নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

The Demon known as Beelzebub is a Semitic deity that was worshiped in the Philistine city of Ekron. In Biblical sources he appears as a demon and the name of one of the seven princes of Hell.

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস

Demon prince Beelzebub aka Baal; lord of the flies, driver of the plague, representer of immense hunger.

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাধনা টুথ পাউডার - কাছে আসার গল্প

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫২

(১)

সরকারি চাকরিজীবী ছেলে ছুটিতে বাসায় এসেছে।
খাবার টেবিলে -

মাঃ আহারে, মেসে খেয়ে একেবারে শুকিয়ে গেছিস। এইবার একটা বিয়ে কর। তোর কোন পছন্দ আছে?
ছেলেঃ না, মা। তোমার পছন্দই আমার পছন্দ।

(২)

ছেলে আবার বাড়িতে এসেছে। তিন দিন থাকবে।

মাঃ তোর জন্য একটা মেয়ে দেখেছি। খুব লক্ষ্মী একটা মেয়ে। কালকে চারটায় আমজাম রেস্টুরেন্টে থাকবে। দেখা করিস।
ছেলেঃ ঠিকাছে।

(৩)

আমজাম রেস্টুরেন্টে ছেলে মেয়ে এক কোণায় বসে আছে। দুইজনেই নার্ভাস। কেউই আগে বিপরীত লিঙ্গের কারো এতো কাছাকাছি বসেনি। ছেলে ভাবছে কি বলা যায়। রান্নাবান্না জানে কিনা জিজ্ঞেস করলে অভদ্রতা হয়ে যাবে। তাই পড়াশুনা দিয়েই শুরু করল -

ছেলেঃ কি করেন আপনি?
মেয়েঃ অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়ছি।
ছেলেঃ বাহ, বেশ। তো এইম ইন লাইফ কি?
মেয়েঃ এইতো বিসিএস ক্যাডার হওয়া।
ছেলেঃ (দীর্ঘশ্বাস)
মেয়েঃ কি হল?
ছেলেঃ আসলে মেয়েদের চাকরি করা আমি লাইক করি না।
মেয়েঃ (দীর্ঘশ্বাস)

(৪)

মেয়ে বাসায় যেতে যেতে ভাবছে কি করবে। বাসা থেকে বাবা বলে দিয়েছেন এমন সরকারি কর্মকর্তা পাত্র মিস হলে তাকে সৌদি প্রবাসীর সাথে বিয়ে দিয়ে দিবেন। তাছাড়া পড়ালেখার যে অবস্থা বিসিএস দূরে থাক প্রাইমারির টিচার নিয়োগ পরীক্ষায় পাশ মিলবে কিনা সন্দেহ। আর রক্ষণশীল হলেও ছেলেটাকে ভালো মানুষ বলেই মনে হল। এই যুগে বউকে কয়জন বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ানোর কথা ভাবে! সাতপাঁচ ভেবে গৃহিণী হবার শর্তেই বিয়েতে রাজি হয়ে গেল।

(৫)

বিয়ের দিন। কাজি সাহেব দেনমোহরের এমাউন্টটা জানতে চাইছেন।

মেয়ের বাবাঃ দশ লাখ।
ছেলের বাবাঃ মস্করা করেন। দশ লাখ চাইলে কোন ঘাঁটের মরা শিল্পপতির কাছে মেয়ে বিয়ে দিতেন। দুই লাখের বেশি এক টাকাও না। এই চল, এখানে তোর বিয়ে করতে হবে না।

শেষ পর্যন্ত চার লাখে দফারফা হল। দুই লাখ আদায়ি, দুই লাখ বকেয়া।

(৬)

বাসর ঘরে ছেলে আরেক দিকে মুখ ঘুরিয়ে বসে আছে। অনেকক্ষণ কোন সাড়া নেই।

মেয়েঃ এই যে, সারা রাত কি এভাবেই বসে থাকবেন। বউয়ের দিকে একবার তাকান।
ছেলেঃ মোহরানা না দিয়ে তাকাই কিভাবে? তোমার বাপ যে দেনমোহরের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন কবে শোধ করতে পারব জানি না?
মেয়েঃ থাক, দেয়া লাগবে না। মাফ করে দিলাম।

সত্যি! বলে ছেলে মেয়েকে জড়িয়ে ধরল।


এ হচ্ছে আমাদের সমাজের সত্যিকারের কাছে আসার গল্প। এভাবেই আমাদের আশেপাশের সুখী পরিবারের সদস্যরা পরস্পরের কাছে এসেছিলেন।

(ত্রিপল এক্স জান্ডার কেজ মুভি দেখে বউ জানতে চাইল এটা এভেঞ্জার্সের প্রিকুয়াল কি না। এই কথা শুনে মাথার তারতুর ছিড়ে যাওয়ায় এই আজাইরা গল্পটা লিখলাম।)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেচারীকে এই লেভেলে নিয়ে গেছে সুযোগ পেয়ে?

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশে এতকিছু ঘটছে, এগুলোর ব্যাখ্যার দরকার।

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: ছেলেরা বেকার মেয়েদের বিয়ে করতে পারলেও মেয়েদের পক্ষে বেকার ছেলেদের বিয়ে করা সম্ভব না। তাই বিয়ের জন্য ভাল চাকরিজীবী ছেলে পাওয়া কঠিন। একারণে ছেলেপক্ষ সর্বদা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে।

৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:৫৩

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: ++++++++++++++++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.