![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।
কমলগঞ্জ গণহত্যা ও গণধর্ষণ
লুৎফুর রহমান
কমলগঞ্জের শ্রীপুরের সুন্দরের ওই বাড়ি
থামলো সেদিন জলপাই রঙা সেনা ভরা গাড়ি
সুন্দর এবং ভাই হাছন কাউকে না পেয়ে
নারী শিশু করলো জুরুম দেখলো সবাই চেয়ে।
বাড়ি পুড়ে মেরে গেলো তাঁর চাচাতো ভাই
তাজুলের গণহত্যার বইতে খবর পাই
হাছনের স্ত্রী এবং পাশের বাড়ির বউ
ধরে নিলো তখন তাঁদের লোভে ছিল মৌ।
শ্রীমঙ্গলের ওয়াপদা বিশ্রামের ওই ঘরে
আটকে রেখে ওঁদের তখন বেইজ্জতি করে
বড়গাছের আরেক নারী গণহারে রেপ
মারা গেলেন নির্যাতনে সাক্ষি স্বাধীন ম্যাপ।
এরপরেতে দুটি লোকের প্রাণটা নিলো কেড়ে
সাবাশ হুজুর রাজাকারে বল্লো যে হাত নেড়ে
এবার নারী নির্যাতনে আনলো নারী তিন
করলো তাঁদের রেপ যখনি ছিল তখন দিন।
লীগের নেতা খুন করলো নামটি ছিল খান
যাঁর মুখেতে ছিল তখন স্বাধীন দেশের গান
হাই স্কুলের ছাত্রী কুলসুম বয়স ছিল চৌদ্দ
মারলো তাঁরে গুলি করে ভাবছি তাঁদের অদ্য?
___________________________
শ্রীপুর গ্রামের সুন্দর বখশ ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। শমসেরনগর যুদ্ধের কিছুদিন পর পাকিস্তানি তাঁর বাড়িতে হানা দেয় তাঁকে আর তাঁর ভাই হাছন বখশকে না পেয়ে বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। নারী ও শিশুদের উপর নির্যাতন শেষে যাবার বেলায় হাছনের বউ ও পাশের বাড়ির এক ভাগনা ও তার বউকে ধরে নিয়ে যায়। শ্রীমঙ্গল ওয়াপদা রেস্ট হাউসে ৩/৪ দিন নির্যাতন ও ধর্ষণ করে। পরে ভাগনা ও তার বউকে ছেড়ে দিলেও ২৫দিন ভর নির্যাতন করে হাছনের বউকে। বড়গাছ থেকে এক মহিলাকে ধরে এনে উপর্যুপরি ধর্ষণ করলে সেখানে তিনি মারা যান। প্রকাশ্যে দিবালোকে এমন করে তিনজন মহিলাকে ধর্ষণ করে রাজাকারের সহযোগিতায়। লুট ও বাড়িঘর পুড়ানোর উল্লাসে মেতে ওঠে পাকিস্তানি ও রাজাকার বাহিনী। কমলগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রি ১৪ বছরের কুলসুমা বেগমকে গুলি করে হত্যা করে।
©somewhere in net ltd.