নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হে মানব! আর নয়তো দেরী; জেগে তুলে বিবেকের তরী করো হিংসার বলিদান। জন্মান্ধ হয়ে থেকো নাকো তুমি;মানুষ বলে হও বলিয়ান ।

তুমি জীবন খুঁজো সুখের নীড়ে, আমি জীবন খুঁজি দুঃখের ভীরে।,,, রহমান লতিফ,,,,

› বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় অগ্রসর তরুণ প্রজন্মকে \'খোলাচিঠি\'

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৮


প্রিয় অগ্রসর তরুণ প্রজন্ম,

তোমরা যারা ডিজিটাল যুগের অগ্রসর সমাজের প্রতিনিধি তাদের উদ্দেশ্যে দু'লাইন লিখছি। যুগের সাথে খাপ খাইয়ে ওঠতে অনেক কিছু আস্তাকুঁড়ে ফেলতে হয়। সেটা কেবলই যুগের দাবি, চেতনার চালবাজি নয়। অনেকসময় এ সহজ কথাটাই বুঝতে বেগ পেতে হয়। হয়তো এরজন্য আমাদের তোমরা ব্যাকডেটেড বলে ব্লকের খাতায় ফেলে দাও। এই যেমন,আমরা একসময় সিনিয়রদের দেখলে সালাম - আদাব দিতাম। এখন তোমার সিনিয়রদের আমাদের চেয়ে অনেক বেশি সমীহ করে 'হ্যাই ব্লো' বা ইইও ইইও বলো। আমাদের শিক্ষাগুরুদেরকে শ্রদ্ধাভরে দেবতার আসনে রাখতাম। তোমার সংকীর্ণ মানসিকতা থেকে বের হয়ে। শিক্ষকদের দাসত্ব শৃঙ্খলে পিষ্ট না করে ভালোবেসে ক্যাসিনোর আসনের পার্টনার হিসাবে রাখো। কত সহজ সমাধান হিসাবে, তোমাদের পরীক্ষার খাতাটি লেখার দায়িত্ব স্বয়ং শিক্ষকেই দিয়ে দাও। আমরা যখন কিশোরের এ্যাডিকশনে দুরন্তপনায় নদী পুকুর ও ডোবায় ডুব দিতাম। আর তোমরা এখন এডভান্স এ্যাকশন বিশেষজ্ঞরা ডিভাইসের রাজ্যে কখনোবা নীল তিমি, কখনো বা পাবজির জগতের কৌশলি ডুবুরি হও।

হে অ্যাপস পারদর্শীরা
আমরা আগডুম - বাগডুম করে যেতাম এ বাড়ি ও বাড়ি।কখনো বন্ধুদের সাথে তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছুটে যেতাম এপাড়- ওপার হাঁটে, মাঠে -ঘাঠে। আম খুঁড়ানির সুখ খুঁজতে খালি পায়ে ভোঁ দৌড়ে যেতাম নানাবাড়ি ,বড়বাড়ি, মামাবাড়ি, খালা বাড়ি । আর তোমার বুকের পাঁজরে ইমারত ভেঙ্গে গড়ে তুলো শিতলপাটি। এ বিশ্বজুড়েই তোমাদের অভিন্ন বসতবাড়ি। তাই'তো ইনস্টাগ্রাম, ফেইসবুক, টিকটিকে চলে গ্লোবাল নেটওয়ার্কের সংযুক্তি। আর সত্য মিথ্যা যাইহোক মুহুর্তের মধ্যে অ্যাপস থেকে ঢেলে দাও প্রতিবেদনে- প্রতিবাদের মহড়া। তোমরা বজ্র কন্ঠে বলো, পুরাতন আইনের অস্বস্তিকর শাসন নয়, বরং অ্যাপসের শৃঙ্খলাই নতুনত্ব।

