নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুঁজে ফিরি নিজেকে নিজের অন্তরালে

হাসান মুহিব

শুধু লিখতে চাই, মনের অন্ধ কুটিরে লুকিয়ে রয়েছে হাজারো বর্ণমালা

হাসান মুহিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ ও কিছু কথা

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

" অমর একুশে"



সামনে ২১ শে ফেব্রুয়ারী । সেই সব শহীদের প্রতি রইলো লাল সালাম। যাদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা আমাদের মাতৃভাষা পেয়েছি। পেয়েছি মাতৃভূমি । পেয়েছি মা, মাটি , আর লাল সবুজের পতাকা।



ঘটনা-১ : ঠিক কবেকার কথা , মনে নেই। সকালে পত্রিকা খুলেই এক বীভৎস ছবি। ৩১ শে ডিসেম্বর রাত ১২ টা। একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে কাঁদছে। ৭-৮ জন ছেলে তার পরনের কাপড় টেনে টেনে ছিঁড়ে উলঙ্গ করার চেষ্টা করছে। মেয়েটার সর্বাঙ্গে ছেলেগুলোর কিলবিলে হাত। আর আরও অনেক ছেলেরা দৃশ্যটি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছে । না, এরা ৭১ এর হানাদার বাহিনী নয় । এরা এই দেশের সবচাইতে বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

ঘটনা-২ : বাজারে এক পর্ণ সিডি ছড়িয়ে পড়লো। সিডির নায়ক, দেশের সবচাইতে নামী ও অভিজাত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তা, সেই নায়ক সাহেব আমাদের দেশে ‘লুকানো ক্যামেরায় পর্ণ ছবির’ জনক। তিনি অনেক মেয়ের সাথে প্রেম করতেন এবং তাদের শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও বাজারে বিক্রি করতেন। এই মেয়েদের মধ্যে একজন পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছিলো।

ঘটনা-৩ : দেশের পাবলিক মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করা একজন মহিলা চিকিৎসক ধর্ষিত এবং খুন হলেন একজন ওয়ার্ড বয়ের কাছে। মিডিয়া তোলপাড় হল। নারীনেত্রীরা সরব হলেন। নিরব রইলেন শুধু সেই মেয়েটির সহপাঠীরা । অনেক ধরনের দাবি নিয়ে যারা প্রায়ই হাসপাতাল এ চিকিৎসা দেয়া বন্ধ করে দেন , একটু ইচ্ছে করলেই তারা মেয়েটির খুনের বিচার চেয়ে লড়াই করতে পারতেন, তাতে আর কিছু না হোক, ধর্ষণকারীরা কিছুটা হলেও সাবধান হতেো।

পবিত্র শিক্ষাঙ্গনকে কলঙ্কিত করা এমন শত শত নারী নির্যাতনের ঘটনা আমি এই মুহূর্তে বলতে পারি, যেসবের কোন প্রতিবাদ হয়নি সহপাঠীদের কাছ থেকে।

ঘটনা ৪ : একটি সনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতাশালী এক ছাত্র নেতা একদিন কেক কেটে ঘোষণা করলেন, তিনি ১০০ মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন।সাথে সাথে খবরটি ছড়িয়ে পড়ল সারাদেশে। খবর ব্যাবসায়িরা প্রচার করলো , এই ১০০ টি মেয়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্রী। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ জন ছাত্র ১০০ জন ছাত্রী কে ধর্ষণ করেছে, বিষয়টা কতটা অবাস্তব আর হাস্যকর এবং আদৌ সম্ভব কিনা , সেটা যাচাই করার মত সময় বা ইচ্ছা কারো ছিলনা। সেই ছাত্রনেতা স্বীকার করল, সে ধর্ষণ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আশে পাশের গ্রামের কিছু মেয়েকে , সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষিত হয়েছিল ২ জন। কিন্তু, মিডিয়া সেটা মানবে কেন? গ্রামের মেয়েরা ত অহরহই ধর্ষিত হয় । কিন্তু ১০০ ছাত্রী ধর্ষণের মত রগরগে এবং রসাল ঘটনা পাবলিক যে বেশী খাবে। সাংবাদিকরা ঠিকই ভেবেছিলো। পাবলিক খবরটা শুধু খেলোনা, চিবিয়ে চিবিয়ে খেলো। কেউ কেউ আবার আবিস্কার করল, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব মেয়েই ধর্ষিত । এই বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম ‘জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ ।

