![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।
হবিগঞ্জের গাজীপুর গণহত্যা
লুৎফুর রহমান
একাত্তরের এগারো মে এলো পাকের জনা
মারলো প্রথম ষাট বছরের বৃদ্ধ আহা কণা
পাকের তরফ কননি বলে মারলো ইসাক মিয়া
যে মানুষটা হজ্ব করেছেন সৌদি আরব গিয়া।
এরপরেতে গাজীপুরেই একাত্তরের জুন-
জামাত নেতার সুপারিশে হলেন অনেক খুন
হাসিম নামের জামাত নেতা চেয়ারম্যানও ছিলো
তার ইশারায় পাকবাহিনী অনেক পরাণ নিলো।
মরম, ইকরাম, কাদির, আলম, রহিম এবং আলী
মরলো তাঁরা করলো পাকে গাজীপুরটা খালি
ফজলু, খালেক, মন্তাজ, আব্দুল, জহুর ও দু নারী
তেরোজনা মরলো সেদিন ভুলতে কি কও পারি?
সাক্ষি আছে সেদিনকার ওই সাগরদিঘীর পাড়
আরো আছে সাক্ষি তারই পাশেরই বাঁশঝাড়
যোগিন, মনাফ, হাফিজ, রশিদ, সিরাজ ও নূর
ইছাকদেরই প্রাণে এলো স্বাধীন একটা ভোর।
_____________________________________
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের গাজীপুরে ১১ মে আসে পাকবাহিনী। প্রথমে ৬০ বছরের বৃদ্ধ কণা মিয়াকে মেরে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। এরপর খোদাভীরু হাজী ইহসাহ মিয়াকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গুলি করে তাঁর দেহ ছিন্নভিন্ন করে দেয়। জুন মাসে ২ নং ইউপি চেয়ারম্যান জামাত নেতা আবদুল হাসিমের নির্দেশনায় চলে গণহত্যা। গ্রাম থেকে সবাইকে ধরে এনে সাগরদিঘীর পাড়ে দাঁড় করি ১৩জনকে হত্যা করে। এঁরা হলেন-গাজীপুরের মহরম আলী, ইকরাম, কারিশা বস্তির কাদির, পাকা বাড়ির আলম, ঠেকেরঘাটের আলী, রহিম এবং তার স্ত্রী ও যুবতী মেয়ে, চেগানগরের ফজলু, খালেক, মন্তাজ, আব্দুল ও জহুর। এছাড়াও নানা সময়ে হত্যা করেছে অনেক মানুষ। যাঁদের নাম পাওয়া গেছে-মনাফ, হাফিজ, রশিদ, সিরাজ, ইছাক, গোগিন্দ্র ও নীর হোসেন।
সূত্র: সিলেটে গণহত্যা: তাজুল মোহাম্মদ, পৃষ্ঠা-১৯১। প্রথম প্রকাশ: ১৯৮৯।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪
নিমগ্ন বলেছেন: হায় হায়!!!! এতো এতো গণহত্যা।