![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই পৃথিবীর বিরাট খাতায়, পাঠ্য যেসব পাতায় পাতায় শিখছি সে সব কৌতূহলে, নেই দ্বিধা লেশ মাত্র, বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।
পৃথিবী দিন দিন ধ্বংসের দিকে তলিয়ে যাচ্ছে।আধুনিকতার স্পর্শে মূর্খতা তার জায়গা করে নিচ্ছে সুদৃঢ়ভাবেই।পৃথিবীতে অনেক মানুষই আছেন যারা ভাবেন সৃষ্টিকর্তা বলতে কেউই নেই।বরং যত ধর্মকর্ম আছে এসব মানুষই সৃষ্টি করেছে।এগুলো সময়ের সাথে গড়ে উঠেছে।এতে অনেক কিছু যোগ হতে পারে এমন কি বিয়োগও হতে পারে। এতে করে ধর্মটা উন্নত হতে পারে অথবা ক্ষতিও হতে পারে। মূল কথা হলো প্রতিটি ধর্মীয় কিতাব থেকে ভালো জিনিসগুলো নিয়ে খারাপ জিনিসগুলো বাদ দিয়ে তারপর পালন করি।আর আমরা সে জন্য মানবো না যে সেটা ধর্মীয় কিতাবে লিখা আছে;আমরা আমাদের যুক্তি আর বুদ্ধি দিয়ে সেটা বিচার করবো।এবং ভালোটা গ্রহন করে সেভাবে জীবন যাপন করবো।আমারও একই কথা। আসলেই তো! কেন হিন্দুইজম,খৃষ্টান, ইসলাম ধর্ম?এর চেয়ে ভালো হয় আমরা এগুলোর ভালো জিনিসগুলো জড়ো করি এবং সেগুলোই মেনে চলি।তবে আমার প্রশ্ন হলো কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ কে বলবে?
উদাহরন স্বরূপ যদি বলতে হয়,আমেরিকায় নারীদের শর্টস পরা আর স্কার্ট পরা খুবই কমন।এটা তাদের জন্য ভদ্রতা।এখন যদি বাংলাদেশে সেটার প্রয়োগ ঘটানো হয়; আমাদের দেশের মেয়েরা যদি আমেরিকান মেয়েদের মতো ড্রেস আপ করে বাঙ্গালীরা বলবে এটা অভদ্রতা।আমাদের দেশের নারীরা শাড়ি পরলে অনেকের পেট বাহির হয়ে থাকে; আমেরিকান নারীদের কাছে পেট দেখানো অভদ্রতা।আবার পশ্চিমা দেশগুলোতে হ্যান্ডশেক করাটা ভদ্রতা;কিছু কিছু পশ্চিমা দেশে ঠোটে আর গালে চুমু দেয়াটা ভদ্রতা;আবার কিছু কিছু পশ্চিমাদেশে একজন পুরুষ আর একজন নারী যা ইচ্ছে তাই করবে এবং সে জন্য কারো কাছে জবাব দিহি করতে হয় না, এটা তাদের জন্য ভদ্রতা। কিন্তু আমাদের দেশের সাপেক্ষে বিচার করতে গেলে এসবগুলোই অভদ্রতা ।আবার ধরুন চায়নায় মানুষ শুকর খায়;সাপ বিচ্ছু কোনটাই বাদ রাখে না।এগুলো তাদের কাছে খুবই স্বাভাবিক এবং ভদ্র খাবার।এখন এদেশে আপনি যদি সাপ কিংবা শুকর খাওয়ার কথা বলেন, মানুষ আপনাকে খাটাস বলবে।এভাবে অজস্র উদাহরন দিতে পারি।কিন্তু এই সমস্যাগুলো কে ঠিক করবে? কে?
পশ্চিমায় ন্যুড বিচ আছে।মানুষ সেখানে উলংগ থাকে এটা তাদের জন্য ভদ্রতা আর বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকতে উলঙ্গ হওয়াটা অভদ্রতা।এমন কি কঠিন অপরাধ।এগুলো কে ঠিক করবে?কে বলবে কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ?আমেরিকার টেক্সাসে ১২ বছর বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেয়ার বিধান রয়েছে আর বাংলাদেশে ১২ বছর বয়সে বিয়ে দিলে সেটা হবে বাল্যবিবাহ।এই সমস্যাগুলো কে ঠিক করবে?
সহজ উত্তর হলো সবচেয়ে ভালো বলতে পারবেন একমাত্র সৃষ্টিকর্তা।আর সৃষ্টিকর্তা বলে দিয়েছেন কোনটা মানুষের জন্য ভালো আর কোনটা মন্দ।এবং আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন আমরা যেন ভালোটাকে গ্রহন করি আর মন্দটাকে ত্যাগ করি।এজন্য আমাদেরকে একটি নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে থেকে চলতে হবে।আর সেটা আল্লাহর বানী আল-কোরআন।পবিত্র কোরআনের এমন কোন আয়াত নেই যেটা মানবতার বিরুদ্ধে যায়; যেটা মিথ্যাকে প্রশ্রয় দেয়।এমন কোন আয়াত কোরআনেই নেই যেটা সহিংসতাকে সমর্থন করে।এই জন্য মহান আল্লাহ বলেন,
তোমাদের জন্য দীন হিসেবে পছন্দ করলাম ইসলামকে।
(সূরা মায়িদাহ, আয়াতঃ৩)
মহান আল্লাহ আরো বলেন,
হে মুমিনগণ ! তোমরা ইসলামে প্রবেশ করো পূর্ণাঙ্গভাবে আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কর না। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।' (সূরা বাকারা : ২০৮)
কিন্তু একদল আছে যারা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরন করবেই।তাই তারা দেখেও দেখে না,জেনেও জানে না আর তাদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে,
আল্লাহ তাদের অন্তরে এবং তাদের কানে মোহর (সিল) লাগিয়ে দিয়েছেন এবং তাদের চোখসমূহে রয়েছে পর্দা। আর তাদের জন্য রয়েছে মহাআজাব।
(সূরা বাকারাহ, আয়াত ৭)।
ইসলামের ডায়েরী থেকে বলছি_ ৫ম পর্ব
মাহমুদুর রহমান।
২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৪৩
কিরমানী লিটন বলেছেন: সত্যের জয় অবধারিত। সত্যকে সময়ই টেনে নিয়ে যায় মহাকাল....
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: একজন নাস্তিক আছেন, আল্লাহ খোদা মানে না। সে বেশ ভালোই আছে। বেশ আনন্দময় জীবন যাপন করছে। তাকে দেখলে হিংসা হয়।
আমার এক বন্ধু নামাজ পড়তে পড়তে কপালে দুই টা স্থায়ী কালো দাগ বানিয়ে ফেলেছে। বেচারা খুব অভাবে আছে। সীমাহীণ কষ্ট তাদের পুরো পরিবারে।