প্রথম তিনটি ঘটনায় আমি কোন নাম উল্লেখ করিনি। কারন, কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কে কলঙ্কিত করার ইচ্ছা আমার নাই। আমি শুধু আত্মভোলা বাঙ্গালী জাতীকে মনে করিয়ে দিতে চাই, নারী নির্যাতন বাঙ্গালী জাতীর নাড়ির স্বভাব। দেশের ছাত্র সমাজ , বাংলাদেশের বাইরে নয়। তাই, প্রায়ই এই ধরনের ঘটনা দেশের সব স্কুল , কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে। আমাদের দেশ সেই দেশ, যেখানে নারী ধর্ষিত হলে সবাই ঘটনাটাকে প্রথমে চাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এই কাজটা শুধু গ্রামের গরীব অশিক্ষিত লোকেরা করে তা কিন্তু নয়।দেশের সর্বচ্চ ডিগ্রীধারী , সর্বচ্চ সন্মানের অধিকারী লোকটিও একই কাজ করে । দুর্ভাগ্যক্রমে কোন কারনে যদি ঘটনা প্রকাশিত হয়ে যায় , তাহলে প্রথম যে কাজটি করা হয়, তা হল, ধর্ষিত মেয়েটির কোন না কোন দোষ খুজে বের করা। মেয়েটি খারাপ ছিল, মেয়েটি ওখানে গেল কেন, মেয়েটির পোশাক অশ্লীল ছিল ইত্যাদি ইত্যাদি। শিক্ষক দ্বারা স্কুলের ছাত্রী ধর্ষিত হবার একটি ঘটনায়, দেশের সবচেয়ে পঠিত একটি পত্রিকায় সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক একটি লাইন পড়ে অবাক হয়েছিলাম । সেটি হল, মেয়েটি স্কারট পরে শিক্ষকটির বাড়ি পড়তে গিয়েছিল । যেন , এই স্কারট পরার অপরাধে শিক্ষক ছাত্রীকে উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন। যাই হোক, এই হল মোটামুটি নারী নির্যাতন সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষের মানোসিকতা । এখন এই দেশের কিছু ছাত্রছাত্রী যদি , ক্ষমতাসীন দলের ধর্ষণকারী ছাত্রনেতাকে বহিষ্কারের জন্য আন্দোলন করে , ক্লাস বর্জন করে, হাতে হাত মিলিয়ে ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে প্রতিবাদ করে, তাহলে দেশের আপামর জ্ঞানীগুণীদের ভ্রু কুঞ্চিত হয়ে উঠবে, এটাই কি স্বাভাবিক নয়? আমার উল্যেখিত প্রথম তিনটি ঘটনায় ছাত্র সমাজ ফুঁসে ওঠেনি , গনআন্দোলন করে নিউজ পেপারের হেডলাইন হয়নি। তারা সমস্ত ঘটনাকে পাশ কাটিয়ে হেঁটে চলে গেছে, যেন কিছুই আসে যায়না । যেমনটা প্রতিদিন আমরা করে থাকি। শুধু তাই নয়, আমরা ধর্ষিতাকে আরও একাধিকবার ধর্ষণ করি নিউজপেপারে , পুলিশ স্টেশনে , কোর্টে । কিন্তু , বোকা জাবির ছেলেপেলেরা, ধর্ষণকারীকে বহিষ্কারের দাবী নিয়ে সরকারী ভিসির কাছে হাজির হল।আরও দাবী করলো, শিক্ষাংনঙ্গনে মেয়েদের জন্য ‘যৌন নিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা’ করা হোক। সরকারের দালাল ভিসি যখন জিজ্ঞেস করল, তোমাদের মধ্যে কে ধর্ষিত হয়েছে, সামনে আস। জাবির সবগুলো মেয়ে একসাথে এগিয়ে এসে বলল, আমরা সবাই ধর্ষিত হয়েছি । কি সাহস এই মেয়েগুলোর বুকে। ধর্ষিত সহপাঠীকে অপমানের হাত থেকে বাঁচাতে আর কোন উপায় যে ছিলোনা। এত বছরের আন্দলনের মধ্যে একবারও জাবি র ছেলেমেয়েরা ধর্ষিতার নাম প্রকাশ করেনাই। জাবির ছেলেরা কত মার খেয়েছে উপাচার্যের গুন্ডা বাহিনীর কাছে। কত অপমান, কত হুমকি, বহিষ্কার, পুলিশের লাঠি । তবু , একরোখা ছেলেমেয়েগুলো ধর্ষণকারীকে ক্যাম্পাস ছাড়া করেছিল। সরকারের অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও , ঘটনার নায়ক মানিককে বহিষ্কার করতে বাধ্য হয়েছিল প্রশাসন । কিন্তু বহিষ্কারের কয়েক বছর পর ওই মানিক কে পরিক্ষা দিতে আবার বসানো হয়ছিল গোপনে। পরীক্ষার হলে তাকে চিনতে পেরে এক ছাত্রী ঘোষণা করল, সে ধর্ষণকারীর সাথে পরিক্ষা দেবেনা। তার সাথে অন্য ছাত্রছাত্রীরাও উঠে দাঁড়ালো । তারাও দেবেনা পরিক্ষা। মানিক কে আটকে রাখা হল পরিক্ষার হলে। তারপর আবার আন্দোলন । শিক্ষাঙ্গনে ‘যৌন নিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা’ আদায় করে ছাড়ল জাবি র ছেলেমেয়েরা।অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালো । পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এমন ঘটনা ঘটলে, সেটা হয়ত ছাত্রছাত্রীদের গর্বের ইতিহাস হয়ে উঠতে পারতো । কিন্তু, ভুলে গেলে হবেনা, এই দেশটির নাম ‘বাংলাদেশ’।মিথ্যাই এই দেশে সত্যের বাবা।

আজ হঠাৎ করেই আমার প্রিয় ক্যাম্পাসকে নিয়ে কিছু লেখার তাড়না বোধ করলাম। ইদানিং প্রবাসে অলস সময় কাটাতে অনেকের মতো আমিও ফেইসবুকে ঘোরাঘুরি করি। তাতে লক্ষ্য করছি, এই ফেইসবুকের মাধ্যমে একজন ব্যাক্তি খুব সহজেই একটা ভাইরাসের মত একটা তথ্য ছড়িয়ে দিতে পারে। সত্য, কিংবা মিথ্যা যাচাইয়ের আগেই ছড়িয়ে পরে সেই খবর। এই সুযোগে ব্লগার নামে এক নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয়েছে। রহিমুদ্দিন, কলিমুদ্দিন, সবাই হয়ে উঠছেন স্বঘোষিত ব্লগার যারা দেশের সমস্ত সমস্যাকে নিজের অনভ্যস্ত কাঁধে চাপিয়ে নিয়েছেন এবং সমাজের নানা অসঙ্গতিগুলোকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে যাচ্ছেন। এমনই এক ব্লগার সম্প্রতি জাবি তে ‘র‍্যাগ’ নিয়ে একটি ভুয়া পোস্ট ছড়িয়ে দিয়েছেন। সেই পোস্ট এর নিচে আবার আমাদের দেশের বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা নানা রকম মন্তব্য করেছেন। যেমন একজন লিখেছে্ন, উনি জাবি র মেয়েদের বিয়ে করবেন না, কারন এদের চরিত্র ভাল না। তা, এই বিয়ের পাত্রের প্রোফাইল দেখে আমি নিশ্চিত হলাম, উনাকে বিয়ে করতে জাবির কোন মেয়েই রাজি হবেনা । আবার একজন লিখেছেন, জাবির মেয়েরা ধর্ষিত হয় তাই উনি জাবি তে ভর্তি হন নি।পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, উনি জাবিতে দুই বার ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পান নি । যাই হোক, এসব সমালোচনায় এত নামী একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কিছু যায় আসে বলে আমি মনে করি না। কিন্তু , প্রয়োজন আছে এইসব অপপ্রচারের কারন অনুসন্ধান করা। কারণটি অবশ্য জাবির প্রতিটি ছাত্রছাত্রী কম বেশী জানে। কিন্তু দেশের সবাইকে জানার সুযোগ করে দিতেই আমার আজকের এই লেখা।

জাবি বাংলাদেশের একমাত্র শিবির মুক্ত ক্যাম্পাস। শিবির, নামে বা বেনামে এখানে কোন দিনই আসন গাড়তে পারেনি। তাই কিছুদিন পর পর এরা জাবি নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে কিছু বিতর্ক ছড়ায়। আর জাবি নিয়ে বিতর্ক ছড়াতে চাইলে , মানিকের প্রসঙ্গ টেনে আনাটাই সবচেয়ে সোজা। সুদূর ইটালিতে বসে , মানিক ও নিশ্চয়ই খুশী হয়ে ওঠে এসব পড়ে , কারন পাবলিসিটি পাওয়া তার জীবনের একটা শখ ছিল। একারনেই ত কেক কেটে ধর্ষণের ঘোষণা দেয়া। আর এই মানিক কে অস্ত্র বানিয়ে শিবির প্রমান করতে চায়, জাবিতে মেয়েদের অবস্থা খুব করুন। ইসলামের লীজ নেয়া শিবিরই পারে এইসব মেয়েদের উদ্ধার করতে। কিন্তু না, সাধু সাবধান। এই জাবি থেকে তাদের বের করে দেয়া হয়েছিল। এই জাবির ভেতরে তাদের স্থান কোনদিনই হবেনা।।

জাবির টেবিল টেনিস টীমের সদস্য হিসাবে একটা শিবির অধ্যুষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলতে যাবার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য আমার হয়েছিল। মেয়েদের হলে রাতে থাকার সময় আমরা জাবি র মেয়েরা গান বাজনা, হই চই করছিলাম। ওই হলের মেয়েগুল অবাক হয়ে আমাদের দেখছিল। একজন বলেছিল, তোমাদের এত সাহস, তোমরা কি তোমাদের ক্যাম্পাসে গান গাও? কেউ তোমাদের কিছু বলেনা? অবাক হয়েছিলাম মেয়েটির কথা শুনে। কিন্তু পরদিন সকালে ক্যাম্পাসে গান গাওয়ার অপরাধে শিবিরের ছেলেরা যখন আমাদের হুমকি দিয়ে গেল, তখন সব পরিশকার বুঝতে পারলাম। আরও বুঝতে পারলাম, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন মেয়ে ধর্ষিত হলে সে কোনদিন কাউকে নালিশ জানানোর সাহস পাবেনা।