হে সভ্যতার সন্তানের,
আমরা কেউ একজন কাউকে সামান্য কটুক্তি করলে প্রতিবাদ করতাম। তোমার কে ভুক্তভোগী আর কে ভূস্বামী তার তোয়াক্কা করো না। আমরা কেউ কাউকে প্রাণে মারা তো দূরের কথা নেহাৎ কঠিন স্বরে কথা বললে, প্রাণভোমরা ঘাবড়ে যেতো। আমরা বুঝতে পারতাম না নিজে বাঁচাই আসল বাঁচা। তোমাদের কাছে কে বাঁচলো আর কে মরলো তার কোন যৌক্তিকতা নেই। আমরা একজন অন্যায় করলে তাকে তিরস্কার করতাম। তোমরা কালক্ষেপণ না করেই, একটু পান থেকে চুন খসলে তোমরা সহজেই যে কাউকে কেটেকুটে রেঁধে ফেলতে পারো। হোক সেটা সাম্প্রদায়িক উস্কানি,হোক গুণীজন ও রাষ্ট্রের মত পথের আলোচনা -সমালোচনা। এমনকি কাউকে চোখের সামনে কোপাতে দেখলে কোন কর্নপাত করোনা। আর কেনইবা অযথা সময় নষ্ট করবে ! আসলেই কারো কোন কিছুতে নাক গলানো সভ্যতার সংজ্ঞায় যে পরে না।

হে সময়ের সন্তানেরা,
সময় তোমাদের কাছে বড্ড স্থির। ঘরের কথা পরে কেন জানবে? তাই আমরা নিজদের বিভিন্ন সমস্যা নিজের কাছেই গোপন রাখতাম। পারিবারিক অনুষ্ঠান,সামাজিক টানাপোড়ন, অসংশোধনীয় বন্ধুর পথ, সিক্রেট মতামত, শারীরবৃত্তীয় কসরত সবগুলোতে আমাদের 'প্রাইভেসি' র অটল পাহাড় চূড়ায় রাখতাম ।তোমরা এসব চুলোয় পুড়ে, কখন কি রাঁধলে, কে কোথায় হাগু দিলো, বাথরুমে নৃত্য করলে, বাঁচার সূত্র, মলমূত্রত্যাগ সবকিছু লাইভে এসে শেয়ার করাকে "প্রগ্রেসিভ" সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবেই প্রাধান্য দাও । এটাও আমাদের জানার ও বুঝার ঘাটতি। আমরা প্রায়ই অলসতায় নিমজ্জিত থেকে রাতে ঘুমাতাম। বড্ড সময় সচেতন তোমরা ২৪/৭ সপ্তাহের সাতদিন ও চব্বিশ ঘণ্টা লেগে থাকো যন্ত্রচালিত মিশনের সাথে। তাইতো সহজেই পেয়ে যাও তারকা খ্যাতি। চারিদিকে জয়জয়কার। হয়ে যাও শারিরীক ও মানসিকভাবো স্মার্ট ও মর্ডান।
তাই আমরা ডিজিটাল যন্ত্রণা কি সেটা এতটুকু অনুভব করতে পারিনা?
জীবনের মূল্যবান সময় যন্ত্রের ঘোরে লেগে থাকা পরিণতি কি তাও জানিনা?

হে প্রযুক্তির সন্তানেরা,
বড়ই বেদনাহত হই যখন দেখি প্রযুক্তির এ সুসময়ে তোমাদের দিনের সূচনা হয় প্রযুক্তির কোপা ঘাতে জর্জরিত মানবদেহের পতনের দৃশ্য চিত্রায়ন দেখে।
যখন দেখি ভার্চুয়াল জগতের কুশীলবরা রিয়্যালিটি কি তা বুঝতে পারে না?
ষখন দেখি সম্মান আর সম্পদের পিছনে ছুটতে ছুটতে সম্ভ্রম আর সম্পর্কে মরুফাটল চোখে পড়ে না ?
প্রযুক্তি তবে কে মিথ্যাবুলির ঝুলিতে অবৈধকে বৈধতায় রুপান্তরিত করার এক কৌশল ?
প্রযুক্তি তবে কি মানবসভ্যতার বুকে নিষিদ্ধ ক্যু'র বিশুদ্ধতম প্রতীক?

আমার অক্ষমতাকে ক্ষমা করো হে বঙ্গসন্তান।।

----অসমাপ্ত ----

রহমান লতিফ, অক্টোবর ২০১৯.

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৪০

ইসিয়াক বলেছেন: সেই সময় আর কখনো আসবে না আর এই সময়ের এই প্রজন্ম সেটার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবে না।কোনদিনও না।
পৃথিবীটা যে কত মধুর জীবন যে কত রঙিন তা কি আর ডিভাইসে মুখ গুজে বোঝা যায় ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

বলেছেন: সময়ের ব্যবধানে অনেক কিছু হারিয়ে যায় আর নতুন নতুন উপাদান যোগ হয়।

পৃথিবীটা যে কত মধুর জীবন যে কত রঙিন তা কি আর ডিভাইসে মুখ গুজে বোঝা যায় --- ডিভাইসের ভেতরে কত লাল নীল রং আছে যে নয় ডুবে সে কি আর জানে।।


জীবন সুন্দর হোক কবি।।


ভালো থেকো। প্রযুক্তির সাথে থোকো।।

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কুপর মাঝে ছিলরন।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬

বলেছেন: কূপের মাঝে ছিলেন??

