নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তব জীবনে আমি খুব কম কথা বলতে আর চুপচাপ থাকতে পছন্দ করলেও লিখতে খুবই ভালোবাসি, সেটা যে কোন বিষয় নিয়েই হোক! তবে অবশ্যই যে বিষয়ে জানি সে বিষয় নিয়ে :)

শব্দ যোদ্ধা

লেখালেখি হল নীরবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ

শব্দ যোদ্ধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘নাস্তিক’ হত্যা, ইসলাম, আর কিছু প্রশ্ন!

৩১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫৭

১) ছোটবেলায় কম বেশি আমরা সবাই-ই গেমসের দোকানে গিয়ে গেম খেলেছি। সিস্টেমটা তো জানেনই, আপনি নিজের টাকা খরচ করে সেই মেশিনে গেম খেলবেন, মজা নিবেন। এখন মনে করুন, আমিও সেইরকম একটা মেশিন বসালাম যার কাজ হবে যেই সে মেশিনটা টাকা দিয়ে অন করবে তাকে আঘাত করা। এখন পাঠকের কাছে আমার প্রশ্ন হল, ধরুন আপনি স্বেচ্ছায় নিজের টাকা খরচ করে সে মেশিন অন করলেন এবং সেটার দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হলেন; এখানে দোষটা কার? আপনার না মেশিনের?

এখন আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় আমি এমন মেশিন কেন বানাব, আমি বলব “আমার নিজস্ব একটা কারন নিশ্চই আছে”। কিন্তু আগে যেটা জানা দরকার সেটা হল, আপনি আঘাতপ্রাপ্ত হবেন জেনেও কেন সে মেশিনে নিজের টাকা ঢাললেন? আর আঘাতপ্রাপ্তই বা কেন হতে গেলেন? আর আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার পর আপনার কি করনীয়? লোকজন নিয়ে মেশিন ভাঙতে আসবেন? নাকি সে পথে টাকা নষ্ট বন্ধ করে নিজের কাজে মনোযোগ দিবেন? পাঠকের জবাবের অপেক্ষায় রইলাম।



২) আপনাকে যদি আমি প্রশ্ন করি, “আপনার কোন ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান ভাল?”, আপনি কি জবাব দিবেন? নিশ্চই আপনি যে ধর্মে বিশ্বাসী, সে ধর্মের কথা বলাটাই স্বাভাবিক। অথবা আপনি যদি অনেক পড়ুয়া হন আর নিজের ধর্মগ্রন্থের বাইরে অন্য ধর্মগ্রন্থগুলোতেও আগ্রহ থাকে, তাহলে হয়ত আপনি সেগুলোর কথাও বলবেন; সেটাই স্বাভাবিক, তাই না? তাহলে আপনি যে ধর্মের বা যে ধর্ম নিয়ে আপনি পড়াশুনা করেন, সে ধর্মের ভুলত্রুটিগুলোই তো আপনার চোখে পড়বে। যে ধর্মে আপনার আগ্রহ নাই বা পড়াশুনা করেন না, সেটার ভুলত্রুটি আপনার চোখে পড়ার তো কারন নেই কারন ঐসব ধর্মের ব্যাপারে আপনি জানেন না বা আপনার জ্ঞান সীমিত। আমাদের একটা সাধারণ সমস্যা হল, আমরা যা বিশ্বাস করি তা খুব অন্ধ ভাবেই বিশ্বাস করি, কোন সমস্যা চোখে পরলেও এড়িয়ে যাই বা প্রশ্ন করতে ভয় পাই; কেন? প্রতিটা ধর্মের প্রতিটা নির্দেশের পেছনে কিছু না কিছু কারন থাকে। হয়ত বা হতে পারে আপনি জানেন না কারণটা কি, তবে অন্য কেউ নিশ্চই জানে; তাকে খুঁজে বের করুন, জিজ্ঞেস করুন, জানার চেষ্টা করুন। কিন্তু আমরা সে আগ্রহ দেখাই না কারন আমরা অন্ধভক্ত হয়ে থাকাতেই বেশি নিরাপদ অনুভব করি, কারন আমরা ভয় পাই। আমাদের সাহসের অভাবটা কোথায়? যদি কেউ কিছু বলে! যদি কেউ আমার বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলে! সেখানেই ভয়! আরে ভাই, প্রশ্ন তুললে তুলুক না। আপনি যে জিনিস বিশ্বাস করবেন তার ভিত্তিটা কি সেটা জানবেন না কেন? সেটা কতটুকু সত্য আর কতটুকু মিথ্যা, কোনটা মিথ আর কোনটা ফ্যাক্ট, সেটা জানার অধিকার তো আপনার আছেই। আর আপনার বিশ্বাস কতটা গাড় বা ঠুনকো সেটা নিশ্চই অন্যরা আপনার বিশ্বাস নিয়ে কি ভাবছে না ভাবছে তার উপর নির্ভর করবে না।



এই প্রশ্ন তোলার সাহসের অভাব যাদের মধ্যে আছে তাদেরকেই আমরা বলি ‘ধর্মান্ধ’, আর যারা খুঁতটা নিয়ে প্রশ্ন করার মত সাহস অর্জন করতে পেরেছে, প্রশ্ন করছে তাদেরকে আমরা বলছি ‘নাস্তিক’।