আজ গর্বের সাথে বলছি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় , যেখানে রাত ১ টা ৩০ পর্যন্ত কনসার্ট দেখার পর মেয়েরা নির্বিঘ্নে হলে পৌঁছায় । যেখানে রাত ১০ টায় ল্যাবে থিসিস এর কাজ করে হলে ফেরার সময় মেয়েরা বিশ্বাস নিয়ে সহপাঠীকে বলতে পারে , ‘দোস্ত , রাত হয়ে গেছে । হলে পৌছায় দে’। পরিশেষে বলতে চাই, ৭১ সালে ২ লাখ মা বোন ধর্ষিত হয়েছিল দেশি এবং বিদেশি হানাদারদের হাতে। বিদেশিগুলোকে আমরা তারিয়েছি, কিন্তু দেশিগুলোর বিচার আজও করতে পারিনি।এই দেশি হানাদারের বংশধরেরা রয়ে গেছে দেশের কোনায় কোনায় । মানিকের মত আর অনেক মানিক আছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। কিন্তু জাবির ছাত্রছাত্রীরা মানিক কে নর্দমার কীটের মত উপড়ে ফেলেছে। সেটা পারেনি দেশের অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।



লেখক ও ধনবাদ্যান্তে : প্রাক্তন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী Lunia Sumon

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

আমি হনুমান বলেছেন: একমত। ধন্যবাদ আপনাকে...

বাথরুমের হ্যঙারের স্টিল পাইপ/রড হাতে রাতভর হল পাহারা দিয়েছি... আমার ক্লাশমেট মাথায় শটগানের ছিটা গুলি খাইছে, দলীয় ক্যাডার ইয়ারমেটরা অস্ত্র হাতে ছাদে রাতভর পাহারা দিয়েছে ...

কারন শিবির যেন না ঢুকতে পারে.....

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

হাসান মুহিব বলেছেন: হনুমান সাহেব, আপনি তো জব্বর এখান পাহারাদার ছিলেন । আপনার জন্যই এ তো আমারা আজো বলি জাবি বাংলাদেশের একমাত্র শিবির মুক্ত ক্যাম্পাস

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

অশুভ বলেছেন: স্যালুট আপনাকে বস্। লুনিয়া আপুর লেখাটা এখানে শেয়ার করার জন্য।

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩

তোমোদাচি বলেছেন: Lunia Sumon এর সাথে সম্পূর্ণ একমত।

জাবি কে লোকজন মানিকের বিশ্ববিদ্যালয় বলে পুলকিত অনুভব করে; কিন্তু জাবি কে মানিকদের তাড়ানো বিশ্ববিদ্যালয় বলতে যত আপত্তি - কারন মানুষ রগরগে গল্প শুনতেই বেশী পছন্দ করে!!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯

হাসান মুহিব বলেছেন: @ তো মো দা চি , সম্পূর্ণ একমত। কারন এদের ভিতর রয়েছে মানিকের পেতাত্তা

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

অরিন্দম007 বলেছেন: জাবির ছাত্রছাত্রীরা মানিক কে নর্দমার কীটের মত উপড়ে ফেলেছে। সেটা পারেনি দেশের অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।

আমি এই কথার সাথে একমত নই । মানিক এখন কোথায় আছে বলতে পারেন ? ইটালির মিলান শহরে । তার ভাল খবর জানেন সাইদা গুলরুখ । যিনি কি না রেহনুমা আহমেদের সাথে চলাফেরা করতেন । এই মানিক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার হয়েছিল কি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট ছাড়া । উচ্চ শিক্ষার জন্য জাপান গিয়েছে । তারপর ইটালি । তার পুত পবিত্র টাইপের মেয়ে বিয়ে করেছে ।

এই হলো নর্দমার কীটের মতো উপড়ে ফেলা ।

আমি একটা ব্যাপার লক্ষ্য করছি, শনিবার রাতে ব্লগে এক মেয়ের র‌্যাগিং-এর খবর আসার পর তার পরদিন দুপুর ১২ টার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ব্লগাররা দলবেধে দিন রাত পোস্টের পর পোস্ট দেন এবং বিভিন্ন পোস্টে মন্তব্য কপি পেস্ট করেন । আর বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পুত প্রবিত্রস্হান ।


আমি মনে করি, এসব তাদের অপরাধবোধ, হীনমন্যতাবোধ ও সত্যকে আড়াল করার অপপ্রয়াস ছাড়া কিছু নয় ।


আর আমি এটাও লক্ষ্য করেছি, প্রথম প্রথম বলতে যে, ৪১ বছরেও জাহাঙ্গীরনগরে কোন খারাপ কাজ হয়নি । পরবর্তীতে ব্লগাররা একের পর এক উদাহরণ টানতে শুরু করলেন, সেই শুরু হতো গালি গালাজ । তারপর গালি গালাজ কমলো । এখন পোস্টের পর পোস্ট যাতে বলা হচ্ছে এসব খবর অমূলক ও মিথ্যা ।

ব্যাপারখানা, এখন স্বাধীনতা বিরোধীদের ৩০ লাখ না ৩ লাখ লোক ১৯৭১ সালে মারা গেছে বলার মতো । না ধর্ষণ তো মাণিক করতে পারে না । করলেও গ্রামের মেয়েদের সাথে দুই জন । সেই দুইজনের মধ্যে নিশ্চয়ই রুপা গোমেজও আছে । মাফ করবেন নামটা উল্লেখ করার জন্য ।

দেখুন, সব মানুষকে বোকা বানানো যায় না ।


দেখুন, The Daily Star September 26, 1998 Front page, Banner heading news.

Fact Finding Committee Report: Over 20 JU students raped, 300 sexually harassed

Fact Finding Committee Report: Over 20 JU students raped, 300 sexually harassed More than 20 students of Jahangirnagar University were raped and over 300 others harassed on the campus by the armed cadres of a particular political party. This was revealed in the report of the Fact Finding committee constituted by the J U authorities. The committee, formed on August 20 against other backdrop of press reports on incidents of rape at the university and massive protests by students, submitted its report to the VC, Prof Alauddin Ahmed, on September 21.

A copy of the report obtained by the Daily Star yesterday contained details of the ordeal suffered by the victims, “negligence” of the University authorities in handling the issue and the tyranny let loose by the armed goons on the campus. “Some were raped several times, some were gang raped and some were even forced to leave the campus after the incidents,” the Committee report said. “Many of them were even whisked away from in front of their residential halls at gun point and then raped in broad day light,” it said. These incidents were hushed up either with threat and coercion or in the name of adverse social repercussion. “Some of these incidents were even brought to the notice of officials of the university but they did not take any action, reminding the victims about social repercussion.” the report noted. “Ironically, the campus has become a fertile ground for criminal activities where a section of students under political shelter are found not only involved in rape but also in extortion, bus dacoity, bringing prostitutes at the residential halls, drug abuse and black mailing,” the report noted. “Jasimuddin Manik, a student of Drama and Dramatics Department was on the top of the list of seven persons accused of rape on the university campus.” “On completion of his 100th rape, he even celebrated the occasion offering sweets and throwing a cocktail party,” the report noted.

