নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তব জীবনে আমি খুব কম কথা বলতে আর চুপচাপ থাকতে পছন্দ করলেও লিখতে খুবই ভালোবাসি, সেটা যে কোন বিষয় নিয়েই হোক! তবে অবশ্যই যে বিষয়ে জানি সে বিষয় নিয়ে :)

শব্দ যোদ্ধা

লেখালেখি হল নীরবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ

শব্দ যোদ্ধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, উদ্বিগ্ন ছাত্র-ছাত্রী

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯

গত ২৯/১২/২০১৩ ঢাকার মালিবাগ এলাকায় জামায়াত ও পুলিশের মধ্যকার সংঘর্ষে মনসুর প্রধানীয়া নামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র নিহত হয়।







ডিসেম্বর মাস প্রায় শেষ, এই মুহূর্তে দেশের প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই বন্ধ। হাতে গোনা দু’একটি সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাদে বাকি সব বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে। কিন্তু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এখনও বন্ধ করা হয়নি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের ফাইনাল পরীক্ষার দোহাই দিয়ে বাধ্য করা হচ্ছে ঢাকায় অবস্থান করতে। এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই ঢাকার বাইরে থেকে এখানে এসে পড়াশুনা করছে। দেশের বর্তমান এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে তাদের বাবা-মা সবসময় তাদের সন্তানদেরকে নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্লিপ্ততা দেখে মনে হচ্ছে তাদের সে ব্যাপারে কোন মাথাব্যাথাই নেই। এতে করে এইসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গলায় মাছের কাঁটা আটকে থাকার মত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশনার অভাবে তারা না পারছে নিজ নিজ শহরে ফিরে যেতে, না পারছে ঢাকায় অবস্থান করতে। বর্তমান পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে, নিরাপত্তা বাহিনী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কোনরকম বাছবিচার ছাড়াই অনেক নিরীহ নিরপরাধ শিক্ষার্থীদেরও গ্রেফতার করছে। এমতাবস্থায় ঢাকার বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীদের পক্ষে শহরে অবস্থান করাটাই কঠিন হয়ে পড়েছে, প্রতিটা মুহূর্তই তাদেরকে আতংকের মধ্যে কাটাতে হচ্ছে।



উল্লেখ্য, গত মাসের ২৭ তারিখ থেকে এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির শুরুর পর বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের শিক্ষার্থীদের চলাচলের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাদের ফাইনাল পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।



গতকাল হয়ত একজন শিক্ষার্থী মারা গেছে, কিন্তু কাল যে এ সংখ্যাটা বাড়বে না তার নিশ্চয়তা কে দেবে? একজন শিক্ষার্থীর জন্য পড়াশুনাটা অনেক মূল্যবান, কিন্তু সেটা নিশ্চই জীবনের চেয়ে বেশি নয়। এমন দু’একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে হয়ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কিছুই আসবে যাবে না, কিন্তু যে বাবা-মা তাদের সন্তানকে হারাচ্ছে তারা কি পারবে তাদের সন্তান হারানোর এই ব্যাথা ভূলে যেতে?!



বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই মনে করছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের সুনাম ক্ষুণ্ণের ভয়ে এখনও তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিৎ প্রথমে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দিকে দৃষ্টি দেয়া, কেননা শিক্ষার্থীরাই পারে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে। তাই সকলের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষদের এমন একটি সিদ্ধান্তে আসা উচিৎ যা সকল শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী উভয়ের জন্যই মঙ্গলজনক।

© কপিরাইটঃ আমিরুল ইসলাম লিসান

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সুমন কর বলেছেন: ভাল বলেছেন।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

শব্দ যোদ্ধা বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২

রাফছানজানি বলেছেন: গতকাল যে ছেলেটা মরা গেছে সে নাকি শিবির কর্মী ছিল?

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

শব্দ যোদ্ধা বলেছেন: এরকম যে-ই মারা যায় সেই কোন না কোন দলের কর্মী হয়ে যায়!

৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: ফাকড-আপড আরেফিন সিদ্দিকী নিজে পরীক্ষা দিক।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫

শব্দ যোদ্ধা বলেছেন: ভাই, পাবলিক ভার্সিটি দেখে হয়ত এমনটা বলতে পারতেছেন। আমরা প্রাইভেটে দেখে না পারি কিছু বলতে, না পারি কিছু করতে। কিছু করলেই আইডি ব্লক করে দিবে! :(

৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

একটু স্বপ্ন বলেছেন:
যেকোন মৃত্যুই বেদনার, তবে এটাও খতিয়ে দেখা দরকার যে মৃত্যুবরনকারী মানুষটি কেমন কাজকর্মের সাথে যুক্ত ছিল। তা যদি ক্ষতিকর/ঝুঁকিপূর্ণ বা দেশ বিদ্বেষী হয় তবে তেমন কাজে যুক্ত হওয়া থেকে বিরত থাকার ক্যাম্পেইন করতে হবে।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১১

শব্দ যোদ্ধা বলেছেন: সহমত :)

৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮

সবুজ মানব বলেছেন: লেখক
সরি অন্য পোস্টের মন্তব্য ভুলে এখানে চলে এসেছে। প্লিজ আমার মন্তব্যটি মুছে দিন

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩

শব্দ যোদ্ধা বলেছেন: মুছে ফেললাম ভাই :)

৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭

ক্যাচালবাজ বলেছেন: একটু স্বপ্ন বলেছেন:
যেকোন মৃত্যুই বেদনার, তবে এটাও খতিয়ে দেখা দরকার যে মৃত্যুবরনকারী মানুষটি কেমন কাজকর্মের সাথে যুক্ত ছিল। তা যদি ক্ষতিকর/ঝুঁকিপূর্ণ বা দেশ বিদ্বেষী হয় তবে তেমন কাজে যুক্ত হওয়া থেকে বিরত থাকার ক্যাম্পেইন করতে হবে।

সহমত

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯

শব্দ যোদ্ধা বলেছেন: আমিও সহমত :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.