![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।
নবীগঞ্জের মোহাম্মদপুর গণহত্যা
লুৎফুর রহমান
একাত্তরের নভেম্বরের একুশ তারিখ রাতে
পাকসেনারা হামলা চালায় রাজাকারের সাথে
ঈদুল ফিতর পরের দিনে মোহাম্মদপুর এসে
রাজাকার আর পাকবাহিনী খিলখিলিয়ে হেসে।
পুড়লো বাড়ি ধরলো নারী দেশের দুজন বোন
মানটা নিয়ে করলো ওদের সেই শালারা খুন
ধরলো অনেক মানুষ তারা থামলো ছড়ার পাশে
পাঁচটি পরাণ ঠিক তখনি রূপটা নিলো লাশে।
কালি, বীরেন, সজল, পুলিন এবং ছিলেন বাণী
পরাণ দিলেন দেশের তরে ইতিহাসেই জানি
বধ্যভূমে মাটি চাপায় করলো তাঁদের শেষ-
রক্ত দিয়ে দিলো ওঁরা স্বাধীন বাংলাদেশ!
___________________________
১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর। ঈদুর ফিতরের পরের দিন। নবীগঞ্জের মোহাম্মদপুরে পাকবাহিনী এসে হামলা চালায় রাতের বেলা স্থানীয় রাজাকারের সহযোগিতায় বাড়িঘর পুড়িয়ে দুজন নারীকে নিয়ে যায়। উপর্যুপরি ধর্ষণের কারণে একজনের মৃত্যু সেখানে হলেও অন্যজন ক্ষত শরীর নিয়ে বেঁচে যান। পরে গ্রামের লোকদের ধরে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে কল্যাণপুর ছড়ার পাশে এসে ৫জনকে আলাদা করে গুলি করে হত্যা করে, তাঁরা হলেন-কালিপদ চক্রবর্তী, বীরেন্দ্র চক্রবর্তী, বাণী চক্রবর্তী, সজল চক্রবর্তী ও পুলিন চন্দ পলদার। বাদবাকি পুরুষদের নির্যাতন শেষে ছেড়ে দিলে তারা বেঁচে যান। তবে লাশগুলে বধ্যভূমে মাটি চাপা দেয়া হয। এঁদের স্মৃতিচিহ্ণ রক্ষায় সেখানে কোন স্মৃতিসৌধ আজো গড়ে ওঠেনি।
©somewhere in net ltd.