“নির্বাক বন্ধুর চেয়ে বাঁচাল শত্রুও ভাল” এই কথার সাথে তো আমরা সবাই পরিচিত। আপনার শত্রু যখন আপনার ত্রুটিগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, তখনই তো আপনি আপনার ত্রুটি তার কাছে ব্যাখ্যা করার সুযোগ পেলেন বা সে ত্রুটি সমাধান করে ভাল মানুষ হওয়ার সুযোগ পেলেন, তাই না? নাকি আপনার ত্রুটি কেন চোখে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিল সে কারনে আপনি তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার ফন্দি আঁটবেন? আপনি মিথ্যা বলবেন, অথচ কেউ আপনাকে প্রশ্ন করতে পারবে না আপনি কেন মিথ্যা বলছেন! আপনার মিথ্যাটাকে যদি সত্যি প্রমাণ করার মত সাহস, যুক্তি বা ধৈর্য্য না থাকে, তাহলে তো সেটা আপনারই সমস্যা, প্রশ্নকর্তার না। এটা শুধু মাত্র একটা জিনিসই প্রমাণ করে, আপনি যা বলেছেন সেটা পুরোটাই মিথ্যা। আর প্রশ্ন না করে যা শুনবেন তাই যদি বিশ্বাসে আগ্রহী হন, সেক্ষেত্রে আপনার মাদ্রাসায় পড়া উচিৎ; সেখানে সন্দেহ/প্রশ্নের কোন স্থান নেই।



৩) আমরা যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করি তারা সবাই নিশ্চই নিচের দুটি ঘটনার একটির সাথে হলেও পরিচিতঃ



প্রথম ঘটনাটি আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত, “একবার এক বিধর্মী লোক প্রচণ্ড রোদে মরুভূমির মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। এমন সময় সে একটি কুকুর দেখতে পেল যে তৃষ্ণায় এতই কাতর ছিল যে ভেজা মাটি খেয়ে তার তৃষ্ণা মেটানোর চেষ্টা করছে। কুকুরটির এই অবস্থা দেখে লোকটির খুব মায়া হল এবং তিনি একটি কুয়া খুঁজে বের করেন এবং সেখান থেকে তার জুতা খুলে তাতে পানি পুরিয়ে এনে সেই কুকুরের তৃষ্ণা মেটায়। তার এই মহানুভাবতার কারনে আল্লাহ্‌ তার সারা জীবনের সকল গুনাহ মাফ করে দেন।” [বুখারি এবং মুসলিম]



দ্বিতীয় ঘটনাটি হল “একবার বনি ইসরায়েলের এক পতিতা একবার রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তৃষ্ণায় মৃতপ্রায় এক কুকুর দেখতে পেল। ওই তৃষ্ণার্ত কুকুরের তৃষ্ণা মেটাতে পতিতা নিজের মোজা খুলে একটি কুয়ায় নেমে সেটি পানিতে ভিজিয়ে এনে কুকুরের তৃষ্ণা মেটায়। তার এই কাজের কারনে আল্লাহ্‌ তার সারা জীবনের গুনাহ মাফ করে দেন এবং তাকে বেহেশত দান করেন” [রিয়াদ-উস-সালেহিনঃ অধ্যায় ১৩]



৪) এবার আসি আসল কথায়। ধর্মের বিরুদ্ধে ফেসবুকে লেখার কারনে আজ ওয়াসিকুর রহমান নামের একজনকে আজ কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। এটা অবশ্যই প্রথম না, এর আগে গত ফেব্রুয়ারি (২০১৫) মাসে লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে, ২০১৩ এর ফেব্রুয়ারিতে রাজিব হায়দারকে, ২০০৪ এর অগাস্টে লেখক হুমায়ূন আজাদকে খুন করা হয় ‘ইসলাম বিরুদ্ধ’ লেখা প্রকাশের কারনে বা ধর্মের খুঁটিনাটি খুঁত নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারনে।



(i) নাস্তিক অপবাদে যাদের খুন করা হচ্ছে তাদের কেউ বই লিখেন, কেউ বা ব্লগে লিখেন তাদের নিজস্ব মতামত। তারা কেউ কিন্তু আপনাকে জোড় করছে না তাদের লেখা পড়ার জন্য। আপনি জানেন তারা ধর্মের ত্রুটি নিয়ে কথা বলেন, এবং সেটা সহ্য করার ক্ষমতা আপনার নেই। এইখানে আমার লেখার প্রথম অংশের উদাহরণটা টানি, আপনার ধর্মানূভূতি আঘাত লাগতে পারে জেনেও কেন আপনি তার লেখা বই নিজের পয়সায় কিনে, বা তার লেখা ব্লগ নিজের পয়সায় কেনা মেগাবাইট খরচ করে পড়তে গেলেন? সে লেখা আপনাকে কেউ জোড় করে পড়তে বলছে না, আপনি চাইলেই সেটাকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারছেন। কিন্তু সেটা না করে স্বেচ্ছায় গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হলে সেখানে লেখকের দোষটা কোথায়? সে তার সন্দেহ প্রকাশ করেছে, আপনি পারলে সে সন্দেহ দূর করুন। সেটা না করে সন্দেহ প্রকাশকারীকেই দূর করে দেয়াটা তো মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলে দেয়ার মত ব্যাপার হয়ে গেল। তাই নয় কি?



