![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।
জুড়ি গণহত্যা
লুৎফুর রহমান
একাত্তরের মে মাসের সাত তারিখের দিন
জুড়ি আসে পাকবাহিনী বাজায় মরণ বীণ।
ছাত্রলীগের বদরুলেরি দোকানটি দেয় পুড়ি
শ্মশাণ রূপে হয় তখনি শ্যামল বরণ জুড়ি।
আজিজুল ও ধরলো আরেক পাগল কুটি মিয়া
তাঁদের তখন হত্যা করে নদীর তীরে নিয়া।
রাজাকারের প্ররোচনায় এমপিএ হাজীর বাড়ি
থামলো সেদিন পাকহানাদের সেনাভরা গাড়ি।
রাজাকার আর পাইক্কা মিলে করলো বাড়ি লুট
এমন শালায় করলো শুরু জুড়ির বুকে চুট।
জুড়ি নদীর তীরে আসে জাঙ্গিরা্ইয়ের গাঁয়ে
সত্তরোর্ধ দেবকে তারা গুলি করে পায়ে।
পশুরমতো পাকের সেনা করলো তাঁরে বন্ধিরে
অবশেষে মারলো তাঁরে নিজের বাড়ির মন্দিরে।
______________________________________
মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলায় ৭ মে আসে পাকবাহিনী। এসেই শুরু করে গণহত্যা। ছাত্রলীগ নেতা বদরুল হোসেনের জুড়ি বাজারস্থ বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। সেই সাথে মাল লুট করে নিয়ে যায় রাজাকারের প্ররোচনায়। একইদিনে আজিজুল হক এবং পাগল কুটি মিয়াকে নিজের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে জুড়ি নদীর তীরে লাইন ধরিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এমনকি লাশগুলোও তুলে নিতে দেওয়া হয়নি। পরে বড়লেখা থানার এমপিএ হাজী তৈমুছ আলীর বাড়ি লুটপাট করে পুড়িয়ে দেয়। পরে জুড়ি নদীর তীরে অবস্থিত জাঙ্গিরাই গ্রামের সত্তরোর্ধ বৃদ্ধ সুরেন্দ্র কুমার দেবকে বন্ধি করে তাঁরই মন্দিরে নিয়ে তাঁকে হত্যা করে জানোয়াররা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪
মাকড়সাঁ বলেছেন: বাহ! বেশ লিখেছেন।