নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুঁজে ফিরি নিজেকে নিজের অন্তরালে

হাসান মুহিব

শুধু লিখতে চাই, মনের অন্ধ কুটিরে লুকিয়ে রয়েছে হাজারো বর্ণমালা

হাসান মুহিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওপরা উইনফ্রের মুখোমুখি লান্স আর্মস্ট্রং এবং ডোপিং স্বীকারোক্তি

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০২





অপরা উইনফ্রেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে লান্স আর্মস্ট্রং যা বলেছেন," ডোপিং ছাড়া সাত বার ট্যুর দ্যা ফ্রান্স জিততে পারতাম না। ওটা আমারই ভুল ছিল। আমি আজ এখানে বসে আছি অপরাধ স্বীকার করার জন্য। আমি দুঃখিত যা করেছি। জীবনটা বড় বেশিই রূপকথার মতো ছিল। অনেক দিন বেঁচেছিল সেই রূপকথা। প্রায় অলৌকিক, একেবারে নিখুঁত। “ইট ওয়াজ মিথিক, পারফেক্ট স্টোরি......অ্যান্ড ইট ওয়াজ নট ট্রু।”

অপরা উইনফ্রে-র টক শো-এ রূপকথাকে এভাবেই আর্মস্ট্রং বললেন, “এই সময়কার গল্পটা বড্ডই কদাকার, বিষময়, অসত্য রূপকথা, সত্য অপ্রিয়।"



সারা বিশ্বময় সবচেয়ে আলোচিত টকশো। পাঁচটা প্রশ্ন ছিল। যার জবাব দিতে হবে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’-য়ে।



এক, আপনি কি নিজের সাইক্লিং পারফরম্যান্সের উন্নতির জন্য কখনও নিষিদ্ধ রাসায়নিক ব্যবহার করেছেন?

দুই, সেই রাসায়নিকগুলোয় কি ‘ইপিও (ইরিথ্রোপোইয়েটিন)’ ছিল?

তিন, পারফরম্যান্স ভাল করার জন্য কখনও কি ব্লাড ডোপ বা ব্লাড ট্রান্সফিউশন করিয়েছেন?

চার, টেস্টোস্টেরন, কর্টিজন বা হরমোন বর্ধক ড্রাগ নিয়েছেন কোনও দিন?

পাঁচ, আপনার সাত বার ত্যুর দ্য ফ্রাঁসে খেতাব জয়ে কি এক বারও নিষিদ্ধ ড্রাগ নিয়েছিলেন?




পাঁচ বারই লান্স আর্মস্ট্রংয়ের জবাব এল, “হ্যাঁ। বাংলাদেশী সময় অনুযায়ী শুক্রবার দুপুর ১।৩০ তিনি টিভির পর্দায় নিজেকে প্রাণপণে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতে করতে স্বীকার করলেন, “সারা দুনিয়াকে এত দিন ধরে মিথ্যা বলে এসেছি। ‘ওয়ান বিগ লাই’। ড্রাগ না নিলে সাত বার ট্যুর দ্য ফ্রাঁসে জিততে পারতাম না। কোনও মানুষের পক্ষেই তা সম্ভব নয়।”







রুপকথার দিনপঞ্জিঃ



১৯৯৬ টেস্টিকুলার ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসায় পরের বছরই রোগমুক্তি।

১৯৯৯ প্রথম ট্যুর দ্য ফ্রান্স খেতাব।

২০০০ সিডনি অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ। প্রথম বই ‘ইটস নট অ্যাবাউট দ্য বাইক’ প্রকাশিত।

২০০৪ ষষ্ঠ বার ট্যুর দ্য ফ্রান্স জেতার পর তাঁকে নিয়ে দুই সাংবাদিক পিয়ের ব্যালিস্টার ও ডেভিড ওয়ালশের লেখা বই ‘এল এ কনফিডেন্সিয়াল’ প্রকাশিত। যাতে প্রথম আমস্ট্রংয়ের বিরুদ্ধে ডোপিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়।

২০০৫ টানা সাত বার ট্যুর দ্য ফ্রান্স জিতে অবসর ঘোষণা। ফরাসি সংবাদপত্র ‘লেকিপ’ দাবি করে, ১৯৯৯-এ নেওয়া ও সংরক্ষিত তাঁর মূত্র নমুনায় নিষিদ্ধ ইরিথ্রোপোয়েটিন পাওয়া গিয়েছে।

২০০৬ ডোপিংয়ের অভিযোগ থেকে মুক্তি।

২০০৮ পেশাদার সাইক্লিংয়ে ফেরার সিদ্ধান্ত।

২০১০ ট্যুর দ্য ফ্রান্সে ২৩তম স্থান। প্রাক্তন সতীর্থ ফ্লয়েড ল্যান্ডিস প্রথম তাঁর ও লান্সের ডোপ করার কথা ফাঁস করেন। অভিযোগ নিয়ে সরকারি তদন্ত শুরু আমেরিকায়।

২০১১ আন্তর্জাতিক সাইক্লিং থেকে অবসর।

২০১২ ফেব্রুয়ারিতে সরকারি তদন্ত বন্ধ। জুনে মার্কিন ডোপিং বিরোধী সংস্থার রিপোর্টে তাঁর ডোপ করার তথ্য। তিনি স্বীকার না করলেও প্রতিবাদও করেননি। ওই সংস্থা কর্তৃক ১৯৯৮ অগস্ট থেকে জেতা তাঁর যাবতীয় খেতাব কাড়ার সিদ্ধান্ত। এর বিরুদ্ধেও আবেদন জানাননি আমস্ট্রং।

২০১৩ টিভি টক শোয়ে অবশেষে স্বীকারোক্তি। মেনে নিলেন নিয়মিত ডোপিং করতেন তিনি।



বিস্তারিত জানার জন্য কিংবা টক- শোর পুরো টা জানতে ,

http://www.bbc.co.uk/sport/0/cycling/21065539

http://www.bbc.co.uk/sport/0/cycling/21072708

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.