![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব সাধারন একটা মানুষ আমি... বন্ধু বানাতে পছন্দ করি অন্যায় কে ঘৃণা করি...
আমাদের অনেকেরই ফুলের পরাগরেণু, ফাঙ্গাল স্পোর, ধূলোবালিতে লুকিয়ে থাকা মাইটস, বিশেষ খাবারদাবার অথবা বাহ্যিক অনেককিছুতেই এলার্জি রয়েছে। এলার্জির জন্য দায়ী এসব বস্তুকে বলা হয় এলার্জেন। যখন শরীরের ইমিউন ব্যবস্থা মনে করে যে এইসব এলার্জেনগুলো শরীরে বহিরাগত আক্রমণকারী তখনই শরীরে বিভিন্ন বিরক্তিকর উপসর্গগুলো দেখা যায়।
এলার্জি খুবই দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, যুক্তরা
জ্যে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন হেইফিভার অথবা এলার্জিতে আক্রান্ত (যেখানে বাতাসে ধূলোবালির পরিমাণ একেবারেই কম) প্রতিবছরই এলার্জি আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫% করে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যাদের মধ্যে অর্ধেকই হলো শিশু। হেইফিভার খুব একটা গুরুতর না হলেও খাবারের এলার্জি (যেমনঃ গরুর মাংস, বাদাম ইত্যাদি) থেকে থাকলে সাথে সাথে তা প্রতিকারের ব্যবস্থা করা উচিত।.
সাধারণ কারণসমূহঃ
বলতে গেলে যেকোনো কিছুই এলার্জেন হতে পারে। এটা ব্যক্তিবিশেষে নির্ভর করে। তবুও কিছু সাধারণ এলার্জেনের নাম নিচে দেয়া হলোঃ
ঘরের ধূলোতে লুকিয়ে থাকা জীবাণু, গাছ ও ঘাসের পরাগরেণু যা বাতাসে ভেসে বেড়ায়, বোলতা, মৌমাছি সহ বিভিন্ন কীটপতঙ্গের উপস্থিতি, গৃহপালিত প্রাণীর লোম, দুধ, ডিম, বাদাম, চিংড়ি/ইলিশ, গরু/ছাগল/ভেড়া/মহিষের মাংস (রেড মিট), বিভিন্ন ফল, গাছ হতে নিঃসৃত রস (যেমনঃ খেজুরের রস), পেনিসিলিন এবং বেশ কয়েকরকমের ঔষধ।
উপসর্গঃ............ হাঁচি দেয়া, নিঃশ্বাসে শাঁ শাঁ শব্দ হওয়া, সাইনাস ব্যথা করা, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ও চুল্কানো, খুশ খুশ কাশি হওয়া, গলার ভিতরে চুলকানির অনুভূতি হওয়া, শরীরের চামড়া, গাল ফুলে ফুলে যাওয়া এবং র্যা শ বের হওয়া, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বমি এবং ডায়রিয়া হওয়া
প্রতিকারঃ
যদি শুধু গলা খুশখুশ করে, চোখ লাল হয়ে যায় এবং নাক দিয়ে পানি পড়ে, তাহলে আপনি নিজে নিজেই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করতে পারেন। এলার্জির হোমিওপ্যাথিক ঔষধের নাম হলো ইউফ্রেজিয়া যা মূলত হেইফিভার/এলার্জি রিলিফ ট্যাবলেটের অন্যতম উপাদান।
প্রচুর পরিমাণে গরম পানি পান করুন, মধু এবং লেবু দিয়ে।
আপনি কোন কোন খাবারে এলার্জিক তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন, এবং সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
আপনার এলাকার আশেপাশে কোনো মৌচাক থাকলে সেখান থেকে মধু সংগ্রহ করে খেতে পারেন। কারণ এর মাঝে থাকে আপনার স্থানীয় গাছগুলোর ফুল হতে সংগৃহীত পরাগরেণু, যা আপনি খাওয়ার ফলে আপনার ইমিউন সিস্টেম সেগুলোর সাথে পরিচিত হয়ে যাবে, এবং পোলেন কণার প্রতি আপনার এলার্জির ঝুঁকি কমে যাবে।
ইউক্যালিপটাস গাছের পাতা অথবা তেল গরম পানিতে মিশিয়ে গোসল করুন। নাকে ভাঁপ নিন।
ঝালমশলাযুক্ত খাবার খেতে পারেন, যা আপনার নাশ্বারন্ধ্রকে পরিস্কার হতে সাহায্য করবে। তবে বেশি মসলাও কিন্তু ভাল নয়!!!
