![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার যা কিছু ভাললাগা তা জানাতেই এই ব্লগে আসা।
আমাদের পরিবারে এবং নিকট আত্নীয় স্বজনদের মধ্যে অনেকই ডাক্তার এবং সেইজন্যই আজকের আমার এই লেখার অবতারনা। আমাদের পরিবারের অনেকই সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন এবং সৎভাবে জীবন যাপন করে রিটায়ার করেছেন।
বর্তমানে আমার ভাই, বোন এবং বন্ধুদের ও দেখছি সৎভাবেই জীবন যাপন করছেন।
ভাই ডাক্তার হওয়ার কারনে ভাবী ডাক্তার আর বোন ডাক্তার হওয়ার কারনে বোনদের স্বামীরাও ডাক্তার।
যারা আমাদের পরিবারে বাইরে থেকে এসেছে তাদেরকেও আমার এতদিনে দেখে মনে হয়েছে সৎ ছেলেমেয়ে। আরো একটা ব্যাপার মনে হয়েছে
আমাদের বাংলাদেশে পড়াশোনায় বেষ্ট কোয়ালিটির ছেলেমেয়েরাই
ডাক্তারী পড়ে । স্বাভাবিক ভাবেই তাদেরকে দেখলেই ভাল লাগে। আমার আত্নীয় বা বন্ধু বান্ধবরা ডাক্তার বলেই বলছি না। আমি দেখেছি কি পরিমান পড়াশোনা করতে হয় ডাক্তার হওয়ার জন্য। পড়তে পড়তে খারাপ কিছু করার সময় পাওয়ার কথা না।( আমাদের পরিবারে যারা ডাক্তার তারা বেশীর ভাগই সরকারী মেডিকেল কলেজ থেকে পড়া) আমি ব্যাক্তিগত ভাবে প্রাইভেট মেডিকেল থেকে পড়া ছেলেমেয়ে বেশী পাইনি তবে দুই একজন যারা আছে তাদেরকেও আমার অনেক ব্রাইট মনে হয়েছে।
আমার কাছে মনে হয়েছে ডাক্তারী পেশায় জড়িয়ে যাবার কারনে প্রতিদিন বিভিন্ন কারনে এত মানুষ মারা যায় দেখতে দেখতে একটু ইনসেন্সসেটিভ হয়ে যায় । তার মানে এইনা যে তারা পড়ালেখা না জানা ছোট বেলা থেকে ভ্যালুলেস ভাবে বড় হওয়া বাংলাদেশের বস্তির ছেলেদের মতন কিছু করার জন্য প্রস্তুত থাকবে।
মানুষের শরীরের ভিতরে শিক্ষা নামক শব্ধটি যদি সত্যিই থেকে থাকে তবে সে কিছুতেই খারাপ হতে পারে না।বিশেষ করে যাদের পিতামাতা কষ্ট করে বাচ্চাদের মানুষ করেছেন।
সাংবাদিক ভাই ও বোনরা এখন গরমের মধ্যে যেইভাবে কাজ করে তা প্রশংসার যোগ্য । কিন্তু যারা ক্যামেরার পিছনে থাকে তারা কতখানি যোগ্য তা বলাই বাহুল্য। ক্যামেরায় ছবি ধারন করা একটি কারীগরী শিক্ষা বলে আমার কাছে বিবেচিত।
বিশ্বজীৎকে প্রকাশ্যে মারার সময় তাই তারা ভিডিওটি ধারন করা নিয়েই ব্যস্ত ছিল অতগুলো সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যান থাকা স্বত্ত্বেও বিশ্বজীৎকে বাচাঁনো সম্ভব হয়নি। কিন্তু বিনিময়ে যে চিত্র ধারন করা হয়েছে এখনো এতদিন পড়ে যদি হঠাৎ করে দেখানো হ্য় আমি শিউরে উঠি।
বলাই বাহুল্য আমি আজকে অনেকদিন পড়ে লিখতে বসেছি কারন কিছু বিষয় আমাকে বিব্রত করেছে।
একটি হাসপাতালে লিফটে উঠাকে কেন্দ্র করে যে ঘটনাটি ঘটে গেল তা বিব্রতকর । আমরা যদি একটু সচেতন হই এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করি তাহলে কিন্তু এত হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না।
এত রোগীর ভীড়ে যারা সত্যিকার ভাবে অসুস্থ হন তাদেরকে যথোপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়ার মতন ভালো ডাক্তার আমাদের দেশে থাকা স্বত্বেও ভাল মতন চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না। এরকম একটি ঘন বসতিপুর্ন দেশে একজন ডাক্তার যোগ্য হয়ে ওঠার জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশকে একটি সোস্যাল ল্যাবট্যরী বলা হয়ে থাকে। যেই প্রতিকুলতার মধ্যে একজন ডাক্তার কাজ করে সেই বিষটি ভেতর থেকে না দেখলে বোঝার উপায় নাই। প্রতিটি হাস পাতালে ডাক্তারদের ওঠা নামার জন্য আলাদা লিফট থাকে যাতে তাঁরা তারাতারী রোগীদের কাছে পৌছাঁতে পারে বা প্রয়োজনে উপড়ে নীচে যেতে আসতে পারে। সেই লিফট সাধারন জনগনের ব্যাবহারের জন্য নয় ...নট ইভেন ফর এ মস্তান। এতটুকু জ্ঞান একজন সাধারন মানুষের থাকা উচিত যে কতজন মানুষকে একজন ডাক্তা্রকে দেখতে হয়। যেই ডাক্তা্রটি এই পৃথীবিতে প্রতিটি মানুষের জীবনে সুস্থ্যতা ফিরিয়ে দিচ্ছে আল্লার অশেষ রহমতে, বিনিময়ে তাঁর যেই ভালবাসা প্রাপ্য তার কতটুকু আমরা এবং আমাদের এই অশিক্ষিত এবং অর্ধশিক্ষিত জনগোষ্টী মুল্যায়ন করতে পারছি আমার কাছে একটি বিরাট প্রশ্ন হয়ে আছে।
এরমধ্যে একদিন আমার এক ডাক্তার ছোট বোন এসে আমাকে বলল “ আপু আমাদের দেশের গরীব মহিলারা আমাদেরকে যখন ডাকে তখন পেছন দিক থেকে “ এই সিষ্টার এই সিষ্টার বলে” কিন্তু একজন পুরুষ ডাক্তারকে ঠিকই স্যার স্যার করতে থাকে।“
আমি ভাবলাম আমরা যখন কোর্টে থাকি আমাদেরকে এই একই শ্রেনীর লোকজন ম্যাডাম ম্যাডাম করতে থাকে তার স্বাধের ছেলেকে জামিনে মুক্ত করবার জন্য আর যা টাকা পয়সা লাগবে তা খরচ করতে প্রস্তুত থাকে।
তাহলে ব্যাপারটা কি দাড়ালো ?!
