![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন সেনা কর্মকর্তা যাকে প্রশিক্ষিত করে তোলা হয়েছে নির্ভয়, পেশাদার ও প্রায় হৃদয়হীন করে। সে সৈনিকটিও বাচ্চার মতো হাউ-মাউ করে কেঁদে উঠে যখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করে শেষ মূহুর্তে এসে পোশাক শ্রমিক শাহীনুরকে আর বাঁচাতে পারল না।
শাহীনুর বেগমকে বাঁচানোর কথা দিয়েছিলেন সেনা সদস্য লেফটেন্যান্ট আশরাফ। কিন্তু উদ্ধার কাজের শেষ পর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টায় ধ্বংস্তুপের নিচে আগুন ধরে গেলে মারা যান শাহীনুর বেগম। তাকে বাঁচাতে না পেরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ঐ কর্মকর্তা।
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কংক্রিট চাপা পড়া সত্ত্বেও দেড় বছরের সন্তানকে একটি বার দেখার আশায় দীর্ঘ ৫ দিন বাঁচার লড়াই চালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না শাহীনুররের। উদ্ধার হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তেই আবারও ভাগ্যের পরিহাসের শিকার হতে হলো তাকে।
ধ্বংসস্তূপের ভেতর রোববার সকাল ৯টায় যে চার জন জীবিত মানুষের সন্ধান পাওয়া যায় তাদেরই একজন শাহানা। সকালে চারজন জীবিত থাকলেও দুপুর ২টার মধ্যেই তাদের তিনজন নিস্তেজ হয়ে পড়েন।
কিন্তু শাহীনুর হাল ছাড়েননি। দাঁতে দাঁতে কামড়ে মৃত্যুর সঙ্গে যুঝছিলেন তিনি।
সর্বশেষ ৮ জনের উদ্ধারকারী দলের যে সদস্যরা উদ্ধার কাজ শুরু করে তাদের একজন সেনা সদস্য লে. আশরাফ বলেন, "শাহীনুর আমার সঙ্গে কথা বলেছেন, হ্যান্ডশেকও করেছেন। তিনি আমাকে বলেছেন, তার দেড় বছরের একটি সন্তান রয়েছে। বেঁচে থাকার কী আকুল আকুতি তা শাহীনুরের সঙ্গে কথা না বললে বোঝানো যাবে না।"
তিনি আরও বলেন, "কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্য যে রড কাটার সময় আগুন লেগে সে আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারণে আমরা তাকে উদ্ধার করতে পারিনি। কারণ আমাদের সঙ্গে ছিল অক্সিজেন। আমি নিজেও সে আগুনে আহত হয়েছি। আগুনের তাপ ছিল প্রচণ্ড। আমরা কোনো রকমে সেখান থেকে বেঁচে আসি।"
এমনি অনেক ক্ষেত্রে প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্বেও আটকেপরাদের উদ্ধারে ব্যার্থ হয়েছেন উদ্ধারকারীরা। তাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিল না, তারা অনেক ক্ষেত্রেই জীনবন বাজি রেখে উদ্ধার তৎপরতা চলিয়েছেন। দিনের পর দিন অবিশ্রান্ত কাজ করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আহত হয়েছেন। মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে নিজের সবটুকুই বিলিয়ে দিয়েছেন।
জাতি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের সশ্রদ্ধ সালাম।
একজন সেনা কর্মকর্তা যাকে প্রশিক্ষিত করে তোলা হয়েছে নির্ভয়, পেশাদার ও প্রায় হৃদয়হীন করে। সে সৈনিকটিও বাচ্চার মতো হাউ-মাউ করে কেঁদে উঠে যখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করে শেষ মূহুর্তে এসে পোশাক শ্রমিক শাহীনুরকে আর বাঁচাতে পারল না।
শাহীনুর বেগমকে বাঁচানোর কথা দিয়েছিলেন সেনা সদস্য লেফটেন্যান্ট আশরাফ। কিন্তু উদ্ধার কাজের শেষ পর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টায় ধ্বংস্তুপের নিচে আগুন ধরে গেলে মারা যান শাহীনুর বেগম। তাকে বাঁচাতে না পেরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ঐ কর্মকর্তা।
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কংক্রিট চাপা পড়া সত্ত্বেও দেড় বছরের সন্তানকে একটি বার দেখার আশায় দীর্ঘ ৫ দিন বাঁচার লড়াই চালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না শাহীনুররের। উদ্ধার হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তেই আবারও ভাগ্যের পরিহাসের শিকার হতে হলো তাকে।
ধ্বংসস্তূপের ভেতর রোববার সকাল ৯টায় যে চার জন জীবিত মানুষের সন্ধান পাওয়া যায় তাদেরই একজন শাহানা। সকালে চারজন জীবিত থাকলেও দুপুর ২টার মধ্যেই তাদের তিনজন নিস্তেজ হয়ে পড়েন।
কিন্তু শাহীনুর হাল ছাড়েননি। দাঁতে দাঁতে কামড়ে মৃত্যুর সঙ্গে যুঝছিলেন তিনি।
সর্বশেষ ৮ জনের উদ্ধারকারী দলের যে সদস্যরা উদ্ধার কাজ শুরু করে তাদের একজন সেনা সদস্য লে. আশরাফ বলেন, "শাহীনুর আমার সঙ্গে কথা বলেছেন, হ্যান্ডশেকও করেছেন। তিনি আমাকে বলেছেন, তার দেড় বছরের একটি সন্তান রয়েছে। বেঁচে থাকার কী আকুল আকুতি তা শাহীনুরের সঙ্গে কথা না বললে বোঝানো যাবে না।"
তিনি আরও বলেন, "কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্য যে রড কাটার সময় আগুন লেগে সে আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারণে আমরা তাকে উদ্ধার করতে পারিনি। কারণ আমাদের সঙ্গে ছিল অক্সিজেন। আমি নিজেও সে আগুনে আহত হয়েছি। আগুনের তাপ ছিল প্রচণ্ড। আমরা কোনো রকমে সেখান থেকে বেঁচে আসি।"
এমনি অনেক ক্ষেত্রে প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্বেও আটকেপরাদের উদ্ধারে ব্যার্থ হয়েছেন উদ্ধারকারীরা। তাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিল না, তারা অনেক ক্ষেত্রেই জীনবন বাজি রেখে উদ্ধার তৎপরতা চলিয়েছেন। দিনের পর দিন অবিশ্রান্ত কাজ করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আহত হয়েছেন। মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে নিজের সবটুকুই বিলিয়ে দিয়েছেন।
জাতি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের সশ্রদ্ধ সালাম।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬
হাসান মুহিব বলেছেন: আমিন
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩
এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: জাতি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের সশ্রদ্ধ সালাম।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮
হাসান মুহিব বলেছেন: সকল কে জানাই বিনরম শ্রদ্ধা
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪
রোজেল০০৭ বলেছেন: জাতি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনাদের সশ্রদ্ধ সালাম।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯
হাসান মুহিব বলেছেন: সালাম সকল স্বেচ্ছাসেবকদেরকে
৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬
অশুথ বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং সশ্রদ্ধ সালাম।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১
হাসান মুহিব বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা
৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭
আকরাম বলেছেন: উদ্ধারকারী সবার কাছে জাতি কৃতজ্ঞ।
প্রয়োজনে যে আমরা এখনো ঐক্যবদ্ধ হতে পারি,সাভার ট্রাজেডীই তার প্রমান।
আপনাদের সবাইকে সশ্রদ্ধ সালাম।
৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১
হাসান মুহিব বলেছেন: ঠিক বলেছেন
৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
মুহসিন বলেছেন: "এবং নিশ্চয়ই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়ভীতি, ক্ষুধা-অনাহার দিয়ে, সম্পদরাশি, জীবনসমূহ ও ফলফলাদি নষ্ট করে। আর সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের। আর যখন তাদের কাছে কোন বিপদ আপদ উপস্থিত হয়, তারা বলে আমরা আল্লাহরই জন্য, এবং তাঁর কাছেই প্রত্যাবর্তিত হবো। এরা হচ্ছে সেসব ব্যক্তি, যাদের উপর তাদের প্রভুর পক্ষ থেকে রয়েছে অনুগ্রহ ও অপার করুণা, আর ওরাই সঠিক পথপ্রাপ্ত"। ২:১৫৫-১৫৭
৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮
মাইন রানা বলেছেন: সকল বীরদের প্রতি রইল আন্তরিক ছালাম
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৪
হাসান মুহিব বলেছেন: আপনাদের সশ্রদ্ধ সালাম।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০
ওিহদুর বলেছেন: খু্বই হৃদয় বিদারক । মহান আল্লাহ সকলকে ধৈর্যধারণ করার তাওফিক দান করুন ।