(ii) প্রতিটা ক্লাসেই দুই ধরনের শিক্ষার্থী থাকে; একদল কোন প্রশ্ন না করেই শিক্ষক যা পড়ায় তা মুখস্ত করে, আরেকদল প্রতিটা কথার পেছনের কারন খোঁজে এবং এরাই সংখ্যায় নগণ্য। আবার প্রতিটা স্কুলেই দুই ধরনের শিক্ষক থাকেন; একদল প্রতিটা কারন ব্যাখ্যা করাতে চান না (বা কারন জানেন না), আরেকদল ধৈর্য্য ধরে প্রতিটা কারন ব্যাখ্যা করেন, না জানলে আগে জেনে নেন তারপর জানান এবং সংখ্যায় কিন্তু এই ধরনের শিক্ষকদের সংখ্যাই সবচেয়ে নগণ্য।



আমার এই লেখার দ্বিতীয় অংশে বলেছি, সবাই ধর্মে অন্ধবিশ্বাস করে না। বেশিরভাগ মানুষ যেটা কারন না জেনেই বিশ্বাস করছেন, দু‘একজন হয়ত সেটার কারন খোঁজায় ব্যস্ত। হয়ত বা তার প্রশ্নের সদুত্তর না পেলে একসময় সে অবিশ্বাস করতে শুরু করবে। এখন কেউ যদি তার প্রশ্নের সদুত্তর না পেয়ে ধর্মে অবিশ্বাসী হয়ে যায়, তাহলে এখানে দোষটা কার? যে অবিশ্বাসী হয়ে গেছে তার, নাকি আমরা যারা তার জিজ্ঞাসার উত্তর দিতে পারছি না তারা? কোন ছাত্র যদি কোন প্রশ্ন নিয়ে শিক্ষকের শরণাপন্ন হয়েও উত্তর না পায়, তাহলে সেখানে আসল দোষটা কার? নিজেকে একটু জিজ্ঞেস করুন, উত্তর পেয়ে যাবেন।



(iii) হুমায়ূন আজাদ, রাজিব হায়দার, অভিজিৎ রায়, ওয়াসিকুর রহমান... এদের খুন করার একমাত্র কারন হল এরা নাকি নাস্তিক। প্রথমত, উনারা নাস্তিক না কি আস্তিক সেটা আপনি ঠিক করার কে? নাস্তিকতা বা আস্তিকতা হল মনের ব্যাপার, আর ক’টা লেখা পড়েই আপনি বুঝে গেলেন তার মনের অবস্থা?! ধর্মের কিছু খুঁত আপনার চোখের সামনে তুলে ধরায় যদি আপনার ধর্মীয়বোধে আঘাত করে তাহলে বলতে হবে আপনার ধর্মীয় বোধ খুবই ঠুনকো। এতটাই ঠুনকো যে আপনি সে খুঁত ব্যাখ্যা করার তো করছেনই না, বরং আপনার ধর্মে যেটা হারাম (মানুষ খুন করা) সেটা করার করার পরিকল্পনা করছেন, বা সেটায় সায় দিচ্ছেন। এখন তো তাহলে আপনার ঈমান নিয়ে আমার প্রশ্ন জাগছে! আমার এই লেখার তৃতীয় অংশে আমি হাদিসে বর্ণিত দু’টা কাহিনী তুলে ধরেছি। দুটো কাহিনীর দুজনের একজনও কিন্তু মুসলমান বা ইসলাম ধর্মের অনুসারি না। যারা ইসলাম রক্ষার ‘নাস্তিক’ বিনাশে নেমেছেন তাদের মতে এদের একজনও বেহেশত পাওয়া বা গুনাহ মাফের যোগ্য নয়। কিন্তু কিভাবে পেল তা তো নিশ্চই ইতিমধ্যে জেনে গেছেন। নাকি এটা বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হচ্ছে না কারন এটা আপনার চিন্তা-ধারার বিপরীত? আপনি দিনে ৫ ওয়াক্ত (বা তারও বেশি) নামাজ আদায় করে মানুষ খুন (হারাম কাজ) করে ‘বেহেশত’ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু আপনি কতটুকু নিশ্চিত যে আপনি বেহেশত পাচ্ছেন? অথবা এইটাই বা কিভাবে নিশ্চিত হলেন যে শুধুমাত্র ধর্মের খুঁত তুলে ধরার কারনে একজন মানুষ সৃষ্টিকর্তার অপ্রিয় পাত্রে পরিণত হয়েছেন এবং তাকে খুন করা আপনার জন্য ফরজ হয়ে গিয়েছে?! আপনি যাকে নাস্তিক বলে খুনের পরিকল্পনায় ব্যস্ত সে যে সৃষ্টিকর্তার কাছে আপনার চেয়েও বেশি প্রিয় নয় সেটা আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন? একবার চিন্তা করে দেখুন তো, যে ব্যক্তিকে আপনি নাস্তিক অপবাদে খুন করেছেন তাকে হয়ত সৃষ্টিকর্তা কোন ভাল কাজের জন্য পুরস্কার হিসেবে সকল গুনাহ মাফ করে দিয়েছেন। আপনার পক্ষে সেটা জানা সম্ভব নয়। নাকি এখন আবার দাবি করে বসবেন, সম্ভব?! আল্লাহ্‌ কখন কাকে কোন কাজের জন্য তার সব গুনাহ মাফ করে দিবেন, সেটা কেউ জানেন না। আর আপনি যদি দাবি করে বসেন আপনি জানেন, তাহলে আপনার ঈমান সম্পর্কে যে কারোরই প্রশ্ন জাগাটা স্বাভাবিক এবং আপনাকেও বিনাশ করা উচিৎ।



