবরু মিয়ার যুবতি মেয়ে মরলো শেষে ধর্ষণে
আমিরুনও তারই স্বীকার রেপ নামে বর্ষণে
এমন আরো নাম না জানা দেশের মেয়ে আট
লালসা মেটায় পাক-রাজাকার করে ভাগ- বাট।
সাংবাদিক তবারকের পিতাকে নেয় ধরে
ছাড়লো শেষে কিন্তু তাঁর বাড়িটা লুট করে
শাহবাজপুরে একাত্তরের আহা দুখের দিন
শহিদ হলেন যাঁরা আজো বাজান সেই বীণ।
__________________________________
বড়লেখার সীমান্তবর্তী এলাকা শাহবাজপুর। একাত্তরের ১৫ মে পারিজুপারে হামলা চালিয়ে একইপরিবারের তিনভাই ইরশাদ, জমির ও হারিছ আলীকে ধরে নেয় পাকবাহিনী সাথে অন্য পরিবারের লাল চান্দকে। স্থানিয় মুক্তির নাম জানতে তাঁদের ওপর বেদম প্রহার চলে। তাঁরা মুখ খুলতে নারাজ হলে শাহবাজপুর হাই স্কুলের কাছের আতারগুলে তাঁদের হত্যা করা হয়। এই এলাকার সজ্জন ডাক্তার আব্দুন নুর কে ধরে নেয় শাহবাজপুর হাই স্কুলে। বিদ্যালয় কক্ষে অনেক নির্যাতন করে পরে বিদ্যালয়ের পশ্চিম কোণায় গুলি করে হত্যা করে। আলীপুরের মাহমুদ আলী মুক্তিযুদ্ধের সংবাদ সংগ্রাহক থাকার কারণে ধরে ফেলে পাকবাহিনী। তাঁর বাড়িতে হাজির হয়ে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। শামসু মিয়া নামের মুক্তিসেনার ভাই ও ভাবিকে হত্যা করে হানাদারবাহিনী। কুমারশাইলের ইনছাম আলী ও খুরশেদ আলীকে হত্যা করে গুলি করে। হাইস্কুলের প্রবীণ শিক্ষক আবদুল মতিন আতুয়া গ্রামের অধিবাসি ছিলেন। তাঁকে ধরে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। বাবরু মিয়ার যুবতি মেয়েকে ধরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পাকবাহিনী। সহযোহিতায় ছিল স্থানীয় রাজাকার আব্দুল লতিফ, মিছবাহ ও চুনুমিয়া। এমনকরে আমিরুন নেছা সহ আরো নাম না জানা আট মেয়েকে ধর্ষণ করে কুত্তারা। সাংবাদিক-সাহিত্যিক তবারক হোসাইন ছিলেন স্বাধিনতা সংগ্রামের একজন বীর সংগঠক। এই অপরাধে তাঁর পিতাকে ধরে নেয় পাক বাহিনী। পরে তাঁকে ছেড়ে দিলে তাঁরা পালিয়ে বাঁচেন। কিন্তু তাঁর বাড়ি লুট করে।
©somewhere in net ltd.