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সময়োপযোগি লেখা । দেশে এখন সংকট কাল । #:-S

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৮

বলেছেন: কবি প্রাণ প্রিয় কবি,

সময়োপযোগী নাকি সময়ক্ষেপণ তা তো জানি।।

তবুও দু কলম লিখলাম খুন ফ্রেন্ডলি ... হা হা।।


ভালো থাকুন,

আপনার কবিতায় ঝরে পড়ুক প্রযুক্তির বিষ।।
শুভেচ্ছা।।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: বর্তমান তরুন প্রজন্ম নিয়ে আমি হতাশ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:১১

বলেছেন: তাইতো আপনি বলেছেন, বর্তমান তরুণদের নিয়ে আমি হতাশ, এরা পচে গলে গেছে।

এদের নিয়ে আপনার হতাশার ঘোর কাটুক,
তরুনরা আপনার মতো বইপোকা হোক, লেখক হোক।।। এটাই চাওয়া।।


শুভেচ্ছা সতত।।।

৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রজন্মের ব্যবধান ঘুচবার নয়, তবুও আপনার প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৭

বলেছেন: ধন্যবাদ রেসপেক্টটেড স্যার,

এক লাইনে বলে দিয়েছেন,
সময়ের পালাবদলে অনেক কিছু বদলে যায়,
ব্যবধান আকাশ পাতাল হোক যদি তা বিষফোঁড়া না হয়,
কেন জানি,
ব্যবধান বিরান হয়ে, চারিদিকে কেবল দৈন্যতা যে বাড়ছেই.....

আপনাদের সময়ে একজন আরেকজনের প্রতি যে সম্মান, শ্রদ্ধা দেখাতো তা কি এখন চোখে পরে?

৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:০৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এমন আক্রমনাত্মক ঢংয়ে কঠিন করে লিখলে তরুন প্রজন্ম অর্ধেক বুঝবে, অর্ধেক বুঝবে না। আর যেটুকু বুঝবে, তাকে গুরুত্ব দিবে না। আদর-সোহাগ করে বোঝানোর সুরে লিখুন! ;)

কিছু জেনারেশান গ্যাপের ব্যাপার আছে, যেটা ঘটবেই। বুঝিয়ে লাভ হবে না। আর কিছু আমাদের সিস্টেমের সমস্যা। তরুনরা স্বাভাবিকভাবেই এডভেন্চার প্রিয়। এটার সাথে টাকা আর ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে এদেরকে বিপথগামী করা হচ্ছে। বড়'রা তাদের দায়িত্ব পালন না করলে ছোটদেরকে কি দোষ দেয়া যায়?

আবেগ দিয়ে লিখেছেন। পড়তে ভালো লাগলো। এটার কি আরেকটা পর্ব আছে?

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫

বলেছেন: সভাপতি ছাহেব ,
এমন আক্রমনাত্মক ঢংয়ে কঠিন করে লিখলে তরুন প্রজন্ম অর্ধেক বুঝবে, অর্ধেক বুঝবে না। আর যেটুকু বুঝবে, তাকে গুরুত্ব দিবে না। আদর-সোহাগ করে বোঝানোর সুরে লিখুন! লজ্জা দিলেন, আমাদের তরুণদের আক্রমণ করার কোন সাহস ইহকালে কারো নেই, তার উপর কোন বিশেষ সম্প্রদায়ের হ'লেতো কথা নেই।। আমার অপারগতার কথাই বললাম।।।

তরুনরা স্বাভাবিকভাবেই এডভেন্চার প্রিয়। এটার সাথে টাকা আর ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে এদেরকে বিপথগামী করা হচ্ছে। বড়'রা তাদের দায়িত্ব পালন না করলে ছোটদেরকে কি দোষ দেয়া যায়? একদম সত্য কথা বলেছেন, আপনাকে বিচির পদ দেয়া উচিৎ।।
আমাদের অতি উৎসাহী পিতামাতা, ছেলেমেয়েদেরকে টাকার মেশিন বানানো প্রতিযোগিতা, অহমিকা, লোভ, শিক্ষকদের লেজুড়বৃত্তি মনোভাবকে কোনভাবেই দোষ দেয়া যাবে না। আফটার অল সময়ের দাবি।।

ভালো থাকুন।। শান্তিতে থাকুন।।

৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:২১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: প্রচেষ্টা অব্যহত থাকুক। তরুণদের কর্ণকহর হউক আপনার বার্তা।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭

বলেছেন: প্রিয় সুজন ভাই,
আশাকরি ভালো আছেন!!

