![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একা একা পথ চলা; একা একা কথা বলা...
আজ টিভিতে আর অনলাইনে সারাদিন ধরে বাংলা বর্ষবরণ দেখেই কাটিয়েছি। এখনো দেখছি। দেখা ফুরোচ্ছেনা। দু'টো ব্যাপার আমার দৃষ্টি কেড়েছে।
১. কিছু অনলাইন ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পয়লা বৈশাখের জনসমাগমকে কাজে লাগিয়েছে পজিটিভলি। কিভাবে? একটু খেয়াল করলেই দেখবেন বেশ কিছু মানবিক আবেদনের ইভেন্ট খোলা হয়েছে। যেমন- ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসার জন্য সাহায্য চেয়ে, এক অসুস্থ মাকে বাঁচানোর জন্য সাহায্য চেয়ে; এমনি আরো অনেক..। এছাড়া দেশের দরিদ্র সাধারন মানুষের জন্য কিছু করার প্রয়াস নিয়ে কাজে নামা কয়েকটি গ্রুপও তাদের ফান্ড রাইজিংয়ের জন্য নিজ উদ্যোগে খাবারের স্টল দিয়েছে, রঙ-তুলি নিয়ে আল্পনার কাজ করেছে। একেবারেই মধ্যবিত্ত ঘর থেকে আসা সাধারন শিক্ষার্থীরাই এসব করেছে। তারা কিন্তু পারতো আর সবার মতো আনন্দ ফুর্তি করে দিনটি কাটিয়ে দিতে। কিন্তু তারা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়েছে নিজেদের দায়িত্ববোধের তাড়নায়। অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মাঝেই তারা আনন্দ খুঁজে নিয়েছে।
২. টিভিতে খবরে দেখলাম নামকরা কিছু ফাইভস্টার হোটেল নববর্ষ উপলক্ষ্যে দেশীয় খাবারের জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন করেছে। নানান রঙবেরঙের খাবার আর বর্ণিল ডেকোরেশনের মাঝে দামী পোষাক পরিহিত নামী বাঙ্গালীরা তাদের বিদেশী বন্ধুসহ সেই আয়োজনের শোভাবর্ধন করছে!! আর হোটেল কর্তৃপক্ষ তেলা মাথায় তেল ঢালতে পেরে যারপরনাই বিগলিত। আর কত ভায়া...? সারা বছরইতো তাহাদের সার্ভিস দিচ্ছো। এই তাহাদের জন্যইতো আজ ইলিশ মাছ একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর মুঠোয় বন্দি। একদল মানুষ আছে এই অভাগা দেশে যারা প্রতিদিনের দু'বেলা খাবার জোগাড় করতে যেয়ে বার্ন ইউনিটে কাতরায়। কিছু শিশু আছে যারা ক্ষুধা মেটাতে ডাস্টবিনের শরণাপন্ন হয়; আদর করে আমরা তাদের ডাকি টোকাই। খোলা আকাশের নিচে ঘুমানো এমন অনেক বৃদ্ধ অসহায় মানুষ আছে যারা ভালো খাবার অনেকদিন চোখেও দেখেনি।
এরাও তো বাঙালী। নববর্ষ কি তাদের জন্য নয়? সারা বছর শত শত কোটি টাকা কামানো এই হোটেল কর্তৃপক্ষ কি পারেনা অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটানো মানূষগুলোকে এক বেলার জন্য ফ্রী সার্ভিস দিতে? উৎসব কেন শুধু ধনীদের প্লেটে শোভা পাবে? এ তাহলে কেমন ঐতিহ্য উদযাপন যা সবার মুখে হাসি ফোটাতে পারেনা? এ তাহলে কেমন ধরনের জাতীয় উৎসব যা একদিনের জন্য হলেও দরিদ্রের দুঃখমোচন করতে পারেনা?
নামেমাত্র এই আনন্দ উৎসবকে ধিক্কার জানাই।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৪
একজন একা বলেছেন:
২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:৫৬
রিয়াসাত মোর্শেদ খান বলেছেন: ভিন্ন ডাইমেনশানের চিন্তাটা ভালো লাগলো।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৮
একজন একা বলেছেন: লেখাটি পড়েছেন বলে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:০৯
তাসরুজ্জামান বাবু বলেছেন: হুম, একমত!
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৮
একজন একা বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪৬
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: এরাও তো বাঙালি।
ক'জন মনে রাখে কথাটা?
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০১
একজন একা বলেছেন: এদের কথা কেউই মনে রাখেনা...
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৫৯
ফ্রস্ট বাইট বলেছেন: