![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই পৃথিবীর বিরাট খাতায়, পাঠ্য যেসব পাতায় পাতায় শিখছি সে সব কৌতূহলে, নেই দ্বিধা লেশ মাত্র, বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।
খাওয়ার জন্য বললেই কি খেতে হয়?
এমন প্রশ্নের জবাবে আপনি নিশ্চয়ই বলবেন খাওয়া উচিৎ।আমিও তাতে সহমত কারন এটা সামাজিকতার একটি নিয়ম।একটা সমাজে বাস করতে হলে মানুষের মন রক্ষা করে চলতে হয় মূল্যবোধের প্রতি সম্মান রেখে।এখন ধরুন, একজন ব্যক্তি যিনি আপনাকে প্রতিদিন খেতে বলে আপনি কি প্রতিদিনই তার দাওয়াত কবুল করবেন?এমন প্রশ্নের জবাবে আপনি কি বলবেন?আপনি পারবেন কি প্রতিদিনই তার কাছ থেকে খেতে?এই জায়গায় এসে মানুষ নানান ভাবনা নানান মতে বিভক্ত হয়ে যায়।যেমন-
১-কেউ কেউ মনে করেন ঔ মানুষটার হয়ত অনেক টাকা আছে।তাই তিনি আমাকে খাওয়াতে চান।এতে আমার আপত্তি কেন থাকবে?
২-কেউ কেউ ভাবেন,না করা যায় না কারণ সে যদি অপমানবোধ করে!
৩-অনেকেই মনে করেন আমার পেটে জায়গা থাকলে অবশ্যই খাবো।
৪-খেতে বললে খেতে হয় কারন এটা সুন্নত।
৫-আবার অনেকেই মনে করেন,একজন মানুষের কাছ থেকে প্রতিদিন খাওয়াটা ভীষণ লজ্জার।কারণ আমি মানুষ কোন গৃহপালিত কুকুর নয়৷আমারও উচিৎ তাকে খাওয়ানো।আর সেটা সম্ভব না হলে, আমি নিজেকে তার কাছ থেকে আড়াল করবো কারণ তিনি হয়তো একা খেতে লজ্জাবোধ করেন।নতুবা তিনি সরাসরি বলতে পারছে না যে তার পক্ষে প্রতিদিনই একই কাজ করা সম্ভব নয়।তাই তিনি যখন বলছেন, খাও আমি তখন বলবো নাহ আজ আমার ক্ষুধা নেই।এছাড়াও আরও একটা ব্যাপার হচ্ছে,একজন মানুষ প্রতিদিন তার টাকা আমার পেছনে ঢালার অর্থ আমি অসহায়।
এখন উপরোক্ত ৫টি ধারনার মধ্যে আপনি কোনটিকে মনে মনে লালন করেন?আমার কাছে এক নম্বর থেকে চার নম্বর পর্যন্ত ধারনার অধিকারী লোকেদের জ্ঞানহীন বলেই মনে হয়।আপনার কাছেও সেটাই মনে হবে যদি আপনি একজন বিবেক সম্পন্ন মানুষ হয়ে থাকেন।আমি মনে করি মূল্যবোধ সবার মাঝেই কমবেশী আছে কিন্তু অনেকেই সেটা লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করেন।আর তাদের এই পছন্দই একদিন তাদের অভ্যাসে পরিনত হয়।ফলে তারা ধাবিত হয় অন্ধকারের দিকে।আমার একজন বন্ধুর কথা বলি।জুম্মন।জুম্মন প্রতিদিন একটি ক্যাফেতে আমার সাথে বসে থাকে আর সে অবস্থাতে আমি সব সময় অর্ডার করি নিজের ও তার জন্য।এবং প্রতিটি খাবার সে স্বাচ্ছন্দ্যে আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহন করে।আমার কাছে তার খাবারের ধরন দেখতে খুব ভালো লাগে।কিন্তু সময়ের পালাক্রমে সেটা রুপ নিয়েছে বিরক্তির দিকে।আমি লক্ষ্য করেছি প্রতিদিন যে কয়টা অর্ডার করি কোনটিতে তার না নেই।আমি অবাক হলাম কতদিনের আড্ডা অথচ একদিন নিজ থেকে কোন কিছু খাওয়ার আমন্ত্রন সে আমাকে জানায় নি।আমি একদিন বাধ্য হয়ে জিজ্ঞেস করি,তোমার হাত খরচ কত?সে বলে পাঁচ হাজার টাকার মতন।আমি বললাম সেগুলো কই যায়?সে বলেছিলো, সেটা আমি আমার কাজে খরচ করি।আমি আর কিছু জিজ্ঞেস করি নি।
