![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একা একা পথ চলা; একা একা কথা বলা...
"তুমি নিরাপদ নও" -এই বোধটি একটি মেয়ে অনুধাবন করতে পারে ৫ বছর বয়স থেকেই।
এবং এই বোধের আরম্ভটা হয় কতিপয় পুরুষ আত্মীয়দের দ্বারা। সবার আদর যে একইরকম নিষ্কলুশ নয়; এই ধারনাটি শিশুকাল থেকেই একটি মেয়ে অবচেতন ভাবে পেয়ে যায়। এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই 'নিরাপত্তার অভাব' ব্যাপারটি ডালপালা মেলে বিশাল মহীরুহে পরিনত হয়।
একটি মেয়ে নিজেকে পুরুষদের হিংস্র থাবা থেকে বাঁচিয়ে চলার অভ্যাস করতে করতে একসময় ভুলে যেতে বসে সে শুধুই একজন মেয়ে নয়, সে একজন সম্পূর্ণ মানুষ। পারিবারিক জীবন, শিক্ষা জীবন কিংবা পেশাগত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে হয় শারীরিকভাবে অথবা মানসিকভাবে হয়রানির শিকার হতে হতে মেয়েরা এটাকেই নিয়তি বলে মেনে নিতে শুরু করে।
এখনও.. এই আলট্রা মডার্ন যুগেও এমন অনেক মহিলা আছেন, যারা সংসারের কাজে একটু এদিক সেদিক হলেই স্বামীর কটু কথা শুনার ভয়ে অস্থির হয়ে থাকেন। তারা সারাক্ষণই মেন্টাল ডিপ্রেশনে ভুগেন এবং ধীরে ধীরে ভিতরে ভিতরে মরে যেতে থাকেন। এটাও এক ধরনের নির্যাতন যা বাহ্যিক দিক থেকে বুঝা যায়না।
সমগ্র পৃথিবীতে যতসংখ্যক নারী সেক্সুয়াল ভায়োলেন্সের শিকার হয়, তাঁর দুই তৃতীয়াংশই থেকে যায় লোকচক্ষুর অন্তরালে এবং বিচার বহির্ভূত। ইওরোপিয়ান দেশগুলোতেই প্রায় ৪৫ শতাংশ নির্যাতিত মহিলা পুলিশ কমপ্লেইন করেনা; সেখানে বাংলাদেশের কথা তো বাদই দিলাম। সম্মানের ভয়ে নির্যাতিতার আপনজনেরা ন্যায় বিচারের দাবী ছেড়ে দিয়ে মুখ লুকায়; আর নির্যাতনকারীরা বীরের বেশে ঘুরে বেড়ায়। ওহহো! ভালো কথা.. পুলিশের কাছেও কিন্তু নারীরা সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়!!
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিক, শিক্ষক- যত বড় পেশাতেই মেয়েরা প্রতিষ্ঠিত হোক না কেন, কোন না কোন ভাবে তাকে কতিপয় পুরুষের কাছে লাঞ্ছিত হতে হয়। শারীরিকভাবে অথবা মানসিকভাবে...। আবার নির্যাতনের শিকার না হলেও পেশাজীবি মেয়েদের গ্লাস সিলিঙের শিকার হতে হয় অহরহ।
যুগ পাল্টে যায়, জীবনধারা পাল্টে যায়; কিন্তু নারীদের অনিরাপত্তার অভিশাপ কাটেনা। নারী নির্যাতনের চিত্রটি রয়ে যায় সেই একইরকম...
১২ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১৩
একজন একা বলেছেন: আরজুপনি আপু, এতদিন আমি যার ব্লগ মুগ্ধ হয়ে পড়েছি, আজ সেই আমার ব্লগ অনুসরনে নিলো; এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে গেলে বিপদে পড়ে যাবো। প্লিজ অনুভব করে নিন আমার অনুভূতিটি।
ব্লগে আমি একেবারেই শিশু; তাই আপনাদের সকল রকম গাইডেন্সের প্রত্যাশায় রইলাম।
ধন্যবাদ।
২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:২৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। এমন অবস্থার বাস্তবিক পরিবর্তন ও সকল নারীর সম-অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দাবি। আমরা নিজেরাই সচেতন হলে নারীদের নিরাপত্তা কিছুটা নিশ্চিত করতে পারি। অনেক যুক্তিযুক্ত লেখনী।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১
একজন একা বলেছেন: ধন্যবাদ, ভ্রমরের ডানা।
বাস্তবতা হলো অনেক শিক্ষিত মেয়েরাও এখনো নিজেদের স্বনির্ভর করে তুলতে পারেনি বলেই এত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিতদের কথা আর নাইবা বললাম।
শুভ কামনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০
আরজু পনি বলেছেন:
মন খারাপ করা লেখা ।
নারী কোন দিক থেকেই নিরাপদ নয় ।
আপনার নিকটাও মন খারাপ করা...
অনুসরনে নিলাম।
একজন একা হতে পারে কিন্তু তার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী থাকে।
শুভব্লগিং।