![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ও আমার পরানের প্রিয় রসায়ান বিভাগ,
তুই কেমন আছিস? তোরে তো বড্ড মিস করসি।।।
তোর সাথে হাটা হয় না কত বছর ...তোর গ্যালারীতে কত সময় পার করসি...... উফফ ব্যাবহারিক ল্যাব এর ডেস্ক গুলোর উপর কতো বসে ক্লাস ফাকি দিসি।
উফফফ সেদিন গুলো......কতো আড্ডা দিতাম, মাঝে মাঝে আবার তোর ভাল এক্সাম দেয়ার চেষ্টা করতাম......।।
হে প্রিয়তমা,
তোর নিয়ম মাফিক চলতে আমার খুব আলসেমি লাগতো...কখনওবা সকাল ৮.৩০ টা বাজে চোখের দু পাতা ডলতে ডলতে আস্তাম......তখন খুব ভাল লাগতো যদি টাইম মত এসে উপস্থিতিটা দিতে পারতাম ......।তারপর তোকে ফাঁকি দিয়ে চা নাস্তা খেতে যেতাম...... বড্ড মিস করসি দিন গুলো......।।তোর টেবিল এর উপর কতো কাটা- গোল্লা খেলতাম... তোর নোটিশ বোর্ড এর দিকে তাকিয়ে থাকতাম , তোর খবরা খবর জানার জন্য...... সবসময় চেষ্টা করতাম কিন্তু ওই যে বললাম না আলসেমি......।।
মাঝে মাঝে যখন ক্লাস হত না, হৈ চৈ আর দুষ্টামি করতাম ভীষণ রকম । জানি তোর ভাল লাগতো না।। তুই বিরক্ত বোধ করতি ...। আবার কখনও কখনও চুপটি করে বৃষ্টি দেখতাম দোতালার বারান্দা থেকে ।।
দেখতাম আর অনুভূতি গুলো সৃতির পাতায় গেঁথে রাখতাম... বরষ ধারা তোকে ভিজে দিতো...
ভিজে যেত ইটের রাস্তা গুলো,
রঙ্গন আর ফুলের বাগান;
তোর কংক্রিট দেয়াল এর দু ধারে
বেড়ে উঠা কৃষ্ণচূড়া আর রাধাচূড়া ......।
২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
আমিনুর রহমান বলেছেন:
রসায়ন স্মৃতিচারন ভালো লাগলো +++
৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমার নিজের ডিপার্টমেন্টের কথা মনে পড়ে গেল। তিন বছরের বেশি হইসে ওই এলাকায় যাওয়া হয় না।
৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার রসায়ন নস্টালজিয়ায় আপ্লুত হয়েছি মুহিব । যদিও ষোল বছর আগে ডিপার্টমেন্ট ছেড়ে আসার সময় বিবমিষা কাজ করছিল মনের ভিতর ।
থাকতাম আলবেরুনী হলে । সকালে সবাই যখন নাক ডেকে গভীর নিদ্রামগ্ন, আমরা তখন সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে রেডি হতাম সাড়ে আট টার ক্লাস ধরার জন্য । দুপুরে খেয়ে যখন সবাই বকুলতলায় অলস আড্ডায় ঝিমায়, আমরা তখন দুটা থেকে শুরু হওয়া প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস ধরার জন্য প্রাণপন দৌড়ের উপর । বিকেলে সবাই দল বেঁধে হেটে যাচ্ছে চৌরঙ্গী বা প্রাণ্তিক গেটের দিকে, সাদা এ্যাপ্রন পড়া একদল হাঁস-মুরগী হয়ে ওদের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতাম । আর ভাবতাম আমি এখানে কেন ?? বিকাল পাঁচটায় কেমিকেলের গন্ধ লাগা এ্যাপ্রণ পড়েই ছুটতাম লাইব্রেরীর দিকে ।
মৃত ডিপার্টমেন্ট বেশিদিন আটকে রাখতে পারে নি, সব ছেঁড়েছুঁড়ে দিয়ে যোগ দিলাম প্রাণের আড্ডায় । হয়ে গেলাম জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের একনিষ্ট নাট্যকর্মী । কেমেস্ট্রির জবরজং রোবট টীচারদের কাছে কিছুদিন পরই হয়ে গেলাম চরম অপ্রিয় । নিজের কাছেও বিতৃষ্ণা লাগছিল । মাস্টার্সে থিসিস নিয়েছিলাম ডঃ শফিউল্লাহ স্যারের অধীনে, এনভায়রনমেন্টাল কেমেস্ট্রি । ল্যাবে মন বসাতে না পেরে ওটাও ছেড়ে দিয়েছিলাম ।
হ্যা, ঐ একজন টীচারকে এখনো মনে রেখেছি, ডঃ শফিউল্লাহ । ছাত্রদের উনি কখনোই বইয়ে আটকে রাখেন নি । নেতাজী সুভাষ বসু শতবার্ষিকীর অনুষ্টান পর্যন্ত ডিপার্টমেন্টে করেছিলেন । একবার স্যার ফেবুতে আমার একটা লেখার প্রশংসা করেছিলেন । আমি স্যারকে বলেছিলাম, আমি আপনার একজন ব্যাক বেন্চার স্টুডেন্ট । এ কথা বলায় স্যার রেগে গিয়েছিলেন । উনি তখন বলেন, "চল্লিশ বছর আমি ডিপার্টমেন্টে পড়িয়েছি, ঐ সব ফাস্ট ব্যান্চার কুয়োর ব্যাঙকে আমার খুব চেনা আছে । তুমি স্পষ্টভাষ্য আর আভিজাত্য নিয়ে যেভাবে লেখ, ওরা পাঁচবার পিএইচডি করেও তা লিখতে পারবে না ।"
স্যারের কথায় সেদিন আবেগে ভেসেছিলাম । ষোল বছর আগে ফেলে আসা ডিপার্টমেন্ট আর ঐ সময়ের টীচার, সিনিয়র, জুনিয়র সহপাঠি সবার কথাই ইদানিং মনে পড়ে । মাঝখানে অনেকবার জাবি তে গেলেও ডিপার্টমেন্টে যাইনি, সামনে গেলে অবশ্যই যাব ।
অনেক বড় একটা মন্তব্য দিয়ে দিলাম মুহিব ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
রসায়ন পড়তে ইন্টারে আর ম্যাট্রিকে বেশ ভালই লাগত। কিন্তু যারা এটিকে অনার্সে এসে বিষয় হিসেবে নিয়েছেন তাদের কে স্যালুট না জানিয়ে উপায় নেই।