আরেকটা ব্যাপার হল, প্রতিটা মুসলিমের জন্য তার ধর্মের দাওয়াত দেয়াটা ফরজ। এখন আমার প্রশ্ন হল, আপনি যদি সব অবিশ্বাসীকে নাস্তিক অপবাদে খুন করে ফেলেন তাহলে কার কাছে ঈমানের দাওয়াত দিবেন? যে জানে তাকে গিয়ে আবার জানাবেন? যদি এভাবে অবিশ্বাসী নির্মূল করতে থাকেন তাহলে তো একসময় সে পথে আগানো ছাড়া আর কোন উপায় দেখতে পাচ্ছি না।



যা হোক! অনেক প্রশ্নই করেছি, অনেক জ্ঞান বিতরন হয়েছে। জানি না ক’টার উত্তর আমি পাব বা উত্তরের বদলে ক’টা গালি আমার জন্য বরাদ্দ রয়েছে। তবে এইটুকুই বলি, কেউ যদি আপনার একটা খুঁত চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় তাহলে তার উপর চড়াও না হয়ে বরং সেটা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করুন; না পারলে সেটা মেনে নিন, তার আগে শুধরানর চেষ্টা করুন। প্রশ্ন করাটা বা ত্রুটি নিয়ে কথা বলাটা যদি অবিশ্বাসীর লক্ষণ হয় তাহলে পৃথিবীর প্রতিটা ভাল শিক্ষার্থীই পড়াশুনায় অবিশ্বাসী।



ভাল থাকবেন :)



© কপিরাইটঃ আমিরুল ইসলাম লিসান

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২৬

Palol বলেছেন: নাস্তিক হলেই চাপাতি মারতে হবে ? এ কেমন ধর্ম ? এ কেমন শিক্ষা ?

৩১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৭

শব্দ যোদ্ধা বলেছেন: পালল /পলল ভাই, নাস্তিক হলেই চাপাতি মারতে হবে সেটা কোন ধর্মের শিক্ষা না। কেউ একজন ধর্মগ্রন্থের লাইনগুলো ভূলভাবে ব্যাখ্যা করছে, আর বাকিরা সেটা থেকে ভূল ধারনা পাচ্ছে, আর অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করছে।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:০১

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: যুক্তি দিয়ে কথা বললে তার বিপক্ষ্যে পাল্টা যুক্তি দেয়া যায় । কিন্তু অশালীন বাক্যে কথা বললে সেখানে যুক্তি দেয়া যায় না ।
আর সহ্য ক্ষমতা কম সম্পন্ন কিছু মানুষ তখন হত্যার মতো কান্ড ঘটায় যেটা কাম্য নয় ।

আমি খুব কম নাস্তিকদেরই দেখেছি যারা আলোচনায় যুক্তি দাড় করায় ,
উপরন্তু নোংড়া ভাষায় মানুষের মনে আঘাত দেয় ।
আমি সমসাময়ীক হত্যা গুলোর ঘোর বিরোধী তবুও আমার ব্যাক্তিগত অভিমত এটাই যে , এই সকল হত্যায় হত্যাকারির পরে দোষি হিসাবে উসকানি মুলক লেখা গুলো দায়ী ।

কিছুদিন পর পর একের পর এক ব্যক্তি ইসলামকে কটাক্ষ্য করে লিখবে আবার তাদের হত্যা করা হবে , মাঝখান হতে আমাদের জনজীবন বিপন্ন হবে আরও হবে সামাজিক বিশৃংখলা ।


২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩৯

শব্দ যোদ্ধা বলেছেন: পাইলট ভাই, যাদেরকে এখন পর্যন্ত খুন করা হয়েছে তাদের লেখা কি আপনি পড়ে দেখেছেন? যদি দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন হুমায়ূন আজাদ, অভিজিৎ রায়, ওয়াসিকুর এরা কিন্তু খারাপ ভাষায় লিখত না; এরা যুক্তি দিয়ে লিখত। তাহলে এদের দেখানো যুক্তি কেন না খণ্ডিয়ে তাদের ঘাড় থেকে মাথা কেন দ্বিখণ্ডিত করা হল?!

আচ্ছা মানলাম এরা নাস্তিক বলে এদেরকে খুন করা হয়েছে, কিন্তু মাওলানা ফারুকিকে কেন খুন করা হল? তিনি তো নাস্তিক ছিলেন না। বরং তিনি এমন একজন ছিলেন যার শো হাজার মানুষ ফলো করত ইসলাম জানার উদ্দেশ্যে।

এ ব্যাপারে আপনি কি বলবেন, ভাই?