পাকনাদের সাথে কি আর কোন প্রচেষ্টা যায় বলুন
- এটা তো আমার পাঁচমিশালি ভাবনা, আমার নিদারুণ অক্ষমতাকে তুলে ধারার প্রয়াস।।


ভালো থাকুন।।

৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪১

ইসিয়াক বলেছেন: লেখক বলেছেন:ডিভাইসের ভেতরে কত লাল নীল রং আছে যে নয় ডুবে সে কি আর জানে।।
ডিভাইসের ভেতরের লাল নীল রঙ তো মায়া । মায়া জাল সব সময় ই বিভ্রান্তি ছড়ায় । স্বপ্ন স্বপ্নই বাস্তবে তার রূপ কতটুটু ই বা
প্রতিফলিত হয় । পৃথিবীর রং রপ যে না দেখেছে । তার জীবন আবার জীবন হলো নাকি । সে তো রোবট ।
ধন্যবাদ প্রিয় ভ্রাতা ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৮

বলেছেন:
কবি ইসিয়াক বলেছে, .......
মায়া জাল সব সময় ই বিভ্রান্তি ছড়ায়,
স্বপ্নই বাস্তবে তার রূপ কতটুটু ই বা প্রতিফলিত হয় ।
পৃথিবীর রং রপ যে না দেখেছে ।
তার জীবন আবার জীবন হলো নাকি । সে তো রোবট ।

জীবনানন্দের মতোই বলেছেন.....
পৃথিবীর সব ঘুঘু ডাকিতেছে হিজলের বনে;
পৃথিবীর সব রূপ লেগে আছে ঘাসে;
পৃথিবীর সব প্রেম আমাদের দু-জনার মনে;
আকাশ ছড়ায়ে আছে শান্তি হয়ে আকাশে আকাশে।।


ভালো থাকুন।।

৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৮

ইসিয়াক বলেছেন: আজ জীবনানন্দ দাশের প্রয়ান দিবস ।
বোধ
===
জীবনানন্দ দাশ
=========

আলো-অন্ধকারে যাই—মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয়, কোন্ এক বোধ কাজ করে;
স্বপ্ন নয়—শান্তি নয়—ভালোবাসা নয়,
হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়;
আমি তারে পারি না এড়াতে,
সে আমার হাত রাখে হাতে,
সব কাজ তুচ্ছ হয়—পণ্ড মনে হয়,
সব চিন্তা—প্রার্থনার সকল সময়
শূন্য মনে হয়,
শূন্য মনে হয়।

সহজ লোকের মতো কে চলিতে পারে।
কে থামিতে পারে এই আলোয় আঁধারে
সহজ লোকের মতো; তাদের মতন ভাষা কথা
কে বলিতে পারে আর; কোনো নিশ্চয়তা
কে জানিতে পারে আর? শরীরের স্বাদ
কে বুঝিতে চায় আর? প্রাণের আহ্লাদ
সকল লোকের মতো কে পাবে আবার।
সকল লোকের মতো বীজ বুনে আর
স্বাদ কই, ফসলের আকাঙ্ক্ষায় থেকে,
শরীরে মাটির গন্ধ মেখে,
শরীরে জলের গন্ধ মেখে,
উৎসাহে আলোর দিকে চেয়ে
চাষার মতন প্রাণ পেয়ে
কে আর রহিবে জেগে পৃথিবীর ’পরে?
স্বপ্ন নয়—শান্তি নয়—কোন্ এক বোধ কাজ করে
মাথার ভিতরে।

পথে চ’লে পারে—পারাপারে
উপেক্ষা করিতে চাই তারে;
মড়ার খুলির মতো ধ’রে
আছাড় মারিতে চাই, জীবন্ত মাথার মতো ঘোরে
তবু সে মাথার চারিপাশে,
তবু সে চোখের চারিপাশে,
তবু সে বুকের চারিপাশে;
আমি চলি, সাথে-সাথে সেও চ’লে আসে।

অামি থামি—
সেও থেমে যায়;

সকল লোকের মাঝে ব’সে
আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা?
আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমার পথেই শুধু বাধা?

