![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এটর্নি জেনারেলের প্রতি খোলা চিঠি ঃ
-------------------------------------------
প্রিয় এটর্নি জেনারেল সাহেব,
আজ আপনার একটি মন্তব্য পড়লাম ; আপনি বলেছেন নারীর প্রতি দুর্দশা কমাতে দ্বিতীয় বিয়ে আইন করে বন্ধ করতে হবে । খুবই অবাক এবং কষ্ট লাগলো যে আপনি কি আসলেই ভেবে বলছেন নাকি শুধু বলার জন্য বলেছেন। আপনি কি এতে করে এই ঘুণে ধরা সমাজে পরক্রিয়া কিংবা লিভ টুগেদারকে পরক্ষ ভাবে সমর্থন করছেন ? আপনি কি বিধবা নারীর বোবা আর্তনাদকে বাতাসে উড়িয়ে দিচ্ছেন। আমি জানি আপনি অনেক জ্ঞানী ও বিজ্ঞ লোক। আপনার আইন সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান রয়েছে। কিন্তু জনাব, সব কিছু কি আইন দিয়ে হয়?????
নারীর প্রতি যদি আসলেই দুর্দশা কমাতে হয় , তাহলে প্রথমে পরিবর্তন করতে হবে আমাদের এই পুরুষের লোভী দৃষ্টি ভঙ্গি , এই সমাজের নিচু দৃষ্টি ভঙ্গি। নারীকে আজও আমরা আমাদের ভোগ বিলাসের পণ্য হিসেবে বিক্রয় করি হরহামেশা । আপনি এর জন্য কেন আইন করছেন না?
প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই দেখতে হয় ধর্ষিতা নারীর মুখ লুকানো ছবি । তার বিচারের দাবি নিভৃতে কাঁদে। ধর্ষণ প্রমান করার জন্য মাসের পর মাস ডিএনে টেস্ট কেন করাতে হয় ? কেন ঝুলে থাকে ওই বিচারের দাবি???
চাকুরিজীবী নারীদের কেন চলাচলের পথে নানা রকম অবর্ণনীয় পরিস্থিতির শিকার হতে হয়? কেন বাসের ভিড়ের মধ্যে আমার ওই বোনটাকে কিছু নেকড়ে - কুকুরের দলের সাময়িক বিনোদনের খোঁড়াক হতে হয় ; এমন কি ওই বোনটার গন্তব্য অজানা হয়ে যায় মাঝে মাঝে । ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার খায়েশ মতো না চললে কেন তার প্রমোশন থেমে থাকে?? আধুনিক এই সমাজে পর্ণগ্রাফিতে ছেয়ে গেছে এই পুরো সমাজ। আমাদের সমাজের অনেক নারীকেই নানান রকম ব্ল্যাক মেইলের শিকার হতে হয়। বাধ্য করা হয় নানান রকম অসামাজিক কারজ কলাপে লিপ্ত হতে। নীরবে ডুকরে কেঁদে যায় সে একাকী, নির্জনে। পরিবারের সম্মানহানির দিকে তাকিয়ে মুখ বুজে সব সহ্য করে যায় আমাদের এই সমাজের নারী।
প্রিয় এটর্নি জেনারেল স্যার,
এক জন নারী কেন আজও নির্ভয়ে, একা একা পথ চলতে পারে না। কেন তার জন্য তার পিতা, মাতা কিংবা তার ভাইয়ের দুশ্চিন্তার অন্ত থাকে না?
প্রিয় এটর্নি জেনারেল সাহেব,
যে নারী অল্প বয়সে বিধবা হয়ে যায়, তার ভবিষ্যৎতের দায়িত্ব কি সরকার কিংবা এই সমাজ নিবে। দ্বিতীয় বিয়ে আইন করে বন্ধ হলে কি সব পুরুষরাই স্ত্রী ভক্ত হয়ে যাবে!! প্রতিটা নারীই চায় নিশ্চয়তা , সম্মান। আপনি আইন করে এই সমাজে নারীর পূর্ণ সম্মান দেয়ার ব্যাবস্থা করুন ।
২| ২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৭
নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: আমাদের মানসিকতা এতই মানবিক যে তাকে ঠিক রাখার জন্য আমরা পুলিশ পুষে থাকি। অবিবাহিতদের মানসিকতা ঠিক রাখার জন্য রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে, যদিও এটা কারো কাছে ধর্মের বড্ড বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে কিন্তু এটা সত্য।
একজন পুরুষ যদি ঘরে বউ থাকতে ও পরনারীর দিকে হাত বাড়ায় এবং পরনারীও যদি তাতে সায় দেয় তাহলে দুনিয়ার কোন কোন আইনে তাকে শাস্তি দেয়া যায়? ঘরে পর্যাপ্ত খাবার না থাকলেই অন্যের দুয়ারে মানুষ হাত পাতে। সবধরনের হাত পাতাকেই আমাদের ঘৃনা করা উচিৎ এবং সামাজিক ভাবেই দ্বিতীয় বিয়ের উৎসাহ দেয়া উচিৎ?
বিবাহিতরা কর্মক্ষেত্রে বেশী রেস্পনসিবল- তাই যদি হয় তবে "ছেলে স্টাবলিস হওয়ার আগে বিয়ে করা যাবে না" মানসিকতা ঝেড়ে ফেলিনা কেন? মসাই ছেলের বয়সের সাথে সাথে কি ছোক ছোক সভাবটা বাড়ছে না? চোখে যখন পড়েই যায় নিরব সম্মতিতে কেন বলি "একটু ঐ রকম তো হতেই পারে, পুরুষ মানুষ না..."
আমাদের মানসিকতায় আজব আজব সব জিনিস জুড়ে আছে, যেগুলো খুব দরকারী সেটা থেকে ১০০ হাত দুরে থাকি আর যা আমাদের জন্য ভয়ঙ্কর সেসব মানসিকতার চর্চা করি, হায়রে মানসিকতা... আমাদের তথাকথিত এইসব মানসিকতা যতদিন না দুর হবে ততোদিন শুধু নারী কেন পুরুষের ও দুর্দশার শেষ নাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৩
খাটাস বলেছেন: দ্বিতীয় বিয়ে বন্ধ করার সাথে নারীর দুর্দশা কমার ও যেমন সম্ভাবনা নেই, তেমনি বন্ধ করলে সমাজে পরকিয়া বা লিভ টু গেদার ও খুব বেশি বাড়ার সম্পর্ক নেই। সবার আগে মানসিকতার পরিবর্তন দরকার।