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৪৯

রবিউল ৮১ বলেছেন: আপনার কথাতেই বলি --প্রতিটা ধর্মের প্রতিটা নির্দেশের পেছনে কিছু না কিছু কারন থাকে। হয়ত বা হতে পারে আপনি জানেন না কারণটা কি, তবে অন্য কেউ নিশ্চই জানে; তাকে খুঁজে বের করুন, জিজ্ঞেস করুন, জানার চেষ্টা করুন। কিন্তু আমরা সে আগ্রহ দেখাই না কারন আমরা অন্ধভক্ত হয়ে থাকাতেই বেশি সেফ অনুভব করি, কারন আমরা ভয় পাই। আমাদের সাহসের অভাবটা কোথায়? যদি কেউ কিছু বলে! যদি কেউ আমার বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলে! সেখানেই ভয়!----বিজ্ঞ নাস্তিক ব্লাগার গণ কখনই সত্যকার ভাবে জানার চেষ্টা করেন না যে ইসলামের ওই বিধান টা আসলে কেন?ওই নির্দেশটা আসলে কেন?কারণ যদি উনি সত্যি খুজতেন তাহলে উত্তর তিনি অবশ্যই পেতেন।আর উত্তর না পেলে উত্তর জানার জন্য ব্লগে বা ফেসবুকে লিখতে পারতেন।ধর্মের বিষয়ে বড় বড় স্কলার যারা তাদের নিকট প্রশ্ন করতে পারতেন কিন্তু তারা সেটা না করে ধর্মকে আক্রমণ করে কথা লিখেন।অপর কে দিনের পর দিন আঘাত করে খুব মজা উপভোগ করেন। এই সব নাস্তক ধরণের ব্লাগারগ্ণ নিজেদের অনেক বিজ্ঞ অনেক বড় মনে করার কারণে তার থেকে বড় বিজ্ঞ মানুষকে প্রশ্ন করার সাহস তাদের থাকে না।এইসব বিজ্ঞ নাস্তিক ব্লগাররা কখনোই ধর্মিয় বিধান গুলো বা নির্দেশ গুলোর প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করেন না এমন কি তারা এই সব বিষয়ে তাদের চেয়ে বেশী জ্ঞানী কারো কাছে যেয়ে বুঝার চেষ্টা করেন না।কারণ তাদেরও ভয় এটা যে তারা যেটা বিশাস করেন সেটা যদি ভুল প্রমাণিত হয়?বরং ধর্মকে গালি দিয়ে অপমান করে বেশ মজা উপভোগ করেন।

২৬ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

শব্দ যোদ্ধা বলেছেন: ধর্মকে কটাক্ষ করে মজা নেয় এমন অনেকেই আছে, তবে সবাই কিন্তু এমন না। আর সবাই এমন হলেই বা কি?! আপনি একটু কষ্ট করে উত্তরটা খুঁজে বের করে তাকে জানায়ে দেন, পরেরবার ধর্মকে কটাক্ষ করে কথা বলার কোন অপশন তার জন্য খোলা না রাখেন, তাহলেই তো হয়। কেউ যদি আপনার সম্পর্কে না জেনেই বা ভুলভাল জেনেই মজা নেয়া শুরু করে তাহলে আপনি কি করবেন? গিয়ে তাকে মারধর শুরু করবেন? নাকি তাঁর ভুল ভাঙ্গাবেন? গিয়ে অহেতুক মারামারি করার মত লোক আপনি না, সেটা আমি জানি। ঠিক সেভাবে যেহেতু ধর্মটা আপনার, সো কারও ভুল ভাঙ্গানো বা মজা নেয়া বন্ধ করার দায়িত্ব তো আপনার ঘাড়েই বর্তায়, তাই না?

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫০

গুডুবয় রুমন বলেছেন: প্রশ্নের উত্তর # ১ঃ
আমরা বাংলাদেশীরা খুবই কিওরিসিটি নিয়া থাকি, তাই অনেকেই হয়তো তোমার ঐ মেশিনে আসলেই কি হয় তা দেখার জন্য টাকা ঢেলে ট্রাই করবে এবং আঘাত প্রাপ্ত হবে।
করণীয়ঃ আমার মতে সরকারের উচিত এই মেশিনটা বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে, কোনরূপ বিশৃঙ্খলা ঘটা থেকে দেশেকে/জনগণকে রক্ষা করা। (আমি কি বোঝাতে চেয়েছি, বুঝেছো নিশ্চয়? ব্লাসফেমী আইন!)