জন্মিয়াছে যারা এই পৃথিবীতে
সন্তানের মতো হ’য়ে—
সন্তানের জন্ম দিতে-দিতে
যাহাদের কেটে গেছে অনেক সময়,
কিংবা আজ সন্তানের জন্ম দিতে হয়
যাহাদের; কিংবা যারা পৃথিবীর বীজখেতে আসিতেছে চ’লে
জন্ম দেবে—জন্ম দেবে ব’লে;
তাদের হৃদয় আর মাথার মতন
আমার হৃদয় না কি? তাহদের মন
আমার মনের মতো না কি?
—তবু কেন এমন একাকী?
তবু আমি এমন একাকী।

হাতে তুলে দেখিনি কি চাষার লাঙল?
বাল্‌টিতে টানিনি কি জল?
কাস্তে হাতে কতোবার যাইনি কি মাঠে?
মেছোদের মতো অামি কতো নদী ঘাটে
ঘুরিয়াছি;
পুকুরের পানা শ্যালা—আঁশ্‌টে গায়ের ঘ্রাণ গায়ে
গিয়েছে জড়ায়ে;
–এই সব স্বাদ;
—এ-সব পেয়েছি অামি, বাতাসের মতন অবাধ
বয়েছে জীবন,
নক্ষত্রের তলে শুয়ে ঘুমায়েছে মন
এক দিন;
এই সব সাধ
জানিয়াছি একদিন—অবাধ—অগাধ;
চ’লে গেছি ইহাদের ছেড়ে;
ভালোবেসে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,
অবহেলা ক’রে আমি দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে,
ঘৃণা ক’রে দেখিয়াছি মেয়েমানুষেরে;

অামারে সে ভালোবাসিয়াছে,
আসিয়াছে কাছে,
উপেক্ষা সে করেছে অামারে,
ঘৃণা ক’রে চ’লে গেছে—যখন ডেকেছি বারে-বারে
ভালোবেসে তারে;
তবুও সাধনা ছিলো একদিন–এই ভালোবাসা;
অামি তার উপেক্ষার ভাষা
অামি তার ঘৃণার অাক্রোশ
অবহেলা ক’রে গেছি; যে-নক্ষত্ৰ—নক্ষত্রের দোষ
আমার প্রেমের পথে বার-বার দিয়ে গেছে বাধা

আমি তা’ ভুলিয়া গেছি;
তবু এই ভালোবাসা—ধুলো আর কাদা।

মাথার ভিতরে
স্বপ্ন নয়—প্রেম নয়—কোনো এক বোধ কাজ করে।
অামি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চ’লে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে:
সে কেন জলের মতো ঘুরে-ঘুরে একা কথা কয়!
অবসাদ নাই তার? নাই তার শান্তির সময়?
কোনোদিন ঘুমাবে না? ধীরে শুয়ে থাকিবার স্বাদ
পাবে না কি? পাবে না আহ্লাদ
মানুষের মুখ দেখে কোনোদিন!
মানুষীর মুখ দেখে কোনোদিন!
শিশুদের মুখ দেখে কোনোদিন!

এই বোধ—শুধু এই স্বাদ
পায় সে কি অগাধ—অগাধ!
পৃথিবীর পথ ছেড়ে আকাশের নক্ষত্রের পথ
চায় না সে? করেছে শপথ
দেখিবে সে মানুষের মুখ?
দেখিবে সে মানুষীর মুখ?
দেখিবে সে শিশুদের মুখ?
চোখে কালো শিরার অসুখ,
কানে যেই বধিরতা আছে,
যেই কুঁজ—গলগণ্ড মাংসে ফলিয়াছে
নষ্ট শসা—পচা চাল্‌কুমড়ার ছাঁচে,
যে-সব হৃদয়ে ফলিয়াছে
—সেই সব।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৮

বলেছেন: যারা পৃথিবীর বীজখেতে আসিতেছে চ’লে
জন্ম দেবে—জন্ম দেবে ব’লে;
তাদের হৃদয় আর মাথার মতন
আমার হৃদয় না কি? তাহদের মন
আমার মনের মতো না কি?
—তবু কেন এমন একাকী?
তবু আমি এমন একাকী।



শেয়ার করার ভালোবাসা রইলো .......