Jasimuddin Manik is the former general secretary of the Jahangirnagar University unit of Bangladesh Chhatra League. He was expelled on September one. The six others accused of rape of the department of Bangla, Hasibur Rahman,Barkat of Geology,Mohammad Ali Dalas of History,Nabiul Haq Roni of Government and politics,Atiqur Rahman Naim of History and Anisur Rahman of the department of English. The six are also influential leaders of the Bangladesh Chhatra League at the university. The report found that top leaders and armed cadres of a particular political party and some outsiders were involved in the incidence of rape. The outsiders were Sohel, Mukul and Raj. The abettors in the incidents were identified as Titu, Ferdous, Rafiq, Ruhul, Sohag and Kajol. They were also students of the JU and leaders of Bangladesh Chhatra League.

As many as 20 sites were identified on the university campus where the incidents took place. The site included the Shaheed Minar, Library premeses, Mosharraf Hall and its gymnasium and the Green Room of the Drama and Dramatics Department. “When the victims approached the administrative officials including Provosts of halls and former Proctor Afsar Ahmed, They hardly got any remedy on grounds of adverse social repercussion.” The report said. The 213 page report is now being discussed by the J U Syndicate. Fact Finding Committee scrutinized more than 350 secret letters and interviewed 18 alleged offenders and about 30 witness including students and others. The committee also visited the alleged sites of the incidents, the report noted. The seven - member Fact Finding Committee headed by Prof Anwarul Huq Sharif, comprises Dr A Mannan Chowdhury, Proctor of the university; Prof Abul Hussain, Provost of Al Beruni Hall; Kanchan Chowdhury, Provost of Pritilata Hall; Prof Nasima Akhtar Hussain, Provost of Nawab Faizunnessa Hall Hall; A N Rasheda, Syndicate member and Prof Sauda Akhter, a teacher of Bangla Department of the university.

বাংলা অনুবাদ :

তথ্য অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ এর বেশী ছাত্রী ধর্ষিতা এবং ৩০০ এর বেশীর শ্লীলতাহানী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ এর বেশী ছাত্রী ধর্ষিতা হয়েছেন এবং ৩০০ এর বেশী শ্লীলতাহানীর শিকার হয়েছেন একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের অস্ত্রধারী গুন্ডাদের দ্বারা । জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত তথ্য অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে । ধর্ষণের ঘটনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় ধরনের ছাত্র বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে ২০ আগস্ট তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয় । উপাচার্য অধ্যাপক আলাউদ্দিন আহমেদের কাছে ২১ সেপ্টেম্বর কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয় ।

গতকাল ডেইলি স্টার প্রতিবেদনটির একটি কপি পেয়েছে । যাতে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে, নির্যাতিতারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের "অবহেলা" এবং ক্যাম্পাসের সশস্ত্র গুন্ডাদের অত্যাচারের শিকার । কমিটির প্রতিবেদন মতে,"কিছু ছাত্রী বহুবার ধর্ষিতা হয়েছেন, কিছু ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং কিছু ছাত্রী ঘটনার পর ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন " । এ প্রতিবেদনের তথ্য ," এমনকি ছাত্রীদের অনেকেই তাদের আবাসিক হলের সামনে বন্দুকের মুখে দিনের আলোতেই সম্ভ্রম হারিয়েছেন " । এসব দুর্ঘটনা হুমকি, বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ও প্রতিকূল সামাজিক প্রতিক্রিয়া হওয়ার ভয় দেখিয়ে ধামা – চাপা দেওয়া হয়েছিল । "এই ঘটনা কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের নজরে আনা হয়েছিল কিন্তু তারা নির্যাতিতাদের জন্য কোনো পদক্ষেপ ও সুবিচার নিশ্চিত করেননি " প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়েছে । "হাস্যকর ভাবে, ক্যাম্পাস একটি অপরাধমূলক কর্মকান্ডের উর্বর ক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল যেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশয়ে ছাত্রদের একটি অংশ শুধুমাত্র ধর্ষণ কর্মতেই জড়িত হয়ে পরেনি, তারা চাঁদাবাজি, বাস ডাকাতি, আবাসিক হলে বেশ্যা আনা, মাদকদ্রব্য অপব্যবহার ও ব্লাক মেইলিয়েও জড়িত হয়ে পড়েছিলো " প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে । বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ধর্ষণ কর্মের জন্য অভিযুক্তদের তালিকায় শীর্ষ সাত ছাত্রের মধ্যে শীর্ষে ছিল নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের জমিম উদ্দীন মানিক । "জমিম উদ্দীন মানিক ১০০তম ধর্ষণ শেষ করে বন্ধুদের মাঝে মিষ্টি বিতরন করেছিল এবং একটি ককটেল পার্টি দিয়ে উৎসব পালন করেছিল," প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ।

জসিম উদ্দীন মানিক বাংলাদেশ ছাত্র লীগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন । তাকে ১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮ বহিস্কার করা হয় । ধর্ষণ কর্মের জন্য অভিযুক্ত অন্য ছয় ছাত্রদের মধ্যে আছেন বাংলা বিভাগের হাসিবুর রহমান, ভূতত্ত্ব বিভাগের বরকত, ইতিহাসের মোহাম্মদ আলী ডালাস, সরকার ও রাজনীতির নবীউল হক রনি,ইতিহাসের আতিকুর রহমান নাইম এবং ইংরেজি বিভাগের আনিসুর রহমান ।তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ছাত্র লীগের প্রভাবশালী ছয় নেতা । প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে, শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল এবং বহিরাগত কিছু সশস্ত্র গুন্ডা ধর্ষণ কর্মে জড়িত ছিল । বহিরাগতদের মধ্যে ছিল সোহেল, মুকুল এবং রাজ ।টিটু, ফেরদৌস, রফিক, রুহুল, সোহাগ এবং কাজল অপরাধের সাহায্যকারী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে । তারা ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং বাংলাদেশ ছাত্র লীগ নেতা ।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ২০ টি স্হান যেগুলোতে ধর্ষণ কর্ম সংগঠিত হয়েছিল সেগুলো যথারীতি চিহ্নিত করা হয়েছে । স্হানগুলোর মধ্য রয়েছে শহীদ মিনার, গ্রন্হাগার চত্তর, মীর মোশাররফ হোসেন হল ও এর ব্যায়ামাগার এবং নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের গ্রীণ রুম । যখন ধর্ষণ কর্মের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্হারা হলের প্রভোস্টদের এবং সাবেক পোক্টর আফসার আহমেদের কাছে গিয়েছিল, তখন তারা প্রতিকুল সামাজিক প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র প্রতিকার পায়নি । ২১৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন এখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে আলোচিত হচ্ছে । তথ্য অনুসন্ধান কমিটি ছাত্র-ছাত্রী ও অন্য লোকদেরসহ ১৮ অপরাধী ও ৩০ প্রত্যক্ষদর্শীর ২৫০ গোপন চিঠি ও সাক্ষাৎকারতন্ন তন্ন করে যাচাই করছেন । কমিটি অভিযুক্ত স্হানগুলোও পরিদর্শন করেছেন । প্রতিবেদনে উল্লেখে করা হয়েছে । সাত সদস্য বিশিষ্ট্য তথ্য অনুসন্ধান কমিটির প্রধান অধ্যাপক আনোয়ার হক শরীফ সহ অন্য সদস্যরা হলেন ড. এ মান্নান চৌধুরী,প্রোক্টর: অধ্যাপক আবুল হোসেন, আলবেরুনী হলের প্রোভোস্ট; কাঞ্চণ চৌধুরী, প্রীতি লতা হলের প্রোভোস্ট;অধ্যাপক নাসিমা আক্তার হোসেন, নবাব ফয়জুন্নেসা হলের প্রোভোস্ট;এ এন রাসেদা, সিন্ডিকেট সদস্য এবং সাউদা আক্তার, বাংলা বিভাগের শিক্ষীকা ।



