![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।
হবিগঞ্জে গণহত্যা
লুৎফুর রহমান
সিআর দত্ত, মেজর রবের জন্মমাটির তীরে
বারি, সাঈদ রাজাকারে পাকির সাথে ফিরে
হবিগঞ্জের মাটি তখন রক্তে যে হয় লাল-
নবীন মাঝি শক্ত হাতে উড়ায় নায়ের পাল।
মারলো প্রথম প্রহরী ও কেরানি আর ও.সি
শান্তি নামের পাহাড় তখন গেল বুঝি ধ্বসি
এরপরেতে হামলা চলে দর্জি ব্যাটার ঘরে-
ব্যক্তিবিরোধ নিয়ে দালাল আনলো শেষে ধরে।
নিয়ে গেলো খোয়াই তীরে বাপ-ছেলে সবাই
একসাথে সেদিন তাঁদের করলো ওরা জবাই
ফারুক নামের মুক্তিসেনা সঙ্গে তাঁর এক সাথি
মারলো তাঁদের পাকবাহিনী ছিল যখন রাতি।
রোগী দেখতে মাঠে ছিলেন সালেহ নামের ডাক্তার
মারলো তাঁরে কেড়ে নিলো স্বাধীনতার বাক তার
একাত্তরের ভয়াল দিনের তারিখ তেরো জুন
মুক্তিপিতা ফিরোজকে ভাই করলো পাকি খুন!
______________________________
হবিগঞ্জে জন্মেছেন সেক্টর কমান্ডার সিআরদত্ত, মেজর রব সহ বহু কৃতি পুরুষ। আবার শান্তি নামের অশান্তি তথা রাজাকারি করেছে আব্দুল বারি এডভোকেট, সৈয়দ কামরুল হাসান, মরহুম সাঈদ উদ্দিন প্রমুখ। হবিগঞ্জে শায়েস্তাগঞ্জ খাদ্যগুদামের প্রহরী, কেরানি ও ও.সিকে হত্যার মধ্য দিয়ে ওখানকার গণহত্যা শুরু হয়। একে একে চলতে থাকে হত্যার পর হত্যা। স্থানীয় দালালের ব্যক্তিবিরোধের জের ধরে আফাজ নামের এক দর্জিকে বাড়ি থেকে ধরে এনে তাঁর দু পুত্র জয়নাল ও নুরুলসহ তিনজনকে খোয়াই নদীর তীরে জবাই করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। জগৎপুরের মুক্তিযোদ্ধা ফারুক ও এক সাথিকে ছাতিয়ান ইউপি চেয়ানম্যান পাকিস্তানির হাতে তুলে দিলে এঁদেরকে হত্যা করা হয়। ডা. সালেহ আহমদ রোগী দেখতে বাইরে গেলে রাজাকারের ইশারায় তাঁকেও হত্যা করে পাকবাহিনী। এরপর ১৩ জুন মুক্তিপিতা শাহ ফিরোজ আলীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করে নরপশুরা।
©somewhere in net ltd.