১০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

মা.হাসান বলেছেন: হে নবীন ব্লগার, এক সময়ে সিনিয়র ব্লগাররা আমাদের পাতায় আসিলে আমরা ধন্য হইয়া যাইতাম, একখানা গালি দিলে শিহরন জাগিতো, এখন তোমরা সিনিয়রদের মন্তব্য পছন্দ না হইলে পাল্টা পোস্ট দাও, মন্তব্য ডিলিট করো, জোট বাঁধিয়া আক্রমন করো, মডুর কাছে অভিযোগ দাও।

স্যালুট সাধারণ সম্পাদক/উপদেষ্টা সাহেব।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৪৯

বলেছেন: হে রহস্যসময় চির নবীন ব্লগারেরা,

তোমারা এখন আর এত ছ্যাচড়ামি করো না। তোমাদের কোন ট্যাগে ফেলানো যায় না। তোমরা সবাই এক একটা বাঘ। তোমাদের মলম মার্কা পোস্ট না পড়লে জাতির কপালে জুটে ঝাড়ুর আর বারুদের ঝনঝন।। তাইতো তোমরাই মিলেমিশে করো ব্লগিং এন্ড বুকিস । বেমালুম ভুলে যাই তোমরাই সত্যের বীজ।।

মফিজ ভাই বলেছেন, এটা কি আরেক পর্ব আছে।। আপনার মন্তব্য বলে দিলো -- চলবেই।।

১১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


উপরে আমার মন্তব্যে টাইপো ছিলো:

আমার মতে, রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কূপের মাঝে ছিলেন; তিনি কবি নন, কবিদের জীবন-দর্শন থাকতে হয়।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৫

বলেছেন: "যে মাঠ থেকে এসেছিল স্বাধীনতার ডাক, সে মাঠে আজ বসে নেশার হাট", "বাতাসে লাশের গন্ধ"।

চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়- বিচ্ছেদ নয়
চলে যাওয়া মানে নয় বন্ধন ছিন্ন-করা আর্দ্র রজনী
চলে গেলে আমারও অধিক কিছু থেকে যাবে
আমার না-থাকা জুড়ে।
জানি চরম সত্যের কাছে নত হতে হয় সবাইকে-
জীবন সুন্দর



আফিম তবুও ভালো, ধর্ম সে তো হেমলকবিষ।
ধর্মান্ধের ধর্ম নেই, আছে লোভ, ঘৃণ্য চতুরতা,
মানুষের পৃথিবীকে শত খণ্ডে বিভক্ত করেছে
তারা টিকিয়ে রেখেছে শ্রেণীভেদ ঈশ্বরের নামে।
ঈশ্বরের নামে তারা অনাচার করেছে জায়েজ।
হা অন্ধতা! হা মুর্খামি! কতোদূর কোথায় ঈশ্বর!
অজানা শক্তির নামে হত্যাযজ্ঞ কতো রক্তপাত,
কত যে নির্মম ঝড় বয়ে গেল হাজার বছরে!



এগুলো কি জীবন-দর্শন নয় ?


রুদ্রর মৃত্যুর পরে ‘রুদ্র ফিরে আসুক’ শীর্ষক লেখায় তসলিমা লিখেন .......
‘যৌথজীবন আমরা যাপন করতে পারিনি। কিন্তু যত দূরেই থাকি, আমরা পরস্পরের কল্যাণকামী ছিলাম। রুদ্রের সামান্য স্খলন আমি একদিনও মেনে নিইনি, রুদ্রের দুচারটে অন্যায়ের সঙ্গে আমি আপস করিনি পরে সময়ের স্রোতে ভেসে আরো জীবন চেনে, জীবন ঘেঁটে আমি দেখেছি, রুদ্র অনেকের চেয়ে অনেক বড় ছিল, বড় ছিল হৃদয়ে, বিশ্বাসে। রুদ্রের ঔদার্য, রুদ্রের প্রাণময়তা, রুদ্রের অকৃত্রিমতার সামনে যে কাউকে দাঁড় করানো যায় না.........

