![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি, আঁকাআঁকি করি। কখনো কোন লেখা সংবাদ, কখনো কবিতা-গল্প, কখনো পাণ্ডুলিপি হিসেবে গণ্য হয়। কোনটির বাণিজ্যিক গুরুত্ব আছে, কোনটির সামাজিক। এর একটিও আমার নিজের বলে মনে হয় না।
এক.
নব্বইয়ের শেষের দিকে এসে যখন বিপ্লবীদের মুখে শুনতাম ‘বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক’। তখন তা হাস্যকর মনে হতো। কারণ ততদিনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে বিপ্লব ভাগাভাগি, নিহিত ও নিহত (?) হয়ে গিয়েছিল। আসলে অবসন্নতায় ঘুমিয়ে পড়েছিল বিপ্লব ‘সুপ্ত আগ্নেয়গিরি’র মতো। বিপ্লবের দীর্ঘ আয়ু আজ বেশ যৌক্তিক মনে হচ্ছে। ‘বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক’। আরো দীর্ঘজীবী হোক।
দুই.
আজকের সমাবেশ দেখে প্রথম দিকে একটু হতাশ হয়েছি। মনে হয়েছে প্রচলিত রাজনৈতিক সমাবেশের ধরনটিই গ্রাস করে নিয়েছে জনতার এই মহাবিস্ফোরণকে। ব্যতিক্রম এই যে বক্তব্য রাখছেন ছাত্রনেতারা। ভালো লাগলো তখন, যখন একজন জামায়াতের ধর্ম ব্যববসার পাশাপাশি বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ধর্ম ব্যবসার স্বরূপ উন্মোচন করলেন। ওই বক্তাকে ধন্যবাদ। যিনি মনে করিয়ে দিলেন বিএনপি জামাতকে আস্তিনের ভেতরে রেখে পদে পদে যেভাবে ধর্ম ব্যবসা করে, আওয়ামী লীগ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ নৌকার মালিক তুই আল্লা’ কিংবা ‘নুহ (আঃ) প্রতীক নৌকা’ ইত্যাদি শ্লোগান ব্যবহার করে ধর্মকে তার চেয়ে হয়তো একটু কম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। কিন্তু কেউই ধোয়া তুলসির পাতা নয়।
তিন.
এই বিশাল জনারণ্যে একটি সঠিক বিপ্লব, স্বাধীনতার শত্রুদের সত্যিকারভাবে চিহ্নিত করে দেয়া, দেশের ষোল কোটি মানুষকে উদ্বেগ উৎকণ্ঠার রাজনীতি থেকে মুক্তি দেয়ার মন্ত্র অবশ্যই বেরিয়ে আসবে। আর সমুলে পরাভুত হবে রাজাকার, আল বদর, আল শামস আর তার সকল উত্তরসুরী।
জ য় বা ঙ লা
©somewhere in net ltd.