![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি, আঁকাআঁকি করি। কখনো কোন লেখা সংবাদ, কখনো কবিতা-গল্প, কখনো পাণ্ডুলিপি হিসেবে গণ্য হয়। কোনটির বাণিজ্যিক গুরুত্ব আছে, কোনটির সামাজিক। এর একটিও আমার নিজের বলে মনে হয় না।
যশোধন প্রামাণিকের কথা মনে পড়ছে। নাটোরে পরিবার সংসার ফেলে তৃণমুল যে মানুষটি পুরোন ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় বসবাসকারী একপাল বানরের খাদ্যের কথা ভাবেন। অধিকাংশ মানুষ শারিরীক ও মানসিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়ছেন বলে যিনি নিশ্চিত হয়েছেন। যিনি মানুষে মানুষে সম্পর্ক ও সামাজিক সম্পৃতি হ্রাস পাওয়ার জন্য দায়ী করেন উঁকুনের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়াকে। যশোধন ভাবেন, আগে নারীরা যখন একজন আরেকজনের উঁকুন বাছতো আর নিজেদের কথা আদান প্রদান করতো, তার মধ্য দিয়েই জমাট বাঁধতো সামাজিক সম্পৃতি। আজ নারীরা মাথায় উঁকুননাশক মাখে, আর পাশের দরজার ভাবীর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখে না। এর মধ্য দিয়ে আবহমান বাঙালির পারস্পরিক সম্পর্ক হারিয়ে যেতে বসেছে। যশোধন ভীষণ কষ্ট পান, যখন ঢাকা শহরের গাছগুলো বিউটিফিকেশনের নামে চারদিকে কংক্রিট দিয়ে বাঁধানো হয়। যখন জলবায়ু তহবিলের অর্থ কতিপয় ভূইফোঁড় এনজিওর মাধ্যমে লুটতরাজ হয়, যখন মানব সেবার নামে কর্পোরেট সংস্কৃতিতে চালু হওয়া ‘সিএসআর’ কৌশলে কেঁড়ে নেয় গরীবের থালার ডাল-ভাত। যশোধণ প্রামাণিকের মতো মানুষের চেহারাটি যখন সামনে আসে, তখন বিশ্বাস করি বিপ্লব কখনো মরে না।
©somewhere in net ltd.