![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।
পার্ক
লুৎফুর রহমান
পাশ করাতেন স্যার তোমাকে
বিজ্ঞানেতে মার্কে
তাই দেখেছি ঘুরছো দুজন
শহরের ওই পার্কে।
জানার ছড়া
লুৎফুর রহমান
ষাট সেকেণ্ডে এক মিনিট
ষাট মিনিটে ঘণ্টা
একটিদিনে আটটিপ্রহর
এবং চব্বিশ ঘণ্টা।
শনি, রবি, সোম, মঙ্গল
বুধ, বৃহস, শুক্রবার
সাতটি বারে এক সপ্তাহ
চার সপ্তাহে মাস আবার।
সাত দিনে এক সপ্তাহ
তিরিশ দিনে মাস
এক বছরে লাগে...
ঋতু এবং মাসের ছড়া
লুৎফুর রহমান
বৈশাখ এবং জৈষ্ঠ নিয়ে \'গ্রীষ্ম\' আসে
আম-কাঁঠালের মিষ্টি মধুর দৃশ্য আসে।
আষাঢ় এবং শ্রাবণ নিয়ে \'বর্ষা\' হয়
মেঘের ফাঁকে রোদ হাসে যেই ফর্সা হয়।
ভাদ্র এবং আশ্বিন নিয়ে \'শরৎ\' আসে
কাশফুলেতে...
প্রজাপতি
লুৎফুর রহমান
প্রজাপতি প্রজাপতি
মজা অতি, মজা অতি
কই
তোমার বাড়ির ফুল বাগানে রই।
ফুল বাগানে যাদু আছে
পরীর বড় দাদু আছে
আর-
নানা ফুলের সুভাস চমৎকার।
প্রজাপতি, প্রজাপতি
ক যা পতি, ক\' যা পতি
কী-
শুনবে কী কও খুকি তুমি হি...
নামতার ছড়া-৩
লুৎফুর রহমান
তিন একে তিন
রাত আগে না দিন?
তিন দু গুণে ছয়
হবে তোমার জয়।
তিন তিরিক্কা নয়
নিশ্চয়, নিশ্চয় !
তিন চারা বারো
তুমি বাবা পারো।
তিন পাঁচা পনেরো
জোরটা বাড়াও মনেরও।
তিন ছয় আঠারো
বাকি আছে...
নামতার ছড়া-২
লুৎফুর রহমান
দুই একে দুই
নকশীকাঁথা করতে সেলাই
লাগে সূতা-সুঁই।
দুই দু গুণে চার
নকশীকাঁথা প্রিয় বাবার
এবং আমার মা\'র।
তিন দু গুণে ছয়
নকশীকাঁথার মাঝে আঁকা
দেশের কথা রয়।
চার দু গুণে আট
পল্লীকবির বইটা আছে
\'নকশীকাঁথার মাঠ\'।
পাঁচ দু গুণে...
ছড়াকার
(কোন কিছুর প্রতিবাদে-)
লুৎফুর রহমান
মেজাজটা কড়া কার
যেই হলো ছড়াকার
চাই আরো পড়া কার
যেই নাকি ছড়াকার
তাল-লয় গড়া কার
সেও ভাই ছড়াকার।
প্রতিবাদে লড়া কার
যেই খাঁটি ছড়াকার।
দাঁত নয় নড়া কার
সেই, সেই ছড়াকার।
সংখ্যার ছড়া
লুৎফুর রহমান
এক-দুই-তিন
তাক ধিনা ধিন ধিন
চার এবং পাঁচ
নাচরে খুকি নাচ।
ছয়-সাত-আট
পাশেই খেলার মাঠ
নয়-দশ-\'গারো
সারেগামা পারো?
বারো-তেরো-চৌদ্দ
পাখি-ফুলের পদ্য
পনেরো এবং ষোল
ফুলগুলি কী তুলো?
সতেরো-আঠারো-ঊনিশ
ফুল তুলে সই গুণিস?
সবার পরেই বিশ
ফুল আমাকে দিস।
বর্ণমালার ছড়া: ব্যঞ্জণবর্ণ
লুৎফুর রহমান
ক-লিদের গ্রামে নাকি
খ-রগোশ থাকতো
গ-রু আর খরগোশ
ঘ-রে এক রাখতো
ঙ-র মতো ডাকতো।
চ-মকালে বিজলিটা
ছ-ন্দের তালেতে
জ-ল খেতে গেলে তারা
ঝ-াল লাগে গালেতে
ঞ-র মতো চালেতে।
ট-মটম গাড়ি নাকি
ঠ-াসা ছিল শহরে
ড-র লাগে ভূত এসে
ঢ-ং করে...
বর্ণমালার ছড়া: স্বরবর্ণ
লুৎফুর রহমান
অ-লি এসে বসলো দেখি
আ-মার বাগে সই
ই-তির হাতে ছিল সেদিন
ঈ-দের জামা, বই।
উ-ম পেয়ে সে ঘুম ধরেছে
ঊ-ষা মণির ছাও
ঋ-তু খালা বল্লো তুলে
এ-ক প্লেটে খাও।
ঐ-রাবতের মা-
ও-জপাড়ায় আসলে পরে
ঔ-ষধ খেয়ে যা।...
মানুষ হয়ে ওঠো
(কবি মানাক্কা আপুর মেয়ের জন্মদিনে)
লুৎফুর রহমান
কবির গর্ভে জন্ম তোমার, ফুল হয়ে তাই ফুটো
জন্মদিনে এই কামনা -মানুষ হয়ে ওঠো।
বাবা তোমার স্বপ্ন চোখে আকাশ সমান আশা
বাবা-মায়ের বুকটা যে মা...
বারোটা !
লুৎফুর রহমান
ফোন দিয়ে যেই জান ডেকেছি
বাজিয়ে দিলো বারোটা
তোমার বাপে ধমকি দিলো
কওনি ক্যান তার ওটা।
হাকালুকির মাঝি
(হাকালুকি হাওরের কবি কালাম আজাদ মহোদয়)
লুৎফুর রহমান
চারদশকে মনের সুখে মানুষ তিনি গড়েন রে
তাঁর দেখানো পথে এখন হাজার মানুষ লড়েন রে।
হাকালুকির কবি তিনি বাংলাদেশের ফুল রে
তাঁর সুভাসে যায় ছুটে সব...
প্রজাপতির ছড়া
লুৎফুর রহমান
ওর বধূটা রাজা মানে
মিটি কথায় হাসে
দুবেলা ভাত না পেলেও
দারুণ ভালবাসে।
তাঁর কথাতে লোকরা উঠে
তাঁর কথাতেই বসে
ঘরের রাণী উল্টো চলে
দেখছে হিসেব কষে।
প্রথমজনা প্রজা এবং
দ্বিতীয়জনা পতি
খোকা-খুকি তোমরা বলো
কার যে সুখের গতি?
পহেলা মুহররম
লুৎফুর রহমান
পঞ্জিকার ওই পাতা ঘুরে
মুহররমের দিন
গাইছে পাখি নাচছে পাতা
স্মরছে খোদার ঋণ।
মুহররমের তারিখ দিয়ে
হিজরীটা হয় শুরু
কাটুক সবার সুখে সময়
বছরটা ভাই পুরো।
মুহররমের এক তারিখে
শুভেচ্ছা ও প্রীতি
আসুন সবে গাইতে থাকি
মহান রবের গীতি।
...
©somewhere in net ltd.