নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুঁজে ফিরি নিজেকে নিজের অন্তরালে

হাসান মুহিব

শুধু লিখতে চাই, মনের অন্ধ কুটিরে লুকিয়ে রয়েছে হাজারো বর্ণমালা

হাসান মুহিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি কি রকম ভাবে বেঁচে আছি তুই এসে দেখে যা

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

আমি কি রকম ভাবে বেঁচে আছি তুই এসে দেখে যা নিখিলেস

এই কি মানুষ জন্ম নাকি শেষ পুরহিত কঙ্কালের পাশা খেলা ?

প্রতি সন্ধ্যে বেলা আমার বুকে হাওয়া ঘুরে ওঠে,হৃদয় কে অবহেলা করে রক্ত।



আমি মানুষের পায়ের কাছে কুকুর হয়ে বসে থাকি

তার ভিতরের কুকুর টাকে দেখব বলে।



আমি আক্রোশে হেঁসে উঠি না,

আমি ছ্যার পোকার পাশে ছ্যার পোকা হয়ে হাটি ,

মশা হয়ে উড়ি একদল মশার সঙ্গে ,

খাঁটি অন্ধকারে স্ত্রী লোকের মধ্যে ডুব দিয়ে দেখেসি দেয়াস্লাই জ্বেলে

ও গায়ে আমার কোন ঘর বাড়ি নেই।



আমি স্বপ্নের মধ্যে বাবুদের বাড়ির ছেড়ে গেছি রঙ্গালয়ে,

ফুঁ দিয়ে উড়িয়েছি দৃশ্যলোক,

ঘামে ছিল না এমন ঘন্ধ যাতে ক্রদে জ্বলে উঠতে পারি।



নিখিলেস আমি এই রকম ভাবে বেঁচে আছি ।

তুই একে কি বলবি ?




আমি শোবার ঘরে নিজের দুই হাত পেরেক বিধে দেখতে চেয়েসিলাম যীশুর কষ্ট খুব বেশী ছিল কি না ?



আমি ফুলের পাশে ফুল হয়ে ফুটে দেখেছি, তাকে ভালোবাসতে পারি নাই

আমি কপাল হতে ঘামের মতো মুছে নিয়েছি পিতামহের নাম

আমি শ্মশানে গিয়ে মরে যাবার বদলে মাইরি মাইরি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।



নিখিলেস আমি এইরকম ভাবে বেঁচে আছি

তোর সঙ্গে জীবন বদলে কোন লাভ হল না আমার




একি নদীর তরঙ্গে ছেলে বেলার মতো ডুব সাতার

নাকি চশমা বদলের মতো আলোড়ন ?

অথবা গভীর রাত্রে সঙ্গম রত দম্পতির পাশে শুয়ে পুনরায় জন্ম ভিক্ষা ?

কেননা সময় নেই...



আমার ঘরের দেয়ালের চুন ভাঙ্গা দাগ টিও বড় প্রিয়

মৃত গাছ টির পাশে উত্তরে হাওয়ায় কিছুটা মায়া লেগে আছে

ভুল নাম ভুল স্বপ্ন হতে বাইরে এসে দেখি

উই পোকায় খেয়ে গেছে চিঠির বান্ডিল।



তবু অক্লেশে হলুদকে হলুদ বলে ডাকতে পারি

আমি সর্বস্ব বন্ধক দিয়ে একবার একটি মুহূর্ত চেয়েছিলাম

একটি ব্যক্তি গত জিরো আওার



ইচ্ছে ছিলনা তোকে

তবু ক্রমশেই বেশি করে আসে শীত

রাত্রে এরকম জলদেস্তা আর কখনও হত না

রোজ অন্ধকার হাতরে টের পাই কয়েকটি

তিনটে ইদুর নাকি মুশি ?

তাহলে কি প্রতিক্ষায় আছে অদুরে সংস্কৃত শ্লোক

পাপ ও দুঃখের কথা ছাড়া এই অবেলায় কিছুই মনে পড়ে না।



আমার পূজা ও নারী হত্যার ভিতরে বেজে ওঠে সাইরেন

নিজের দু হাত যখন নিজেদের ইচ্ছে মতো কাজ করে

তখন মনে হয় ওরা সত্যিকারের এক পলক সত্যি চোখ

এরকম সত্য পৃথিবীতে খুব বেশি নেই আর ।



নিখিলেস আমি এইরকম ভাবে বেঁচে আছি





* এই কবিতার লেখকের নাম তি আমি জানি না; ভালো লাগসে কোথা গুলো তাই দিলাম; কেউ জানলে দইয়া করে জানাবেন**

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

এহসান সাবির বলেছেন: Sunil Gangopadhyay

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:২০

হাসান মুহিব বলেছেন: :) :) :)

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৫

মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: আমি শ্মশানে গিয়ে মরে যাবার বদলে মাইরি মাইরি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
http://banglalibrary.evergreenbangla.com/sunil/

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২২

ভুদাই আমি বলেছেন: অনেক দিন পর পড়লাম। ভালো লাগলো।


ভাই, এইটার অডিওটা থাকলে লিংক দিয়েন প্লিজ।।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: নিখিলেস এসে দেখে যাবে!!!
কিন্তু নিখিলেস কেমন আছে-সেও কি খুব ভালো আছে??? তাকে দেখবে কে?
কলকাতার এক ছোট্ট অন্ধকার ভাড়াটে রুমে নিখিলেসের তিন মাসের ভাড়া বাকি পড়ে আছে,,, গ্রামে মা অসুস্থ। চাকুরির কোনো সুরাহা হয়নি। মালিক যেকোন সময় ভাড়াটে ঘর থেকে বের করে দিবে।
তারপর......নিখিলেস পথে পথে ক্লান্ত। নিখিলেসকে দেখবে কে?
কোথাও কেউ ভালো নেই,,,,,,কেউ ভালো নেই।
আর নিখিলেস আমেরিকা এসে সুনীলকে দেখে যাবে.....যার ঘর ভাড়ার টাকা নেই..সে প্লেনের টিকেট কাটবে????? বড়ই অদ্ভূত।
নিখিলেসই বলুক-----
কলকাতার পথে পথে এক ছন্নছাড়া জীবনের নিখিলেস দিকভ্রান্ত হয়ে কেমন করে স্বপ্নভংগের যন্ত্রণায় জীবনের কফিনে মৃত আশার শেষ পেরেক টুকে দিয়ে জ্বলন্ত চিতায় অংগার হয়ে যাচ্ছে। তুই এসে একবার দেখে যা সুনিল।

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:২০

হাসান মুহিব বলেছেন: তুই এসে একবার দেখে যা সুনিল।

৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:১৩

সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেছেন: দুজনকেই তুই এসে একবার দেখে যা হাসান মুহিব! অবস্থা অত্যন্ত নিদারুণ।

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

হাসান মুহিব বলেছেন: ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;) :-B :-B :-B :-B :-B

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.