বিগত কয়েকদিন যাবত কোন একটি কারনে আমার মন খারাপ।আর তারই ধারাবাহিকতায় জুম্মনকে হুট করে একদিন বলেই ফেললাম,এগুলো ভালো স্বভাব নয়।সে বললো, কোনগুলো? আমি বললাম, যখন মানুষ খেতে বলে আর সবসময় খাওয়ার পক্ষে মত দেয়া।সে প্রতিউত্তরে বললো, এটা আল্লাহর নবীর সুন্নাত।আমার মনে দাবানলের প্রবাহ শুরু হয়ে গেল।আমি বললাম, আল্লাহর রাসূল দাওয়াত কবুল করতেন আর দাওয়াত হলো আমন্ত্রন।আমন্ত্রন হচ্ছে যখন ভালো কিছু রান্না করা হয় আর সেটা ভাগ করে খাওয়ার জন্য কাউকে ডেকে আনা আর এটা অনেকদিনপর একবার।খাই খাই স্বভাব আল্লাহর রাসূলের কখনও ছিলো না আর তুমি ঠিক সেই কাজটাই করো।আল্লাহর রাসূল দাওয়াত কবুল করতেন আবার দাওয়াত দিয়ে মানুষকেও খাওয়াতেন কিন্তু তুমি একটিতেও নেই।আত্মরক্ষার জন্য তখন বন্ধু জুম্মন বলে উঠলো, তুমি যখন খেতে বলো আমি তখন না করতে পারি না।কারন তুমি মনে মনে অপমানও বোধ করতে পারো।আমি বললাম, এটা সুন্দর যুক্তি হলেও এর মাঝে লুকিয়ে আছে আত্মরক্ষা।আর তোমাকে বলতে চাই এই ধরনের আত্মরক্ষা সমীচীন নয় কারন তুমি একজন বিবেকবান মানুষ।একবার দুবার খাও দশটা অর্ডার দিলে দশটাতেই তোমাকে হ্যা বলতে হবে কেন?জুম্মন বললো, তাহলে সেই মানুষটা আমাকে বলবেই বা কেন?কারন তিনি লজ্জাবোধ করেন।জুম্মন বলল, তাহলে তিনি দূরে গিয়ে খাক আমার কি?তিনি দূরে গিয়ে খেলে তুমি মনে মনে ভাববে তিনি তোমার প্রতি কেয়ার করেন না।জুম্মন বললো,তার পেটে ক্ষুধা আছে, আমার পেটে কি ক্ষুধা নেই?আমি বললাম,হুম অবশ্যই আছে কিন্তু তার কিংবা তার বাবার টাকার প্রতি তোমার কোন অধিকার নেই যেমনটা তোমার বাবার সম্পদের প্রতি তার নেই।জুম্মন চুপসে গেল।
আমি তার এই চুপসে যাওয়ার মধ্যে তাকে পাঁচ নম্বরটা বলি যেন সে উপদেশ গ্রহন করে।সমাজে যেন কেউ তাকে খাটো করতে না পারে।কিন্তু জুম্মন শেষ পর্যন্ত চলে যায়।আমি জানি তার মনে অনেক কষ্ট কাজ করছে।কিন্তু আমি মনে করি এটা তার জন্যই কল্যানকর।তার এই কষ্ট একটা সময় ক্ষোভে পরিনত হবে।আর সেই ক্ষোভই তাকে পরিশুদ্ধ করবে ইনশাল্লাহ।
০৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
‘খাই খাই’ স্বভাব পরিহার করা মানেই সুস্থ থাকা।
খাই খাই মাথায় চেপে বসতে দেবেন না। খেতে ইচ্ছা
হলেই কী করবেন তার একটা তালিকা তৈরি করে রাখুন।
যখনই মন খাই খাই করবে তখনই সেই সব কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
খাই খাই করা, দল ও প্রধানমন্ত্রীকে খাটো করার স্বভাব ছাড়ার জন্য
দলের নেতা-কর্মীদের অনুরোধ করেছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
০৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: জী।
৩| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ বলেছেন খানা।
অর্থ্যাত আল্লাহ একবার বলেছেন, খেতে এবং একবার খেতে মানা করেছেন।
তার মানে মানুষকে অল্প পরিমানে খেতে বলেছেন। খাবার অপচয় করতে মানা করেছেন।
০৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: হুম।
৪| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাপের দেশ খাও আর খাও।
০৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: হুম.....হা হা
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩০
অনল চৌধুরী বলেছেন: সিগারেট দূরে থাক,কেউ চা খেতে বললেও আমি খাই না।
প্রত্যেকেরই স্বাধীন মতামত দেয়ার অধিকার আছে।
বিনয়ের সাথে অনুরোধ প্রত্যাখান করলে অপমাণিত হওয়া উচিত না।