‘আমি অসুস্থ হইছি, এইটা সরকারী হাসপাতাল, তোমার দায়িত্ব আমাকে ঠিক করা। আর যদি ঠিক করতে না পারো তাইলে তোমরা কিসের ডাক্তার। “
আর এরাই যখন উকিলের কাছে আসে বিভিন্ন রকম অপরাধ করে।। শাস্তি থেকে বাচাঁর জন্য... তখন বলে “ম্যাডাম যত টাকা লাগে লাগুক .ম্যাডাম আগে জামিন করান ম্যাডাম .........।“ আগে ম্যাডাম, পড়ে ম্যাডাম। মনে হয় এসি মহলে ছিল এখন কয়েকদিন হাজতে থাকলে মারা যাবে। খারাপ কাজগুলো করার সময় এই ব্যাপার গুলো কিছুতেই মনে থাকে না।
এত ক্যামেরাম্যান, এত সাংবাদিক এনারা সবাই কি প্রশিক্ষন প্রাপ্ত !? যদি তাই হয় এখন কোনো বিয়ের প্রোগ্রামে গেলে ওদের যন্ত্রনায় পারিবারিক ছবি তোলা যায় না। পেছন দিকে যে আত্নিয় স্বজনরা আছে তারা যে বিয়ের প্রোগ্রামটি উপভোগ করার জন্য এসেছে তা আর বিবেচনায় থাকে না।
আসলে আমাদের কালচারে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরা সব কিছু মেনে নেই। যারা সাধারন মানুষ তারা পারিবারিক এবং সামাজিক ভাবে ভুক্তভোগী হয়ে রই । কিছুই বলার নাই ......কিছুই করার নাই। সমাজের সবাই সচেতন হউক এবং ভাল থাকুক এই কামনা করছি।
০৭ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৯
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। অনেকদিন পড় লিখতে এসে লেখাটি গুছিয়ে লিখতে ব্যার্থ হয়েছি বলে মনে হচ্ছে। তারাঘুরো করে লেখা আসলেই ভাল লেখা হয় না। সময় করে, ভাল করে মনের ভাব ব্যাক্ত করতে পারাটাই মুখ্য । কিন্তু সময় এত কম যে সেই সুযোগটা হয়ে উঠলো না। সবাইকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি নিয়ে পড়ার আমন্ত্রন রইল আপনার মন্তব্যের উত্তরের উছিলায়। ভাল থাকবেন।
২| ০৭ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫১
বৃষ্টি ভেজা শিকারী বলেছেন: মানুষের শরীরের ভিতরে শিক্ষা নামক শব্ধটি যদি সত্যিই থেকে থাকে তবে সে কিছুতেই খারাপ হতে পারে না।
এই কথার সাথে কিঞ্চিত মতবিরোধ আছে।
বর্তমান বাংলাদেশের সবচেয়ে খারাপ প্রজাতি সাংবাদিক এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই, ওরা নথিভুক্ত সন্ত্রাসী। পুলিশের চেয়েও একধাপ উপরের।
তবে এটাও ঠিক যে, ডাক্তাররা পরিপূর্ন ভাবে ঠিক তো নাই ই বরং এতদিন ধরে ডান্তারদের একচ্ছত্র মানসিকতা লাখো রোগীদের সর্বস্ব খ্যান্ত করেছে, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই।
মানুষ ডান্তারদের কাছে অতিরঞ্জিত আব্দার করে তার অর্থ এটা নয় যে এট অন্যায়, বরং এটা বেশি কাছের মনে করা।
উকিল বুদ্ধির খেলা করে আর ডাক্তার তার অর্জিত শিক্ষা দিয়ে নিয়ম্মাফিকভাবে চিকিতসা করে। দুইজনের সেক্টর ভিন্ন। এ করে দেখার সুযোগ নাই।
আমার মনে হয়, প্রত্যেক্কে তার নিজের অবস্থান থেকে যেমন সততা অবলম্বনের দরকার তেমনি সাধারন মানুষের ও উচিত বিচক্ষন্তার প্রমান রাখা।
০৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: সুন্দর ও যুক্তি সম্পন্ন বক্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শিক্ষা মানুষকে অনেক সময় অহংকারী করে তুলে এই কথাটা আমার আশা উচিত ছিল। আর প্রবাদ আছে অহংকার পতনের মুল।
৩| ০৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২২
মহিদুল বেস্ট বলেছেন: একদম খাপের খাপ কথা!
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আসলে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার, দরকার একে অপরের প্রতি আস্থাশীল হওয়া। পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব থাকতে হবে।