নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের কথাগুলো বলে ফেলার জন্যে এসেছি

লিসানুল হাঁসান

নিতান্তই সাধারণ মানুষ

লিসানুল হাঁসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

*********মিশন বাংলাদেশ ও সুপারহিরোরা ************

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৩


বাঙলাদেশের এই দুঃসময়ে পৃথিবীর সব সুপারহিরোরা এক হল। এই দেশটার জন্য কিছু একটাতো করতেই হয়। ঠিক হল আগে দেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সুপারম্যান , সুপারহিরোদের মধ্যে যার নাম প্রথমেই এসে , তাকে পাঠানো হবে। কিন্তু কৃষ এসে বাঁধা দিল।–এই পরিস্থিতিতে লেটেস্ট কাউকে পাঠালে ভালো হত না? সুপারম্যান প্রাচীনলোক, অবসারভেশন পাওয়ার কম। সুপারম্যান রেগে গেল।– ঐ দিনের দুধের বাচ্চা কৃষের এত বড় সাহস! বড়দের ইজ্জত দিতে জানো না? তখন মহাব্বতম্যান( ওম শান্তি ওম থেকে উদ্ভূত) বলল, নো ঝগড়া। ভালবাসা আর সম্প্রতিই “শান্তিকে” ডেকে আনে। কৃষ বলে, আরে রাখেন আপনার “শান্তি”। আমি তো সেই কথাই বলছি। আধা মানুষ আধা জানোয়ার কায়া পর্যন্ত আমার প্রেমে হাবুডুবু খেল। আমি প্রেম দিয়ে সব ঠাণ্ডা করে ফেলব।
দুজনে যখন ঝগড়া করছে তখন অন্যরা ঠিক করল স্পাইডারম্যানকে পাঠান হবে ।- আরে তোমরা চিন্তা কোরোনা । আমি ফিরে আসার সময় কয়েকজন অপরাধিকে আমার জালে বেঁধে আনব। পাপাই তখন কচকচ করে একমুঠো স্পিনাচ খেয়ে মুঠো পাকিয়ে বলল , আর আমি এক ঘুসিতে ওদের নাক ফাটিয়ে দেব।
স্পাইডারম্যান গিয়ে খবর নিয়ে এলো। দেশের অবস্থা আসলেই খারাপ। তখন সবাই মিলে মিটিঙে বসল। আমি জাল বিছিয়ে অপরাধীগুলোকে ধরব, স্পাইডারম্যান বলল । হ্যারি পটার বলল, অত সোজা না। ওরা রেলের ফিশপ্লেট পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায় আর তোমার জাল। তার চেয়ে বরং আমি “আব্রাকা ড্যাবরা” বলে সবগুলোকে ফিনিশ করে দিই। টারজান অনেকক্ষণ ধরেই কিছু বলতে চাচ্ছিল। কিন্তু কেউ শুনছে না। তাই সে আ আআ আ…বলে টারজানের স্টাইলে একটা চিৎকার দিল। এতে মিনিটখানেকের জন্য সবাই কালা হয়ে গেল। আর এই ফাঁকে টারজান তার ইচ্ছা জানালো। কিন্তু যেহেতু কেউই শুনতে পারেনি তাই সেই আইডিয়াও বাদ। দেখা গেল মিটিঙে কেউ কারো কথা মানছে না। শেষে ঠিক হল, যে যার মত ঝাঁপিয়ে পড়বে দেশটাকেকে বাঁচাতে। স্পাইডারম্যান জাল বিছিয়ে দিল। আর সুপারম্যান উড়তে গিয়ে সেই জালে আটকে আকাশ থেকে পড়ে ঠ্যাঙ ভাঙল। হাল্ক লাফ দেওয়ার জন্য একটা পাহাড়ে উঠল। কিন্তু সেই পাহাড় থেকে ভুমিদস্যুরা মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ায় পাহাড় ধ্বসে হাল্ক কুপোকাত। বেচারা হ্যারি পটার ডিজিটাল এই দেশে এসে কোনও জাদুমন্ত্রই ঠিকভাবে বলতে পারছে না। তার অদ্ভুত পোষাক আর জাদুমন্ত্র শুনে লোকে তাকে পাগল ভেবে পাবনার বাসে উঠিয়ে দিল। আর এইদিকে স্পিনাচ না পেয়ে কাওরান বাজারের ফরমালিনযুক্ত সবজি খেয়ে পাপাই কলেরা হাসপাতালে। অন্যদিকে কৃষ একসাথে দুই জনের সাথে প্রেম করতে গিয়ে প্রেমিকাদ্বয়ের বড়ভাইদের ধোলাই খেয়ে পঙ্গু হাসপাতালে। এই দেশের দুষ্কৃতিকারীদের আবার কাটাকাটির অভিজ্ঞতা ভালো। তারা রগ কাটে, অবরোধে রেললাইন কাটে, বর্ষাকালে রাস্তা কাটে, গাছ কাটে ইত্যাদি। তারা স্পাইডারম্যানের জাল কেটে টুকরা টুকরা করে দিল। এমনকি কয়েকজন ফেরিয়ালা সেগুলোকে চায়না থেকে আমদানিকৃত নতুন স্টাইলের চুলের ফিতা হিসেবে বিক্রি শুরু করে দিল। সব সুপারহিরোর এই দুর্দশা দেখে স্পাইডারম্যান রাস্তার ধারে বসে কান্না শুরু করল। লোকে তাকে ভিক্ষুক মনে করে খুচরা টাকা পয়সা ও দিয়ে গেল। তখন এক বালক এসে ওকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, আরে বোকা ,আমাদের দেশের সমস্যা সমাধানে আমাদের মানুষই যথেস্ট। কোনো সুপারহিরোর দরকার নেই। যেদিন আমাদের মানুষ জাগবে সে দিন কোন অন্যায়কারী বাঁচবে না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০০

ময়না বলেছেন: ভালো লাগলো....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.