প্রশ্নের উত্তর # ২ ও ৪ঃ
মাদ্রাসায় সন্দেহ/প্রশ্নের কোন স্থান নেই।
এটা তুমি মাদ্রাসায় না পড়ে কিভাবে বুঝলে? প্রশ্নের স্থান না থাকলে বিভিন্ন ডিগ্রীধারী শিক্ষকের প্রয়োজন হতো না ! শুধু বই মুখস্থ করাতে পারতো যে কাউকে দিয়েই ! আর তোমার জানা থাকা উচিত যে আমাদের (তোমারও) (ইসলাম) ধর্মের মূল ভিত্তি হলো "ঈমান তথা বিশ্বাস"।কোন বিষয়ে সন্দেহ থাকলে তা অবশ্যই মেটাতে হবে। এবং যার কাছে এর উত্তর পাওয়া যাবে তার কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।কিন্তু সন্দেহ প্রকাশ করে জানতে চাওয়া এক কথা আর না জেনেই কূরুচীপূর্ণ মতবাদ/গালাগালি দেওয়া অন্য কথা। দুটা কখনোই এক হতে পারে না। যেখানে একটা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করলে জেল-হাজত হয়, সেখানে একটা ধর্মের শ্রেষ্ঠ নবীকে নিয়ে কটুক্তি/গালাগালি/অশালীন ভাষায় মন্তব্য করলে তাকে এমনিই ছেড়ে দেওয়াটা কতটুকু যুক্তি সম্পন্ন ? যেকোন বিষয়ে তুমি না বুঝে থাকলে প্রশ্ন করার এবং জানার অধিকার তোমার অবশ্যই রয়েছে কিন্তু সে প্রশ্ন তুমি কার কাছে করছো? তোমার মনে যদি সততা থাকে এবং যদি প্রকৃতই সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজো তাহলে তুমি ওই বিষয়ে যারা তোমার চাইতে ভালো বুঝে তাদের নিকটে যাও,তাদের কে প্রশ্ন কর।উত্তর কর্তাও দুই রকম হতে পারে।একজন নিজে অনেক ভালো বুঝে কিন্তু অপরকে বুঝাতে পারে না আবার আরেকজন যেমন নিযে ভালো বুঝে অপরকেও বুঝাতে পারে।তুমি ১ম টাইপের লোকদের বুঝানোর জ্ঞান কম হওয়ার কারণে তাদের কাছে আজীবন ঘুরলেও তোমার প্রশ্নের উত্তর পাবে না বরং মানষিকভাবে এমন কি শাররীক ভাবে আঘাত পেতে পারো কারণ তারা যে বুঝাতে পারছে না সেটা তারা নিজেরাই জানে না বরং তারা ভাবে তুমি নিজেই বুঝতে চেষ্টা করছো না কিন্তু ২য় টাইপের লোকদের কাছে গেলে তুমি তোমার কাংখিত উত্ত্র পাবে।কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ১ম টাইপের লোকদের স্ংখ্যা ভুরি ভুরি হলেও ২য় টাইপের লোকদের সংখ্যা হাতে গোণা।আর ২য় টাইপের লোকেরা কখনই সেধে তোমার সাথে তর্কে যেয়ে তাদের মূল্যাবান সময় নষ্ট করবে না।তোমার মূর্খতায় তারা মুচকি হেসে চলে যাবে।শুধু মাত্র যখন তুমি তাদের নিকট বুঝতে চাইবে তখন তারা তোমাকে তাদের মূল্যবান সময়টুকু দিবে।
একটা তত্ত সত্য কিন্তু টিচার সেই তত্ততা আমাকে বুঝাতে পারেন নাই আমি নিজে চেষ্টা করেও বুঝতে পারি নাই অমনি আমি প্রচার শুরু করলাম সেই তত্তটা মিথ্যা।এই প্রচারে যারা ১ম শ্রেনীর লোক তারা তোমার ১২টা বাজিয়ে দিবে আর ২য় শ্রেনীর লোকেরা মুচকি হাসবে।১ম শ্রেনীর লোকেরা যেমন তোমাকে বুঝাতে না পেরে তারা উত্তেজিত হয়ে উঠে তেমনি তুমিও তাদের নিয়ে মজায় মেতে উঠো।আর তুমি ভুলেও ২য় শেনীর লোকের নিকট যাও না কারণ তোমারও মনে ভয় যে, যে প্রশ্নের উত্তর তুমি খুঁজছো সেটার উত্তর যদি সত্যিই ওই লোক তোমাকে বুঝিয়ে ফেলে?

# ৩ এই পয়েন্টে আমার মতামতঃ আল্লাহ্‌ই ভালো জানেন। তিনি কাকে কোন উছিলায় মাফ করবেন আর কাকে করবেন না ! তবে তিনি শিরক্‌ কারীকে কখনোই মাফ করবেন না !

শেষকথাঃ এই ধরণের হত্যা কান্ডের জন্য লেখকই দায়ী ! সেই তোমার আঘাতদানকারী মেশিনের মতই !

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

শব্দ যোদ্ধা বলেছেন: পাল্টা প্রশ্ন ১ঃ বাংলাদেশীরা তো কিউরিসিটির কারনে ভুলেও কোরআন শরিফের তর্জমা চেক করে পড়ে না; পড়লে সওয়াব, শুধুমাত্র সে কারনেই পড়ে। আর ধরা-বাঁধা কিছু আয়াত মুখস্ত করে রাখে যেখানে সেখানে আওড়ানোর জন্য। তো যে কিউরিসিটি আপনি নাস্তিকের লেখা পড়ার জন্য দেখান, সে কিউরিসিটি আপনি কোরআনের আয়াত বুঝায় খরচ করে সেই সব নাস্তিকের প্রশ্নের জবাব দেন না। সেটা তো উপকারে আসবে। এই ধরনের লেইম লজিক কিভাবে দেন?! আপনি আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার জন্য যদি আমার বানানো মেশিন দায়ী হয়, তাহলে তো আপনার লজিক অনুযায়ী, ঐসব লেখার জন্য ইন দ্যা ফার্স্ট প্লেস ধর্ম গ্রন্থগুলাই দায়ী। নাকি এক্ষেত্রে আবার লজিক চেঞ্জ করবেন?!

