নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের বিপরীতে চলা মানুষ

স্রোতের উল্টো দিকে ভেসে চলা আজও ফুরায়নি আমার। পারিনি মোহের কূলে নোঙ্গর ফেলতে; যাইনি ডুবে কোন আঁধার অতলান্তে। রচেছি শুধুই আপন দহনের পারাবার।

একজন একা

একা একা পথ চলা; একা একা কথা বলা...

একজন একা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোটর নিউরন

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:২১

মোটর নিউরন নামক অসুখটি হল স্নায়ুতন্ত্রের একটি অস্বাভাবিক অবস্থা যা পেশীর স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রনকে অকেজো করে দেয়। এই রোগটি ধীরে ধীরে মানুষকে দুর্বল করে ফেলে, মাংসপেশী বিকল করে দেয় এবং এক পর্যায়ে রোগী শারীরিক ভাবে অক্ষম হয়ে যায়।



মস্তিষ্ক এবং স্পাইনাল কর্ডের মাঝে মোটর নিউরন নামক বিশেষ স্নায়ুকোষের ক্রমাগত ক্ষয় হয়ে যাওয়াই হল এই রোগের কারন। মোটর নিউরন নামক এই স্নায়ুকোষের দ্বারাই আমাদের চলাফেরা, কথা বলা, খাদ্যবস্তু গেলা, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং কোন কিছু মুঠো করে ধরার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো নিয়ন্ত্রিত হয়। তাই যতই দিন যেতে থাকে মোটর নিউরনে আক্রান্ত মানুষটির জন্য জীবন যাপন ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে পরে এবং একসময় রোগী শারীরিক ভাবে অক্ষম হয়ে যায়।



এই অসুখ কেন হয় তা এখনও পরিষ্কার নয় এমনকি খাদ্যাভ্যাস বা জীবনযাত্রার সাথে কোনভাবে রোগটি সম্পর্কিত কিনা তাও এখন পর্যন্ত ধারনা করা যায়নি। তবে অসুখটি বংশগত বলে ধারনা করা হচ্ছে। শতকরা ৫ ভাগ রোগীদের কেস হিস্ট্রি থেকে পাওয়া যায় যে তাদের পরিবারের কোন সদস্য মোটর নিউরনের রোগী ছিলেন।



মোটর নিউরন অসুখের উপসর্গ যন্ত্রনাহীন এবং ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রথমে শরীরের একপাশ অকেজো হয়ে যায়। কিছু প্রথমিক লক্ষন হলো কোন কিছু মুঠো করে ধরতে না পারা, হাত উচু করতে না পারা, কথা জড়িয়ে যাওয়া, পা টেনে টেনে চলা। পায়ের গোড়ালিতে ভর দিতে না পারা এবং ফলে হঠাত পড়ে যাওয়া এই রোগের আরেকটি লক্ষন।



মোটর নিউরন রোগ নির্ণয়ের কোন সুনির্দিষ্ট পরীক্ষা নেই। এই রোগের কোন উল্লেখযোগ্য চিকিৎসাও এখনও পাওয়া যায়নি। কিছু চিকিৎসা করা হয় শুধু মাত্র রোগীর দৈনন্দিন জীবনের কষ্ট লাঘবের লক্ষ্যে। কিন্তু এই চিকিৎসা অসুখের অগ্রগতি থামাতে পারেনা। এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিরা বেশির ভাগই তিন থেকে চার বছর বেঁচে থাকে। যদিও কেউ কেউ দশ বছর পর্যন্ত বা তার বেশি বাঁচে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৭

কাবিল বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২১

একজন একা বলেছেন: লেখাটি পড়বার জন্য ধন্যবাদ।

উল্লেখ্য, বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এই অসুখে ভুগেছেন। আমাদের দেশের বিখ্যাত নাট্য ব্যাক্তিত্ব খালেদ খানও মোটর নিউরন রোগী ছিলেন।

আমার সবচাইতে আপন একজন এই রোগে ভুগে মারা গেছেন।

২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৪৯

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: হয়তো আমিও এমন কেউ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১০

একজন একা বলেছেন: সেকি!!! এমন কথা কেন বলছেন???

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: সমস্যা আছে দেখেই বলেছি। নিয়তি। খোদার ইচ্ছা।

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

একজন একা বলেছেন: শুনে মন খারাপ হয়ে গেলো। আল্লাহ্‌ আপনার সহায় হোন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.