তারপরও কি আপনি বলবেন ধর্ষণের সেঞ্চুরী হয়নি ?

আপনি লিখেছেন :
আজ গর্বের সাথে বলছি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় , যেখানে রাত ১ টা ৩০ পর্যন্ত কনসার্ট দেখার পর মেয়েরা নির্বিঘ্নে হলে পৌঁছায় ।

আপনি এটা কেন বাদ দিলেন, ১-১১ জরুরী অবস্হার সময় ছাত্র - ছাত্রীকের ধর্ষণ করার ব্যাপারটি । তাও আবার তারা পরস্পর বন্ধু ।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ছাত্রীর সম্ভ্রমহানির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার শিকার ওই ছাত্রী বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত দশটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে ওই ছাত্রী তার এক সহপাঠীর সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়া হলে ফিরছিলেন। সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের পেছনে সহপাঠী ওই ছাত্রীর সম্ভ্রমহানি করেন। ছাত্রীটি টেলিফোনে তার বান্ধবীকে ডাকেন। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তার এক শিক্ষক বলেন, এর চেয়ে ওই ছাত্রীকে গুলি করে মেরে ফেললে ভালো হতো। অসম্ভব যন্ত্রণা সইতে পারছে না সে।

ওই ছাত্রীর বিভাগের সভাপতি বলেছেন, এখনও অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রক্টর অধ্যাপক ড. আরজু মিয়াও একই কথা বলেছেন।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, অভিযুক্তকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তার কয়েক বন্ধু ও একাধিক শিক্ষক। এতে বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের সময় : 2010/03/14/


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর আত্মহত্যা

রেটিং :
0%

গড় রেটিং:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭তম ব্যাচের অর্থনীতি বিভাগের ৩য় বর্ষের এক ছাত্রী গতকাল রাত আনুমাণিক ১১টায় সাভারের ব্যাংক কলোনির বাসায় আত্মহত্যা করেছেন।
তার নাম ফারহানাজ রুহি ।

পুলিশ শাখাওয়াত হোসেন নামের একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে। সে রুহির সাথে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করত।

Click This Link

জাবিতে র‌্যাগিং: সিনিয়র আপুকে প্রেমের প্রস্তাব!

Click This Link


কথায় কথা বাড়ে । আমি মনে করি, আপনাদের উচিত ছিল র‌্যাগের ঘটনাগুলো ধাপাচাপা না দিয়ে স্বীকার করে নেওয়া । তা না করে আপনারা অস্বীকার করেছে বা বলে যাচ্ছেন, র‌্যাগের মাধ্যমে সম্পর্ক সুদৃঢ় ও সুমন্নত হয় ।



৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

হাসান মুহিব বলেছেন: @ অরিন্দম ঃ আপনি আসলে কি বুজাতে চাচ্ছেন ? আমি অনেক দিন ধরে লক্ষ করেছি যে আপনি এই বিষয় টা নিয়ে একি ধরনের কথা বাত্রা , এবং একি ধরনের রেফেরেঞ্চ দিয়ে যাচ্ছেন। বিষয় টা বোধগম্য হচ্ছে না।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস প্রতিবাদের ইতিহাস। যা নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গর্ব করে।

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮

আমি হনুমান বলেছেন: @ অরিন্দম007
ভালমত না জেনে কথা বলবেন না....

৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

স্বাধীকার বলেছেন:
৥ অরিন্দম০০৭,

ভাই আপনার মাথা মিলাদুন্নবী, সৌদি আরব, বোরখা, নারীর শাড়ীতে ভরপুর, জাহাঙ্গীরনগরকে মাথায় নিয়ে কেন মাথাটাকে কষ্ট দিচ্ছেন? আপনার রেফারেন্স গুলো মৌলবাদী অন্ধ কিংবা হিজবুতিদের কাছে সব সময় সংরক্ষিত থাকে। আপনার জ্বালাটা ঠিক কোনখানে বুঝতে পারছিনা। কোনো হুজুর কোনো মেয়েকে ধর্ষন করেছে বলে আমরা কি আপনার মাদ্রাসাকে কলংকিত বলেছি? আপনার মাদ্রাসার স্যাটেলাইট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিগনাল ক্যাচ করতে পারবে না। আপনাকে কয়েকদিন দেখলাম এটি নিয়েই আছেন। আপনাকে বুঝানো সম্ভব হতো, যদি আপনি আগে থেকে প্রেজুডিস নিয়ে না থাকতেন। আপনাকে বুঝানো সম্ভব হবেনা, কেননা আপনি এতদিন যা বিশ্বাস করেছেন সেখান থেকে সরে আসতে পারবেন না-কারণ আপনি মৌলবাদী। মানিক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী করেছে-এটা যিনি বা যারা বলেছে-তারা দৈনিক কয় কেজি গাঞ্জা খায় সেই খবর আগে নিয়েন তারপর জানিয়েন। আপনার পরিচিত কেউ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী করলে খবর দিয়েন-আজাইরা প্যাচাল পারেন কেন? মানিক জাপান গিয়েছে আপনাকে কে বললো? যে বলেছে সেও গাঞ্জার ডিলার না হয় হোলসেলার-তা না হলে এমন দাবী করতে পারতোনা।

জাহাঙ্গীরনগরে আপনি যে ভর্তি পরীক্ষাও দিতে পারেননি-সেটা অনুমান করতে পারি। তানাহলে জাবিতে একবার হলেও আপনার যাওয়ার সুযোগ হতো, কাছ থেকে দেখার সুযোগ হতো-তাহলে বুঝতে পারতেন জাবিতে প্রতিটি হলে কিভাবে মসজিদ থাকে, জাবির কেন্দ্রীয় মসজিদটি বিদেশী মধ্যপ্রাচ্য সরকার কিভাবে নির্মান করে দেয়। জাবির ভিসির কবর কিভাবে মসজিদের পাশে ক্যাম্পাসেই হয়। আপনার লিংকের খবর গুলোতে বমি করার ইচ্ছাও হচ্ছেনা-সেগুলো আপনি বিতরণ করছেন!! মতিকন্ঠের বদলে দেওয়া ডেইলি স্টার-প্রথম আলোর বদলে ভার্সনকে আপনি ওহীর মর্যাদায় বিশ্বাস করতেছেন। সত্য মিথ্যা যা লজিকের ধারে কাছেও আপনি নেই। না জেনে কোনো প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য এক বার দুবার করা যায়,কিন্তু আপনি সিরিজ আকারে এব্যাপারে প্রচার করছেন-মনে হচ্ছে আপনি যুদ্ধে নেমেছেন। আপনার ক্ষোভটি বুঝতে পারছিনা। কিন্তু বিশ্বাস করুন, জাবিতে কোনোদিনই মৌলবাদীদের ঢুকতে দেওয়া হবেনা, এটা বুঝতে পারি। আপনাকে এই নিশ্চিয়তাও দেওয়া হলো যে, যতই অপপ্রচার চালাক মৌলবাদী হিজবুতি কিংব মওদুধীরা, কোনো ভাবে জাবিতে তারা ঠাঁই পাবেনা।
কেবল র‌্যাগিং নয়, সকল অন্যায় অনিয়মকে উচ্ছেদ করতে জাবির শিক্ষার্থীরাই যথেষ্ঠ, সেখানে সচেতন ব্লগারদের কেবল মানসিক সমর্থনটা দরকার, ঘৃণা নয়। ভালো থাকুন।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

হাসান মুহিব বলেছেন: স্বাধীকার ভাই, আপনার সাথে সহমত । সকল অন্যায় অনিয়মকে উচ্ছেদ করতে জাবির শিক্ষার্থীরাই যথেষ্ঠ

৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

নষ্ট ছেলে বলেছেন: আজকেও রিপোর্ট আইছে!

৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১৪

htusar বলেছেন: ভাই, আমি কোন সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কে খাটো করা সহ্য করতে পারি না। সরকারী বিশ্ব- বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আমি অনেক সম্মান করি। কিন্তু একটা কথা না বলে পারছি না। যত গুলা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আছে , নারী নির্যাতন ও লাঞ্জনার জন্য জাবির নাম সবার আগে আসে (র‍্যাগিং এর বিষয় টা তো বাদ ই দিলাম।এমন ছাত্রও আসে জাবিতে,র‍্যাগিং এর নাম শুনলেই চোখে পানি আসে ওর। ৩য় বর্ষে পড়ে তবুও ভুলতে পারে নাই সেই দিনের কথা। ) মানিক তো আছেই , এছাড়াও এমন কিছু কথা জাবিকে ঘিরে প্রচলিত যার মধ্যে কোনটা সত্য আর কোনটা রটনা বিচার করা বাইরের বিশ্ব-বিদ্যালয়ের ছাত্রদের পক্ষে অসম্ভব। সেই কারনেই
" এমনই এক ব্লগার সম্প্রতি জাবি তে ‘র‍্যাগ’ নিয়ে একটি ভুয়া পোস্ট ছড়িয়ে দিয়েছেন। সেই পোস্ট এর নিচে আবার আমাদের দেশের বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা নানা রকম মন্তব্য করেছেন।" - এটা হয়েছে । আমি নিজেও জাবি কে , বিশেষত জাবির চিপা-চাপা,ঝোপ-ঝাড় নিয়ে অনেক কিছুই শুনেছি। যেটা যাচাইয়ের ইচ্ছা,সুযোগ ও সময় কোনটাই আমার এবং আমার মত অনেকেরই নাই।

লেখাটা পড়ে ভাল লেগেছে। আপুকে ও আপনাকে ধন্যবাদ। পর্যবেক্ষনে নিলাম।

৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: যারা এখনও কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া র‌্যাগ সংক্রান্ত প্রপাগান্ডাকে সত্যি প্রমানিত করার জন্য আদাজল খেয়ে লেগে আছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমান আছে এবং নিশ্চয়ই কথিত ভিক্টিমের সাথে আপনাদের এই বিষয়ে কথা হয়েছে (যদিও সে নিয়মিত ক্লাস করে, জাবি তার কাছে ভীতিকর কিছু না).......আপনারা অনলাইনে মজা না লুটে সরাসরি আইনের আশ্রয় নেন।

১০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

অরিন্দম007 বলেছেন: @ রেজোওয়ানা Click This Link এখানে গেলেই দেখতে পাবেন জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্রদের মিথ্যাচার ও কৌশলে সত্য লুকানোর প্রচেষ্টা ।

আইনগত ব্যবস্হা যাতে না নিতে পারে এজন্য প্রমাণ সংগ্রহের জন্য যারা যাচ্ছে তাদের বাধা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় গেটগুলোতে পাহারা বসিয়েছে । আর তারা র‍্যাগ ডে করবে কি করবে না তা নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্ব আছে । এটা নাকি তাদের ঐতিহ্য ।

তাদের নোংড়ামি আশে পাশের গ্রাম ও শহরতলীতে ছড়িয়ে পড়েছে ।

তাদের হাত থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমাদের কোমলমতি মেয়েরাও রেহাই পাচ্ছে না । ২৫তম ব্যাচের ছাত্র তরাক চন্দ্র মন্ডল শহীদ আনোয়ার গালর্স স্কুল ও কলেজে বেশ কিছু মেয়েকে ধর্ষণ করেছে । অথচ তার দুই মেয়ে আছে আর তার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা ।

১১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

অরিন্দম007 বলেছেন:
ব্লগটা ভার্চুয়াল । এখানে সবাই সব কথা প্রকাশ করে না । তারপরও আমি আমার সম্পর্কে আপনার ধারণা সঠিক নয় বলছি । আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি, আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ টা বিষয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলাম ১৯৯৭ সালে । ভুগোল ও পরিবেশ-এ ভর্তি হয়ে কিছু দিন ক্লাসও করেছি । আমাদের সময় বিভাগীয় প্রধান ছিলেন আজিজুল হক ভুইয়া । আর ভিসি ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের আবুল বায়েস । সুতরাং জাহাঙ্গীরনগরের নোংড়ামী আমার কাছ হতে দেখার সুযোগ হয়েছে । আগে আমি নিয়মিত ডায়েরি লিখতাম । তাহলে আমি সেই পুরানো দিনগুলোতে ফিরে যাচ্ছি । আমার আমার রোজনামচা হতে কিছু তথ্য দিচ্ছি : আমাদের ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কম্পিউটার সাইন্স এর তাহসেনা হক কলি (tahsina.koli ) – আপুকে দেখছি এক গাজারু ও গোল চশমাওয়ালার সাথে আলবেরুনী হলের চার তালার কোন এক রুমে যেতে (১৯৯৮ সালের জুলাইয়ের দিকে তার ব্যাচালর ডিগ্রী শেষ হয় । তারপর তিনি এক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাটা স্টাকচার এন্ড এলগোরিদম এবং ড্যাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম পড়ানো শুরু করেন । ২০০১ সালের দিকে মামুন নামক ব-ল-দ ভদ্র ধরণের ক্লাসমেটকে বিয়ে করেন । তারপর তার কলাবাগানস্হ তাল্লাবাগের বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন ।বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্হানের জন্য খুব সম্ভবত মামুন ভাইয়াকে কলার খোসার মতো ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন ।)।


আগের থেকে আগে থেকে প্রেজুডিস নিয়ে না আসি কি নাই । তা আমার উপরের থেকেই ধারণা করতে পারেন । মেয়েরা ছেলেদের হলের রুমে থাকতে পারতো সারাদিন। কেউ কেউ নিয়ে রাতেও থেকে যেতো। এক সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটিকে নিষিদ্ধ করে দেয় । কিন্তু কিছু ছাত্র তখনো একই কাজ করতো। জসিম উদ্দিন মানিক পলিটিক্যাল পাওয়ারের জোরে এবং তার এক প্রভাবশালী আত্মীয়ের সমর্থনে রুমে রুমে যেয়ে ছাত্রদের ভয় দেখিয়ে তাদের বান্ধবীদের ধর্ষণ করতো আর বাহিরের থেকে মেয়ে এনেও করতো ।অন্য ছেলেরাও করতো । লজ্জায় কেউ এটি ফাঁস করতো না ফলে এটিকে কাজে লাগিয়ে মানিক সেঞ্চূরিয়ান হয়ে যায়। তারপর পত্রিকার সংবাদাতারাও ছিল ধর্ষকদের সমর্থক ।এই বার খবর নেন তাহসেনা হক কলি আর মামুন নামক ছাত্র – ছাত্রী কম্পিউটার সাইন্স বিভাগে ছিল কি না সেই সময়ে।
মানুষ বিপদে পড়লে আল্লাহর নাম নেয় । আপনাদের অবস্হাও হয়েছে তাই । যিনি পোস্ট দিয়েছেন তার পছন্দের তালিকায় আসিফ মহিউদ্দীনসহ অনেকে আছেন যারা নাস্তিক বলে পরিচিত ।এখন হলের কোথায় মসজিদ আছে আর কীভাবে কেন্দ্রীয় মসজিদ হয়েছে – এই গল্প আমাদের শুনিয়ে লাভ কি ? সারা বাংলাদেশেই তো মসজিদ আছে ।
আমি কোন ধরণের পোস্ট দিচ্ছি না দিচ্ছি সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার । আপনারা বুর্জোয়া, পলেতারিয়েত, সমাজতন্ত্র, মার্কস, এঙ্গেলস, দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ – এসব শব্দ নিয়ে মাথা ঘামান ।দেশের সাধারণ মানুষরা এসব বুঝুক আর না-ই বুঝুক ।এতে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই ।

আপনাদের ক্যাম্পাসে হিজবুত আর শিবির বা তালেবান এলো – তা নিয়ে আমাদের মাথা ব্যাথা নেই । আমাদের মাথা ব্যাথ্যা আপনাদের নোংড়ামি নিয়ে ।বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রসংগঠণমুক্ত থাকা এখন সময়ের দাবি হয়ে দাড়িয়েছে ।বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র পড়াশোনার জায়গা হয়ে থাকুক – সেটাই আমরা চাই ।


ডেইলি স্টার-প্রথম আলোকে বা অন্য পত্রিকাকে আপনি ওহীর মর্যাদায় বিশ্বাস করার প্রয়োজন নেই । অনেক ঘটনাই কাছ থেকে দেখেছি । আমি তো কিছু দিন পড়ে অন্য এক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি । আমার দুই মামা পড়েছে, দু্ই ভাই পড়েছে এবং এক খালাতো ভাই পড়ছে ।
সুতরাং নেতিবাচক মন্তব্য করার প্রয়োজন নেই । চলমান ঘটনাবলী আপনাদের পাপের ফসল । আমরা দেখতে পাচ্ছি ২৫ তম ব্যাচের তরাক মন্ডল স্কুল কলেজের মেয়েদের ধর্ষণ করছে আর তাকে বাচানোর জন্য চেষ্টা করছে অধ্যক্ষ । সুতরাং জাহাঙ্গীরনগরের লোকদের নোংড়ামী সারা বাংলাদেশে ছড়িয়েছে ।সুতরাং আপনাদের দিকে ভাল চোখে তাকানোর কোন সুযোগ নেই ।


১২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

অরিন্দম007 বলেছেন: @ স্বাধীকার : ১১ নং কমেন্টা দেখুন ।

১৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০২

রেজোওয়ানা বলেছেন: @অরিন্দম007 বলেছেন

"আইনগত ব্যবস্হা যাতে না নিতে পারে এজন্য প্রমাণ সংগ্রহের জন্য যারা যাচ্ছে তাদের বাধা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় গেটগুলোতে পাহারা বসিয়েছে ।"......................কারা পাহাড়া বসিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ? তাহলে এই যে এত এত টিভি রিপোর্টার, সাংবাদিক গেলো বর্তমান ইস্যুকে কেন্দ্র করে জাবিতে তারা কিভাবে গেলো? নাকি বলতে চান, জাবি সাংবাদিকদের ভয় পায় না, সাধারন মানুষকে ভয় পায়?

আর জাবিতে গিয়ে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে তারপর মামলা করতে হবে, তার মানে কি এতদিন আপনারা শুধু শোনা কথার উপরই এই প্রপাগান্ডা ছড়ালেন, কোন প্রমান ছাড়াই?

যেখানে কথিত ভিক্টীম এবং তার পরিবার এবং তার সহপাঠীরা সকল ঘটনা গুজব বলে সাক্ষ্য দিয়েছে, যেখানে মেয়েটি কথিত যে হলে তাকে সেই বিভৎস র‌্যাগে দেবার ঘটনাটা ছড়ানো হয়েছিল, সেখানে উঠেই নাই এবং সবচাইতে বড় কথা যেখানে সে সানন্দে প্রতিদিন এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করা শুরু করেছে,, সেখানে আপনাদের গুটি কয়েকজন মানুষের এই অতি উৎসাহ কিন্তু সন্দেহের সৃষ্টি করছে এখন।

আসলে আপনারা কি চান? মেয়েটা পড়াশুনা বাদ দিক?

আর বারবার মানিকের বিষয়ে একই কথা বলে যাচ্ছেন! ভাই, জাবি মানিককে লুকিয়ে রাখেনি, জাবির ছাত্ররা তাকে এবং তার সহযোগীদের তাড়িয়েছিল সেদিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলন করে,, একটা ক্ষমতাশীল দলের সম্পাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলন কোন সহজ কথা না! যৌননিপিড়ন বিরোধী নীতিমাল জাবির ছাত্ররা আন্দোলন করে আদায় করে নিয়েছে.........কোথায় সেটাকে আপনারা স্বাগতম জানাবেন, সেটা না করে মানিক লেবু চিপেই যাচ্ছেন?
মানিককে কি জাবি নিজে তৈরি করেছে। ঢাবির বাধনকে কি ঢাবি তৈরি করেছিল?

কোথায় ছিলেন আপনারা যখন মানিক দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলো সরকারী ছত্রছায়ায়? যেদিন মানিক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরীতে জয়েন করলো? সেদিন কেন চুপ করে ছিলেন, এক কলম লিখেছিলেন সেটার বিরুদ্ধে? লেখেননি, কারণে এটায় জাবির নাম যুক্ত ছিল না। এটা লিখে মজা লুটা যাবে না।

মানিককে ফৌজদারী আইনে শাস্তি দেয়া যায় নি সে দায় বিশ্ববিদ্যলয়ের না, সে দায় রাস্ট্রের এবং একজন সুবিধাবাদী সিটিজেন হিসেবে আপনারও।

১৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৯

ধানের চাষী বলেছেন: বাংলাদেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়
সবচেয়ে সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয়
মানিকদের মত কীটদের উপরে ফেলা হয়েছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়
একমাত্র শিবিরমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
বিজ্ঞান-বাণিজ্য-কলা...সকল শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রেখে চলা অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয় (৩৪ টি বিভাগ আছে !!!!)