পাল্টা প্রশ্ন ২ঃ আমি মাদ্রাসায় পড়ি না বলে যে সে ব্যাপারে আমার কোন জ্ঞান থাকবে না, সেটা সম্পর্কে আপনি শিওর হইলেন কিভাবে? স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটিতেও তো বড় বড় ডিগ্রিধারীরা পড়ায়, কয়জন মুখস্ত করায় আর কয়জন বুঝায়ে পড়ায় আপনি নিজেই বলেন। আমার এক্সপেরিয়েন্স তো বলে মুখস্ত করানো টিচারের সংখ্যা শতকরা ৯০ ভাগ, আর ১০ ভাগ বুঝানর চেষ্টা করে। এখানে 'বড় বড় ডিগ্রি'-এর মূল্য কোথায় থাকল?! আর মাদ্রাসায় যে প্রশ্নের স্থান নাই সেটা আমি অন্তত খুব ভাল করেই জানি কারন আমার ৬/৭ বছর থাকা প্রতিবেশীর বাচ্চা-কাচ্চারা মাদ্রাসায় পড়ে, আমার কাজিন মাদ্রাসায় পড়ে। তাদের কাছে আপনি আনইউজুয়াল কোন প্রশ্ন নিয়ে গেলে একটাই জবাব পাবেন, "এটা কোরআন শরিফে বলা আছে"... আপনি জিজ্ঞেস করে দেখেন। আর আমি এই পোস্টটা লেখার পরেরদিনের খবর এটা "ব্লগ কি বুঝিনা, ইমানি দায়িত্বে হত্যা করেছি" । এখনও কি বলবেন সেখানে প্রশ্নের স্থান আছে?

পাল্টা প্রশ্ন ৪ঃ আপনার লজিকেই আপনাকে আটকাচ্ছি। ১ম শ্রেণীর মানুষ বেশি ঠিকাছে, তো আপনি যাদেরকে চিনেন না তাদের মধ্যে বুঝবেন কিভাবে কে ভাল বুঝায় আর কে বুঝায় না। ধরেন আপনি ক্লাস ফাইভে বসে একটা পড়া বুঝেন নাই, তখন কাকে জিজ্ঞেস করবেন? ডেফিনেটলি আপনার ক্লাস টিচারকে, তারপর ফ্রেন্ডকে। নাকি আপনি রাস্তায় রাস্তায় লোক ধরে ধরে জিজ্ঞেস করবেন, ভাই এই প্রশ্নের জবাব কি?! সাপোজ, আপনি একের পর এক লোকের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন কিন্তু জবাব পেলেন না, কয়জনকে জিজ্ঞেস করার ধৈর্য থাকবে এমন?! আর কে প্রশ্নের উত্তর জানে এটা যদি একজন জানতই, তাহলে চাকরিতে এত ইন্টার্ভিউ দেয়ার প্রয়োজন পড়ত না। কারন সবাই তো জানে আপনি কি কাজের যোগ্য তাই না? আপনার লজিক তো তাই বলে! জাস্ট এনাদার লেইম জোক (লজিক)!

পাল্টা প্রশ্ন ৩ঃ আমি যে দুইটা উদাহরণ দিয়েছিলাম দুইজনই বিধর্মী ছিল। বিধর্মী মানেই কিন্তু অন্য আরেকজনের পুজা করা সৃষ্টিকর্তা হিসেবে। এটা কি শিরকের মধ্যে পড়ে না? হযরত ওমর (রাঃ)-কে তো চিনেন, মহানবী (সাঃ) বলছিল, উনার পর যদি কেউ নবী হওয়ার সম্ভাবনা থাকত তাহলে সেটা হত ওমর (রাঃ)। এই ওমর (রাঃ)-ও কিন্তু প্রথম দিকে কাফের ছিলেন, পরে মহানবী (সাঃ)-এর সংস্পর্শে এসে মুসলিম হন। এখন আমাকে বলেন, কাফের মানে কি আপনার কাছে?! আর উনাকে যদি কাফের হওয়ার অপরাধে খুন করা হইত তাহলে সিচ্যুয়েশনটা কি দাঁড়াইত?!

সাজেশনঃ আল্লাহ্‌ আমাদেরকে আশরাফুল মাখলুকাত বানাইছে, মাথায় কিছু জিনিসও দিয়ে দিছে; ওগুলা একটু কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন। মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত, আপনি তো এখনও মসজিদেও পৌছাইতে পারেন নাই। মসজিদে পৌঁছানর চেষ্টা করেন। মাথার জিনিসগুলা ইউজ করেন, কাজে দিবে।

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

নতুন বলেছেন: অনেকের কমেন্টে পড়ে মনে হচ্ছে

ময়নাতদন্তে ওয়াশিকুরের মৃত্যুর কারন

আত্নহত্যা লিখা উচিত...


ব্লগে ধম`বিরোধিতার সাজা মৃত্যু দন্ড আর তা বাস্তবায়ন করা ঈমানী দ্বায়ীত্ব মনে করার মতন লোকের অভাব নাই দেশে....

ব্লগ আর ফেসবুকের কমেন্ট পড়লে বোঝা যায়... :(

৩১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

শব্দ যোদ্ধা বলেছেন: কারন ধর্ম দিয়ে ব্রেইন ওয়াশ করাটা সবচেয়ে সেফ ওয়ে। কেউ প্রশ্ন করার সুযোগ পায় না কারন ধর্মটা আমাদের একটা সফট কর্নার। আর বেশিরভাগ মানুষ ধর্ম রিলেটেড ব্যাপারে সহজে নাক গলাতে চায় না, কারন পাছে কেউ কিছু বলে বসে। বুঝেনই তো, আমার ঈমান অন্যজন আমাকে নিয়ে কি ভাবতেছে তার উপর নির্ভর করে -_-

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

ফাহাদ ইবনে মুরতাযা বলেছেন: " আপনার ধর্মানূভূতি আঘাত লাগতে পারে জেনেও কেন আপনি তার লেখা বই নিজের পয়সায় কিনে, বা তার লেখা ব্লগ নিজের পয়সায় কেনা মেগাবাইট খরচ করে পড়তে গেলেন? সে লেখা আপনাকে কেউ জোড় করে পড়তে বলছে না, আপনি চাইলেই সেটাকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারছেন। কিন্তু সেটা না করে স্বেচ্ছায় গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হলে সেখানে লেখকের দোষটা কোথায়?"

