নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের বিপরীতে চলা মানুষ

স্রোতের উল্টো দিকে ভেসে চলা আজও ফুরায়নি আমার। পারিনি মোহের কূলে নোঙ্গর ফেলতে; যাইনি ডুবে কোন আঁধার অতলান্তে। রচেছি শুধুই আপন দহনের পারাবার।

একজন একা

একা একা পথ চলা; একা একা কথা বলা...

একজন একা › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্টিল আ লং ওয়ে টু গেট পিওর ডেমোক্রেসি

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৬

"খেলার মধ্যে ফাউল হয়ই..."



"আমি খেলোয়াড়, কেউ ভালো না খেললে সে দোষ আমার নয়..."



উপরের উক্তি দু'টি আজ প্রসব করেছেন অদূরবর্তী ভবিষ্যতের দুই নগরপিতা।



আমি আমার ক্ষুদ্র জীবনে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ির যে খেলা দেখে আসছি- তাতে এইসব ডায়লগ খুব একটা আশ্চর্যজনক নয়। আপনাদের খেলা অব্যাহত থাকুক। দর্শক হিসেবে আমরা আমজনতা তো আছিই।



আমরা তরুন প্রজন্ম এই খেলা দেখে দেখে নিজেদের হতাশার বোঝা বাড়িয়েই চলেছি। সুস্থধারার রাজনীতি দেখার জন্য আমাদের আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে জানা নেই। তবে কি বাংলাদেশের রাজনীতির যে সোনালী অধ্যায়ের ইতিহাস আছে তার আর কোন পুনরাবৃত্তি হবেনা?



এখন যে বিএনপি'র অস্তিত্ব রয়েছে তা পক্ষান্তরে বিএনপি'র ফসিল মাত্র। আরো আগেই রাজনীতি থেকে তাদের বিদায় নেয়া উচিত ছিলো। বিগত চার মাস ধরে তারা আন্দোলনের নামে জনগণের জান-মাল নিয়ে যে পুতুল খেলা খেলেছে তাতে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তাদের হার সুনিশ্চিত ছিলো। তারপরও তারা সাহস করে নির্বাচনে অংশ নিতে এগিয়ে এসেছিলো।



কিন্তু, গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত যা ঘটলো তাতে দুই দলই তাদের জনপ্রিয়তা কমানোর পথে আরেকটু অগ্রসর হলো। আওয়ামীলীগ পোষা পুলিশের সহায়তায় তাদের কর্মকাণ্ড দিয়ে প্রমানিত করে দিলো ২০১৩ সালে খালেদার নির্বাচন বর্জন করাটা্ই যৌক্তিক ছিলো। একটা ধ্বংসাবশেষ রাজনৈতিক দলকে যদি সরকার শক্তিশালি প্রতিপক্ষই মনে করে তবে খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরওয়ানা নিয়ে গড়িমসি করলো কেন?



রাজাকারের সাথে হাত মেলানো বিএনপি ইস্যু খুজছিলো কিভাবে নির্বাচনে সিনক্রিয়েট করা যায়। এখন সরকার দলীয় লোকজন বিভিন্ন রসালো উক্তি দিয়ে বিএনপিদের উস্কিয়ে দিচ্ছে নতুন করে হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য। মরবে তো আর কেউনা। এই আমজনতাই। তাহলে, রাজনৈতিক অস্থিরতাকে নতুন ডাইমেনশন দেয়ার পিছনে সরকারও কি সমান ভাবে দায়ী হবেনা?



আমার মতে, নগরপিতা নির্বাচনের সাথে রাজনীতি মেশানো ঠিক না। এ নির্বাচন নগর উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে যুক্ত। তাই দল না দেখে, ব্যাক্তি দেখে ভোট দেয়াটা যুক্তিযুক্ত ছিলো। কিন্তু, দুই দলই বহুল প্রতিক্ষীত এই নির্বাচনের সাথে রাজনীতি মিশিয়ে জনসাধারনের কাছে নিজেদের মুখোশ উন্মোচন করে আবারো প্রমান করলো এদেশে গনতন্ত্র আসার পথ এখনো কতটা কণ্টকাকীর্ণ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০১৫ রাত ২:৩৭

জ্বিনল্যান্ডের জ্বিন বলেছেন: সীমার ও একটা লিমিট থাকে। যা শুরু করেছে কয়লেতো আম্রা খারাপ।

০২ রা মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

একজন একা বলেছেন: ভালো বলেছেন। সীমারও একটা লিমিট থাকে। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.