নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কংক্রিটের জঞ্জালে একজন সাধারণ মানুষ।

অগ্নিপাখি

প্রতিদিন হাজারো মানুষ হারিয়ে যায়, আমি সেই হারিয়ে যাওয়া মানুষদেরই একজন। ভালবাসি বই পড়তে, বই সংগ্রহ করতে, স্ট্যাম্প জমাতে, ভাল চলচ্চিত্র দেখতে, মাঝে মাঝে লেখালেখি করতে, ভালবাসি কবিতা আর ভালবাসি একা একা পুরনো ঢাকায় ঘুরে বেড়াতে। হুমায়ুন আহমেদ আমার প্রিয় লেখক। এছাড়া অন্যান্য লেখকদের বইও ভালো লাগে। অন্যান্য লেখকদের মধ্যেঃ আহমদ ছফা, রশিদ করিম, মুনতাসির মামুন, মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, আনিসুল হক, নিমাই ভট্টাচার্য, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, জাহানারা ইমাম, সৈয়দ মুজতবা আলী, শহীদ জহির রায়হান, সত্যজিৎ রায়, তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণ, সুনীল, সমরেশ , খূশবন্ত সিং, এলান পো, এরিখ মারিয়া রেমার্ক, মার্ক টোয়েন, ম্যাক্সিম গোর্কি, ভিক্টর হুগো, ফ্রাঞ্জ কাফকা, পাওলো কোয়েলহো, হারুকি মুরাকামির লেখাও অনেক বেশী ভালো লাগে। মন খারাপ থাকলে কবিতায় ডুবে যাই। আবুল হাসান, শহীদ কাদরি এবং জীবনানন্দ আমার খুব প্রিয় কবি। মুক্তিযুদ্ধ আমার অন্যতম পছন্দের একটা বিষয়। মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা যে কোন বই পেলে কিনে পড়ি। ঘৃণা করি যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের। এইতো এই আমি।

অগ্নিপাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্যা গ্রিন মাইল ঃ টম হ্যাঙ্কস এর আরেকটি অসাধারণ ক্লাসিক

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:২৫

টম হ্যাঙ্কস নামটার সাথে পরিচয় হয় যখন আমি কলেজে পড়ি। তখন থেকেই মূলত ভালো ভাবে মুভি দেখা শুরু করি। তখনকার রাইফেলস স্কয়ার [বর্তমান সীমান্ত স্কয়ার ] থেকে ডি. ভি. ডি কিনে মুভি দেখার শুরু। তখন কম্পিউটার ছিল না আমার। ডি. ভি. ডি তে মুভি দেখে অলস ছুটির দুপুরগুলো কাটাতাম। টম হ্যাঙ্কস এর প্রথম যে ছবিটা দেখি তা অবধারিত ভাবে “ফরেস্ট গাম্প”। অসাধারণ এই মুভিটার প্রতিটা মুহূর্ত প্রতিটা ডায়ালগ এবং কাহিনী দুর্দান্ত ছিল। এখনও মনে পরে ফরেস্ট এর বলা অসাধারণ কিছু ডায়ালগ ঃ “ Mama always said- Life is like a box of chocolate; you never know what you are going to get.” অথবা ফরেস্ট এর বান্ধবি জেনির সেই বিখ্যাত ডায়ালগ- “Run Forest run… Run forest run.” এরপর একে একে দেখে ফেলি এই অসাধারণ অভিনেতার- ফিলাডেলফিয়া, কাস্ট এওয়ে, চার্লি উইলসন্স ওয়ার, দ্যা টার্মিনাল, দ্যা ভিঞ্চি কোড, এঞ্জেলস এন্ড ডিমন্স। তবে “দ্যা গ্রিন মাইল” মুভিটার নাম শুনলেও এরপর আর দেখা হয়ে উঠেনি। গত পরশু দেখে ফেললাম ১৯৯৯ অস্কারের ৪ টি বিভাগে নির্বাচিত হওয়া এই অসাধারণ মাস্টারপিস।





মুভিটির কাহিনী এগিয়ে গিয়েছে লুইজিয়ানা নার্সিং হোম এর পল এজকম্ব নামে এক ব্যাক্তির স্মৃতিচারণের মাধ্যমে। ১৯৩৫ সালে পল মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামীদের জন্য সংরক্ষিত একটি জেল এর “প্রিজন অফিসার” ছিলেন। মূলত এখান থেকেই মুভির কাহিনী শুরু হয়। একদিন “কোল্ড মাউনটেন পেনিটেনশিয়ারি” তে দুজন বাচ্চা মেয়েকে খুন করবার দায়ে নিয়ে আসা হয় “জন কফি” নামের বিশালাকার নিরীহ ও ভীত চেহারার এক নিগ্রো আসামীকে। এরপরই সেখানে একের পর এক ঘটতে থাকে কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা যার কোন ব্যাখ্যা কেও খুঁজে পায় না। ঘটনার শুরু হয় যখন জন কফি, পল এর “ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন” শুধু মাত্র স্পর্শ করবার মাধ্যমে ভালো করে দেয়। এরপরই আরও অনেক অলৌকিক অদ্ভুত কিছু ঘটনা ঘটতে থাকে সেখানে। একসময় পল এর মনে সন্দেহের উদ্রেক হয় যে জন কফির মতো এরকম নিরীহ লোক কি আসলেই এই জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর পল জনের কাছ থেকে তার দণ্ড কার্যকরের কিছুদিন আগে পায় এবং হতবাক হয়ে যায়। উত্তরটা কি ছিল? যারা যারা দেখেন নি এই মাস্টারপিস তারা এখনি বসে পড়ুন তা জানার জন্য। মুভির শেষের দিকে যখন জন কফির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় তার আগে জন এর সেই কান্নামাখা কথা শুনে চোখের পানি ধরে রাখতে পারি নি ঃ

“You tell God the Father it was a kindness you done. I know you're hurting and worrying. I can feel it on you. But you ought to quit on it now. I want it to be over and done with. I do. I'm tired, boss. Tired of being on the road, lonely as a sparrow in the rain. I'm tired of never having me a buddy to be with......to tell me where we's going to, coming from, or why. Mostly, I'm tired of people being ugly to each other. I'm tired of all the pain I feel and hear in the world......every day. There's too much of it. It's like pieces of glass in my head... ...all the time. Can you understand?”





ইলেকট্রিক চেয়ারে বসানোর আগে জন কফি এর বলা ঃ

They’s a lot of folks here that hates me…Lot’s….I can fell it.

জন কফির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবার মুহূর্তে তার আরও কিছু চোখে পানি এনে দেয়া ডায়ালগ ঃ

-I’m sorry for what I am.

-Please boss…don’t put that thing over my face…Don’t put me in the dark…I’m afraid of the dark.

বিশেষ করে জন কফিকে হাঁটিয়ে ইলেকট্রিক চেয়ারে নেয়া আর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবার পূর্বে কান্নাজড়িত কণ্ঠে জন কফি যে অসাধারণ ডায়ালগ গুলো বলে তা আপনাতেই আপনার চোখে পানি এনে দিবে।











অসাধারণ অসাধারণ এবং অসাধারণ একটা মুভি।

জন কফি চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় এর জন্য “মাইকেল ক্লার্ক ডানকান” [১৯৫৭-২০১২]/ ১৯৯৯ অস্কার আসরে “বেস্ট সাপোর্টটিং অ্যাক্টর” বিভাগে নমিনেশন পান।

যারা এখনও দেখেননি এই অসাধারণ ক্লাসিক বসে পড়ুন। ৩ ঘণ্টারও কিছু বেশি ব্যাপ্তির এই মুভির প্রতিটা মিনিট উপভোগ্য।













মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৫৬

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: Alright

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:১১

এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার একটা মুভি।

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩১

অগ্নিপাখি বলেছেন: এহসান সাবির, ক্যাপ্টেন ফিলিপ্স টাও দেখতে পারেন। এখনও দেখি নাই। তবে এইটাও অসাধারণ মুভি হবে বলাই বাহুল্য।

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০২

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: সেভিং মিস্টার বাঙ্কসওঁ সুন্দর হয়েছে দেখতে পারেন ।

৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩

অগ্নিপাখি বলেছেন: নামানো আছে মুভিটি। দেখা হয়নি। দেখে ফেলব শীঘ্রই।

৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৪

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভাল লাগা একটা ম্যুভি। মাইকেল ক্লার্ক ডানকানের অভিনয় এখনও চোখে ভাসে !!

৩০ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২৫

অগ্নিপাখি বলেছেন: অসাধারণ একটা ছবি। এখনও দেখি মাঝে মাঝে।

৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮

আহসানের ব্লগ বলেছেন: আমার খুব প্রিয় একটা মুভি ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯

অগ্নিপাখি বলেছেন: আমারও খুব প্রিয় মুভি এইটা।

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯

অগ্নিপাখি বলেছেন: আমারও খুব প্রিয় মুভি এইটা।

৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

আহসানের ব্লগ বলেছেন: সেভিং প্রাইভেট রায়ান দেখেছেন ?

২২ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

অগ্নিপাখি বলেছেন: মুভিটা নামানো আছে তবে ব্যাস্ততার কারনে এখনোও দেখা হয়ে উঠে নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.