বাইরে গেলে গাড়ির কাঁচ তুলে রাখুন। রিক্সা দিয়ে চলাফেরা করলে মুখে মাস্ক পরুন।
অতিরিক্ত রেড মিট বর্জন করুন।
ঘর পরিস্কার রাখুন। ঘরে বেশি ধূলোবালি জমতে দেবেন না। ধূলোর পুরোনো আস্তরণের মাঝে মাইটসদের বংশবৃদ্ধি দ্রুত হয়।
ঘরে কুকুর, বেড়াল, খরগোশ ইত্যাদি লোমশ জন্তু না পালাই শ্রেয়।
বাজারে নানা রকম এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ পাওয়া যায়। এদের মধ্যে আবার দুইরকম প্রকারভেদ আছে। সবসময় প্যাকেট দেখে যেটা নন-ড্রাউজি অর্থাৎ যেটা খেলে ঘুম আসে না, সেটা কিনুন। সবসময় ভাল কোম্পানির ঔষধ কিনুন। আপনি যদি এলার্জিতে বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকেন, তাহলে সবসময় একপাতা ঔষধ এবং ছোট একবোতল পানি সাথে রাখুন।
হাঁচি দিতে রুমাল ব্যবহার করুন। হাতে লালা অথবা নাক হতে পানি লেগে গেলে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন।
শুভকামনা
সংগৃহীত (স্বাস্থ্য কথন)
২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৫৮
লোনা স্বপ্ন বলেছেন:
২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:০০
রাতুল_শাহ বলেছেন: ভাল পরামর্শ দিয়েছেন ভাই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৫৮
লোনা স্বপ্ন বলেছেন:
৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:১০
ডার্কম্যান বলেছেন: থেংকু
২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৫৯
লোনা স্বপ্ন বলেছেন: ডবল থাঙ্কু পড়ার জন্য
৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০২
আমার ইচ্ছে বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পুস্টের জন্য।ভাই আমি প্রায় দের বছর ধরে ১টা সমস্যায় ভুগছি তাহল,ঘুম ভাংলেই আমার হাচি পায় এবং টানা ৪-৫ টা আসে এবং তাপ মাত্রার পরিবর্তন হলেও মানে আমি ঘরে আছি একরকম তাপমাত্রায় বাহিরে ১টু বেশি ঠান্ডা অথবা ১টু বেশি গরম এরকম হলেও হাচি পায় ।কি করা যায় ১টা ভাল পরামর্শ দেন প্লিজ।আমার থেকে আমার রুমমেটেরও একই সমস্যা দেখা দিছে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:০৪
লোনা স্বপ্ন বলেছেন: ভাই সব সময় শরীরের উপর নজর দিন। এক সময় আমার এই সমস্যা ছিল। ধুলা বালি থেকে দূরে থাকুন। বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যাবহার করুন। রুম এর ভিতর মশার কয়েল ব্যাবহার করবেন না। পারলে মশারি ব্যাবহার করুন। সরাসরি ফ্যান অথবা এসি এর নিচে ঘুমাবেন না। চেষ্টা করবেন সবসময় যেন কোন ভাবে ঠাণ্ডা না লাগে। এক টানা ৪-৫ টা হাঁচি কোন রোগ না। তবে যদি এটা নিয়মিত হতেই থাকে তাহলে সেটা সমস্যা। বেশি খারাপ মনে হলে বিশেষজ্ঞ কোন চিকিৎসক এর সাথে যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ পোস্ট পড়ার জন্য। সুস্থ থাকুন
৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৬
এমদাদ হোসেন জাবেদ বলেছেন: ভাই যদি পারেন ওষুধের নামটা ইংরেজিতে লিখবেন।
আর কোথায় পাবো তা যদি লিখেন উপকৃত হবো।
দীর্ঘ দিন এই সমস্যা ভুগতেছি, অনেক ডাক্তার দেখাইছি কাম হয়না।
এখন এলার্জির ওষুদ সাথে রাখি।
দেশে আসলে অনেক কষ্ট পাই ভাই। ১ মাস থাকি তাতেই ২০ দিন এই সমস্যা থাকে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:২৯
লোনা স্বপ্ন বলেছেন: এর পরের পোস্ট এ আরও বিস্তারিত জানাব .। পড়ার জন্য ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:৩৮
নক্ষত্রপথ বলেছেন: +++