-------এগুলোই হলো জাবির প্রতি কিছু নোংরা মানুষদের আক্রোশের কারণ-----

১৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪১

অরিন্দম007 বলেছেন: @ রেজোওয়ানা : সেখানে তো সাংবাদিক ঢুকেছে । এই কয়দিনে সিভিলিয়ান ঢুকতে পারে কি ? আর পারলেও এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করার উপায় আছে কি ? আমার এক খালাত ভাই পড়ে । হলেই থাকে ।

খোদ JU থেকেই ৪ রকম কথা,

১.কেউ বলে "ragging story পুরোটাই ভুয়া ",
২.কেউ বলে ,"হলেও এত এক্সট্রিম হয়নি,
৩.rag দিলেও আপুরা পরে আপন করে নেয় ",

৪.আরেক জন বলল, "যারা দিয়েছে ২য় বর্ষের ছাত্রী, একেবারেই কচি, না বুঝে করেছে ইত্যাদি

আর এই সাইটেও শুরুতে ragging হয় না । জাহাঙ্গীরনগরে কোন নোংড়ামী হয় না । বলে যাচ্ছিল । রহস্যটা এখানেই ।

আর মানিক নিয়ে বলছেন, আমি আগে পত্রিকায় লিখতাম । আমি মানিক সম্পর্কে লিখেছি । অন্যরা কি করেছে জানি না ।

আমি সুযোগ ও সময় মতো জসিম উদ্দীন মানিক-ই শুধু নয়, জাহাঙ্গীরনগরে কীভাবে ধর্ষণ হয়েছে তার উপর পোস্ট দিবো ।

তবে এটা তো স্বীকার করবেন : অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ragging সম্পর্কিত সুদৃশ্য কোন বিলবোর্ড ঝুলানো নেই ।

হয়তো অদুর ভবিষ্যতে নীতি নৈতিকতা সম্পর্কেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বিলবোর্ড লাগাবেন ।

কারণ এই বিশ্ববিদ্যালয় এমনই এক ক্যাম্পাস যাকে অবলম্বন করে ছাত্রী ও শিক্ষকের সম্পর্ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিবাসিদের মনস্তত্ত্ব ও মনোদৈহিক সমস্যা নিয়ে উপন্যাস রচিত হয়েছে । খুব সম্ভবত এধরণের উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে আগামী একশ বছরে কেহ লিখবে কি না সন্দেহ । এই কালজয়ী উপন্যাসটির নাম : সুখ পাখি আগুন ডানা । লেখকের নাম : বিশিষ্ট্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও মনোচিকিৎসক ডা. মোহিত কামাল ।

আপনি বলেছেন :

আসলে আপনারা কি চান? মেয়েটা পড়াশুনা বাদ দিক?

উত্তর : কারা তাকে মানষিকভাবে নির্যাতন করেছে তাদের আমরা দেখতে চাই । আর তাদের শাস্তি চাই । আর কেন এই ঘটনা আড়াল করা হচ্ছে তাও যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাই ।

আর এই মেয়ে যে পড়ছে, তাকে আগে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা রেহাই দিবে না - এটা বোঝার জন্য পন্ডিত্যপূর্ণ জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না ।

১৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৯

হাসান মুহিব বলেছেন: বিশিষ্ট্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও মনোচিকিৎসক ডা. মোহিত কামাল । নিজাও একটা পাগল ক.।উনি জার ঘটনা বলসে, সে নিজাই বলে কামাল একটা ***। যাই হোক এমন সব বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অহরহ ঘটে জাসচ্ছে।

১৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

অরিন্দম007 বলেছেন: @ রেজোওয়ানা আপনি বলেছেন : কারা পাহাড়া বসিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ? তাহলে এই যে এত এত টিভি রিপোর্টার, সাংবাদিক গেলো বর্তমান ইস্যুকে কেন্দ্র করে জাবিতে তারা কিভাবে গেলো? নাকি বলতে চান, জাবি সাংবাদিকদের ভয় পায় না, সাধারন মানুষকে ভয় পায়?

আর জাবিতে গিয়ে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে তারপর মামলা করতে হবে, তার মানে কি এতদিন আপনারা শুধু শোনা কথার উপরই এই প্রপাগান্ডা ছড়ালেন, কোন প্রমান ছাড়াই?


দেখুন : কারা পাহাড়া বসিয়েছে । আর আমরা শোনা কথায় কিছু বলছি না ।


আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে ৯ দিন সময় নিতে হলো । কারণ পত্রিকার খবর ছাড়া আর আপনারা আমাদের কথা বিশ্বাস করবেন না । দেখুন : বাংলাদেশ প্রতিদিনের ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৩ তারিখ সংখ্যার শেষ পৃষ্ঠার এই খবর ।

এবার আপনিই খবরটা পড়ে বুঝতে পারবেন কারা পাহাড়া বসিয়েছে ।



জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
ছাত্রলীগের র‌্যাগিংয়ে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা হল ছাড়ছেন


Click This Link


বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের ব্যাপারে কঠোর শাস্তির বিধান থাকলেও ছাত্রলীগ কর্মীদের থামাতে পারছে না প্রশাসন। গভীর রাত পর্যন্ত ছাত্রলীগের কর্মীরা অর্ধনগ্ন করে দাঁড় করে রাখা, কান ধরে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রাখা, ম্যাচের কাঠি দিয়ে রুমের দৈর্ঘ্য মাপা, রুমের জানালার গ্রিল ধরে ঝুলিয়ে রাখাসহ নানা কুরুচিপূর্ণ কাজ করায়। এরই মধ্যে প্রথম বর্ষের অনেক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের র‌্যাগিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে হল ছেড়ে দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে গভীর রাতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের রুমে রুমে ডেকে নিয়ে র‌্যাগ দেয় ছাত্রলীগের কর্মীরা। সবচেয়ে বেশি র‌্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনী হল ও মওলানা ভাসানী হলে। ভাসানী হলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী (৪১তম ব্যাচ) ছাত্রলীগ নামধারী সঞ্জয়, মুহিত, মেহেদী, রাজন, শান্ত হলের ১১৩ নম্বর রুমে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের রাতভর র‌্যাগিং করায়। রাত ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত চলে অমানুষিক নির্যাতন। এদিকে র‌্যাগিংয়ের বিষয়ে প্রশাসনকে কেউ জানালে তাকে মেরে গুম করারও হুমকি দেয় নির্যাতনকারীরা। ফলে ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। র‌্যাগিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করেছেন। ক্যাম্পাসের পাশে বাসাভাড়া নিয়ে ওই শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছেন। ছাত্রলীগের এসব ক্যাডার জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের কিছুই করতে পারবে না। এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. খবিরউদ্দিন বলেন, আমার কাছে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। যদি অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.