১২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার লেখনি। উত্তরসূরী শেখায় নিতে অঙ্গীকার এক নতুন ভোরের।
আমরা আশাবাদী বিপথগামী তরুণ প্রজন্ম যথাযথ দিশার সন্ধান পাবে।
পোস্টে ভালোলাগা++
শুভকামনা প্রিয় লতিফভাইকে।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৪৯

বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।

তরুণরাখা দিশার মধ্যেই আছে আমরা বেদী হয়ে ওদের ভুল বুঝি।।

ভালো থাকুন।।

১৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



চাঁদগাজী ভাই,
রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কবি ছিলেন কিনা জানিনা, রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কেমন মানুষ ছিলেন তাও জানিনা, তবে তার জীবনে এক কাল সাপিনীর আগমণ হয়েছিলো যে রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর জীবন বাতি নিভিয়ে দিয়েছে চিরোতরে। রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এখন একটা নাম মাত্র আর কিছুই না। কবিও না, হয়তো মানুষও না!

ল ভাই,
যারা অগ্রসর হবার তারা এমনিতে অগ্রসর হবে যারা হবার নয় তারা অন্ধকার কূপে চলে যাবে এটি দুনিয়ার হিসাব। - এটি আমার কথা। লিখে রাখুন আপনার নোটবুকে।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

বলেছেন: যারা অগ্রসর হবার তারা এমনিতে অগ্রসর হবে যারা হবার নয় তারা অন্ধকার কূপে চলে যাবে এটি দুনিয়ার হিসাব

দেরিতে হ'লেও মূল্যবান বচনখানি পেয়ে নোটবুক সমৃদ্ধ করলাম।।

একজন মানুষের জীবনের নারী কতটা প্রভাব ফেলতে পারে রৌদ্র মনে হয় তার জলন্ত উদাহরণ।।
আমাদের তরুণরাখা এখন এক নারীকে নিয়ে তিন থেকে পাঁচজন মারামারি, ফষ্টিনষ্টি করে আর লাশ হয়।।

সময় করে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।। ভালো থাকুন।।

১৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪৩

সোহানী বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫৪

বলেছেন: ধন্যবাদ হাই প্রোফাইল ব্লগার,
আপনার লেখাটা পড়ে মনে হলো একটু ভিন্নরূপে লিখি।।

ভালো থাকুন।।

১৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ল,




যদিও উলুবনে মুক্তো ছড়ানো তবুও এমন প্রচেষ্টা নেহায়েৎ মন্দ নয়!

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫৭

বলেছেন:
মা বলতেন,
বনের বাঘে খায় না - মনের বাঘে খায়।

আমাদের তরুণ সমাজে মনে এখন ঘুঘু, শালিক, টিয়া, দোয়েল - কুয়েলের বাস।
উলুবনে ওরা অতি সহজেই করে নিতে পারে আঁতাত..

ওরা সব পারার দল,।।

ভালো থাকুন কবি।।

১৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: তাইতো আপনি বলেছেন, বর্তমান তরুণদের নিয়ে আমি হতাশ, এরা পচে গলে গেছে।
এদের নিয়ে আপনার হতাশার ঘোর কাটুক,
তরুনরা আপনার মতো বইপোকা হোক, লেখক হোক।।। এটাই চাওয়া।।
শুভেচ্ছা সতত।

বর্তমান সময়ের তরুনেরা নানান ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
এদের একদল সারাদিন মেয়ে-মেয়ে করে।
কেউ কেউ, ফেসবুক, ইস্টাগ্রাম, গেমস নিয়ে ব্যস্ত।
কেউ ব্যস্ত রাস্তার মরে আড্ডায়, কেউ ব্যস্ত নেশায়।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০০

বলেছেন: ছোট ছোট কমেন্টস ইতিহাস হয়ে যায় --

বর্তমান সময়ের তরুনেরা নানান ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
এদের একদল সারাদিন মেয়ে-মেয়ে করে।
কেউ কেউ, ফেসবুক, ইস্টাগ্রাম, গেমস নিয়ে ব্যস্ত।
কেউ ব্যস্ত রাস্তার মরে আড্ডায়, কেউ ব্যস্ত নেশায়.......(.রাজীব নূর)


তরুণদের নিয়ে এমন অবজারভেশন আর কেউ করেছি বলে মনে হয় না।।।
চার লাইনে লেগে আছে পুরু প্রজন্মের চালচিত্র।।
আবার ফিরে এসে কালজয়ী মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা।।।

১৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:২২

কাতিআশা বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা!..চেস্টা চলুক অব্যহত...