- যুক্তি ভাল, তবে খোঁড়া, ভাব টা এমন , আমার যা ইচ্ছা আমি করব তুমার কি?
শোনেন, আপনার মত নাস্তিকদের যেমন আস্তিকরা বোঝে না, আপনার মত নাস্তিক এবং তাদের ১৪ গুষ্টি(আপনার সাথিদের কথা বলতেসি, ফ্যামিলি না) আস্তিকদের মূল্যবোধের জায়গাটা বোঝে না। ঈমান , ইসলাম রক্ষা এগুলা ইসলামের খুব basic বিষয়, পড়াশোনা না করলে জানবেন না।

বিঃদ্রঃ তার মানে এই না যে, খুন সমর্থন যোগ্য।

২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:০০

শব্দ যোদ্ধা বলেছেন: তাহলে আরেকটা খোঁড়া যুক্তি দেই; আমি শিওর আপনি গোড়ালির নিচে প্যান্ট পড়েন, মেয়ের সাথে প্রেম/ফ্রেন্ডশিপ করেন। এখন যদি আমি আপনাকে ধর্মের বুলি শুনাই, কি বলবেন? এ ব্যাপারে আমি ১০০% শিওর আপনি বলবেন, "আমার যা ইচ্ছা আমি করব তুমার কি?", কথাটা আপনারই। এখন বলেন এই যুক্তিও খোঁড়া! আমাকে আরেকটা খোঁড়া যুক্তি দিয়ে বুঝান যে আপনার যুক্তি খোঁড়া না! আপনাদের মত পোলাপানরাই ফেসবুকে সানি লিওন, নায়লা নাইমের পেইজে লাইক দেন; আবার এখানে এখানে ঈমান আর ইসলাম রক্ষার বুলি শুনান। যত সব ফাইজলামি -_-

৭| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:৫৯

ফাহাদ ইবনে মুরতাযা বলেছেন: তোমার লেখা আর মন্ত্যব পরে মনে হচ্ছে বাংলাদেশে নির্বোধের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।শুন , তুমি জান না আমি কে, কি করি বা আমার চিন্তা কি রকম, কার সমন্ধে না জেনে কথা বলা প্রথম শ্রেণীর নির্বোধের কাজ, তুমি সেটাই করলা। তুমি জান না আমি ফেসবুকে সানি লিওন, নায়লা নাইমের পেইজে লাইক দেই কি দেই না , আবালের মতো বললে তো হবে না 'আপনাদের মত পোলাপানরাই ফেসবুকে সানি লিওন, নায়লা নাইমের পেইজে লাইক দেন; আবার এখানে এখানে ঈমান আর ইসলাম রক্ষার বুলি শুনান।' যেখানে জানার কোন উপায় নাই সেখানে বলদের মত 'আমি শিওর আপনি গোড়ালির নিচে প্যান্ট পড়েন, মেয়ের সাথে প্রেম/ফ্রেন্ডশিপ করেন। ' বলাটা শুধু বেকুবি না, অভদ্রতাও। যাক তোমার মতো ফাউলের কাছ থেকে ভদ্রতা আশা করা অনর্থক, যুক্তির বিচার তো দুরের কথা। কথা বলাটা শিখ ।

২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩৯

শব্দ যোদ্ধা বলেছেন: ১) আপনি আমাকে ভদ্রতা বা অভদ্রতা শেখানোর আগে আমাকে একটু বলুন তো, কারও সম্পর্কে না জেনে "...আপনার মত নাস্তিকদের..." বলা কোন ভদ্রতার ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে? আপনি আমার একটা লেখা পড়েই বুঝে গেলেন আমি নাস্তিক নাকি আস্তিক! পরের বার কাউকে নাস্তিক বলার আগে এই হাদিসটা একটু মনে মনে আওড়ায়ে নিবেন "যে ব্যাক্তি কাউকে কাফের বলে ডাকে অথবা আল্লাহর শত্রু বলে, অথচ (যাকে কাফের ও আল্লাহ তাআলার শত্রু বলা হচ্ছে) সে তা নয়, তখন তার কথা নিজের দিকে ফিরবে" (বুখারি, মুসলিম, মিশকাতঃ ৪৬০৬)।

২) তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন আপনি মেয়েদের সাথে কথা বলেন না বা ফ্রেন্ডশিপ করেন না! সানি লিওন বা নায়লা নাইমের পেইজ চেক আউট করেন না! পায়ের গোড়ালির নিচে আপনার প্যান্ট যায় না! আমি দুঃখিত, আপনার কথা বিশ্বাস করতে পারছি না বলে

৩) সবশেষে, ভদ্রতা বা সম্মান কেউ কাউকে শুধু শুধু দেখায় না, সেটা অর্জন করে নিতে হয়।

৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৩

শব্দ যোদ্ধা বলেছেন: আজ আবার ৪ জনকে আক্রমন করা হয়েছে; এর মধ্যে ১ জন মারা গিয়েছে আর ৩ জন এখন লড়ছে মৃত্যুর সাথে :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.