![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একা একা পথ চলা; একা একা কথা বলা...
বইয়ের নাম : মে ফ্লাওয়ার
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
প্রকাশকাল : ১৯৯১
প্রকাশনী : অনন্যা
বিভিন্ন দেশের ৪৫ জন সাহিত্যিকদের সম্মেলন উপলক্ষ্যে তিন মাসের জন্য আমেরিকা ভ্রমনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন লেখক এই বইটিতে।
বইয়ে যথারীতি হুমায়ূনীয় স্টাইলের সাবলীল বর্ণনা উপস্থিত যা পাঠককে ঘটনাস্থলে নিয়ে হাজির করে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে যা সবচে' বেশি মনে ঠেকে তা হলো আমেরিকার জীবনধারার প্রতি হুমায়ূন আহমেদের প্রগাঢ় বিতৃষ্ণবোধ।
চকচকে আধুনিকতায় সমৃদ্ধ যে আমেরিকা অনেকেরই স্বপ্নের দেশ; সেই দেশের নাগরিকদের জীবনাচার, নিঃসঙ্গতা, কৃত্রিমতা, কদর্যতা এবং অবশ্যই দরিদ্র শ্রেণীর অসহায়ত্ব চিত্রিত হয়েছে লেখকের জবানীতে। আমেরিকার এই রুপটি আসলে ওপেন সিক্রেট হয়ে আছে যা সবাই জেনেও জানতে চায়না।
তবে মজার বিষয় হচ্ছে, ৯০ সালের আমেরিকার যে জীবনযাত্রা নিয়ে লেখক এত হতাশা প্রকাশ করেছেন, আজ বাংলাদেশেও প্রায় তেমন জীবনের দিকেই ক্রমশঃ আমরা ধাবিত হচ্ছি। ভাগ্যিস লেখক এই দুর্দিন দেখার আগেই চলে গেছেন...।
এর পাশাপাশি "মে ফ্লাওয়ার" -এ প্রকাশ পেয়েছে গুলতেকিনের সাথে হুমায়ূন আহমেদের বন্ধুত্বপূর্ণ ভালোবাসার এক অপরুপ কেমিস্ট্রি। দু'জনের সারারাতের ট্রেনজার্নির বর্ণনাটুকু সত্যিই অনেকদিন মনে রাখার মতন।
বেঁচে থাকুক লেখক আরো অনেক অনেক বছর এমনি সব সৃষ্টির মধ্য দিয়ে পাঠক হৃদয়ে।
০৮ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪
একজন একা বলেছেন: মদ্যপান করে গভীর রাতে মায়ের বাড়ি ফেরা আর ছোট্ট শিশুটি রাত বারোটা/একটা পর্যন্ত গেটের কাছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মায়ের জন্য কাঁদতো।
এই ঘটনাটি "মে ফ্লাওয়ার" বইটির নয় সম্ভবত। আমি পড়তে গিয়ে পাইনি।
ধন্যবাদ।
২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:০০
নিয়েল হিমু বলেছেন: হুমায়ূন আর সৃষ্টি করবে না বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে না । চলে আসছে ১৯ জুলাই আবারো ।
০৮ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫
একজন একা বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:১৫
প্রামানিক বলেছেন: বইটি আমি ১৯৯১সালেই পড়েছিলাম। কাহিনী এখনও মনে আছে। মদ্যপান করে গভীর রাতে মায়ের বাড়ি ফেরা আর ছোট্ট শিশুটি রাত বারোটা/একটা পর্যন্ত গেটের কাছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মায়ের জন্য কাঁদতো। ঘটনাটি আমার হৃদয়কে ব্যথিত করেছিল।