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৪২

বলেছেন:
প্রিয় ইঞ্জিনিয়ার আপু,

লেখাটি আপনারা ভালো লেগেছে জেনে উৎসাহিত হলাম।।

সেই সাথে লেখাটি নির্বাচিত পাতায় স্থান দেওয়ার জন্য কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ।।


ভালো থাকুন।।

১৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:২৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সময় একবার চলে গেলে আর ফিরবেনা............................

তবুও আমরা উদাসীণ..............................

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৭

বলেছেন: বারবার ভুল হয়ে যায়।
বারবার ভুল করি
তবুও হয়না হুশ
আমি যে মানুষ নেয় ভুলের অধীন,
আমি যে আজন্ম উদাসীন।।


সময় করে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।।

১৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রুদ্রের মত দুর্ধর্ষ মুক্তমন কবি আর কি জন্মাবে?

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৯

বলেছেন: তবুও কারো কাছে তিনিও কবি নেন।
কারো কাছে তিনি অচল।।

রুদ্র বেঁচে আছেন তার কবিতায় --
ভালো আছি, ভালো থেকে, আকাশের ঠিকানায়।।


ধন্যবাদ হাসান ভাই।।

২০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:২১

লিযেন বলেছেন: বেচে থাক,সামু
বেচে থাক Bloger

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:১০

বলেছেন: পৃথিবী সুন্দর হোক- সকল সুন্দরের হাত ধরে।।।

২১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৬

শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: আপনার লেখায় ঠিক মনের কথাগুলো চলে আসছে। ভাল লেগেছে আদর্শিক লেখনী। কেউ মেনে চলুক বা ন ই চলুক সত্য উপস্থাপন করা এবং মেনে চলাই বুদ্ধিমান মানুষের কাজ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:১১

বলেছেন: আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ।।
আমার কাছে অন্যতম সেরা মন্তব্য মনে হয়েছে।।

এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা।।।
সত্যকে মেনে চলি।।। ভালো থাকুন।।

২২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:০৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:

হে অচিন দেশের মানুষ! ব্লগ মুক্তির শুভেচ্ছা নিবেন। ব্লগের দুর্দিনে হাতেগুণা যে কয়েকজন ব্লগার ব্লগ আকড়ে পরে ছিলেন তাদের মধ্য আপনি একজন। আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা নেবেন।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:১২

বলেছেন: এমন ভালোবাসার কাছে হার মানি, পরাজিত হই তবুও আমিও জয়ী।।।

ভালো থাকুন।।

২৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১২

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ঠাকুর মাহমুদ ভাইয়া বলেছেন -
''যারা অগ্রসর হবার তারা এমনিতে অগ্রসর হবে যারা হবার নয় তারা অন্ধকার কূপে চলে যাবে এটি দুনিয়ার হিসাব। - এটি আমার কথা। লিখে রাখুন আপনার নোটবুকে।''
উনার কথার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।
প্রিয় লেখক, আপনার লিখায় একদম বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে সত্য কিন্তু এর মাঝেও কিছু মানবিকতা সম্পন্ন ও মননশীল মানুষ তৈরী হচ্ছে যারা নিজেদের সুন্দরভাবে এগিয়ে নিচ্ছে, মানবিক সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখছে। আপনাদের মত ইতিবাচক ভাবুক অগ্রজদের হাত ধরে অনুজরা আরো ইতিবাচক হয়ে উঠুক, গঠনমূলক চিন্তা -চেতনার অধিকারী হোক।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:১৫

বলেছেন: দিনশেষে গ্লানি আর যাতনারা ফিরে গেলো বাড়ি
অদ্ভুত সুন্দর মন্তব্যে আলোকিত হলো সন্ধাসাজে...

মানবিক তরুনেরা স্বপ্নের ফানুস ওড়িয়া যাক বহুদূরে।।

আশা জাগানিয়া মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।।

ভালো থাকুন।।

২৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:১৮

আখেনাটেন বলেছেন: এটা ঠিক যে প্রযুক্তি আমাদের অনেক বেশি আত্নকেন্দ্রিক করে তুলছে। যার ফলেই মানবিকতা, মূল্যবোধ, নৈতিকতা এগুলো বড় খেলো হয়ে যাচ্ছে মানুষের কাছে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৫২

বলেছেন: আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।।
তাই বলা হয়, প্রযুক্তি আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ।।


ভালো থাকুন।।।

২৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে। অসামান্য আপনি।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩২

বলেছেন: ভালোবাসা দিলাম ----- কুড়িয়া নিও ......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.