![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু স্মৃতি সময়ের আবর্তে ফ্যাকাসে হয়ে যায় আর কিছু স্মৃতি রয়ে যায় জীবন খাতায় অমলিন। চোখ বন্ধ করলেই ফিরে যাওয়া যায় সেই সব দিন গুলোতে । হোক না সেটা এক যুগ , দুই যুগ কিনবা এরো বেশী সময়কালের ।
গত কয়েকদিন আগে আমার এক আমেরিকা প্রবাসী প্রানের বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিলো। কথার শুরুতেই বন্ধু বলে উঠলো- দোস্ত তোদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি।
আমি-এক্টু অবাক, আসলেই অবাক হয়েছিলাম এই ভেবে যে আমেরিকার মানুষ গুলোও স্বপ্ন দেখার সময় পায় কিনা এই ভাবে !! এর উপর যদি সে হয় পি এইচ ডি গবেষণায় নিয়োজিত। আমি সাথে সাথে সেই দিন জিজ্ঞেস করেছিলাম -কি স্বপ্ন রে ? ও বলছিলো - আমাদের স্কুলের পরীক্ষার কথা । পরীক্ষা দিচ্ছিলাম এই রকম । এর বেশী আর বলতে পারে নাই।
আমি সেই দিন বন্ধু সুফির কথা শুনে মনের অজান্তেই ফিরে গিয়েছিলাম প্রায় ২০ বছর আগের পরীক্ষার দিনগুলোতে ।
স্কুলের পরীক্ষার কথা মনে পরলেই প্রথমেই মনে পড়ে যায় আরবী পরীক্ষার দিন গুলোর কথা। "ফেল এ মাঝি" কিনবা " বাকারাতুন" রচনার কথা অথবা পিতার নিকট টাকা চাহিয়া পুত্রের পত্র লেখা। অনেক কস্ট করে শিখেছিলাম। প্রিয় মোজাম্মেল হক স্যার এর কথা এখানে খুব মনে পড়ে । স্যার এ ক্লাস নিতেন আর না পারলে পশ্চিম দিকে দাড় করিয়ে আজান দেওয়াতেন । আমরা আজান দেয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতাম আর স্যার আমাদের পুটুতে জোরে জোরে বেত চালাতেন। স্যার এর হাতে মার খায়নি এমন কেউ ছিলেন না। স্যার এখন আর আমাদের মাঝে নেই , আমার আব্বার অনেক কাছের একজন সহকর্মী ছিলেন । আমি স্যার এ রুহের মাগফেরাত কামনা করি ।
স্কুলের পরীক্ষার গুলো ছিলো অনেক কম্পিটেশনের। একটা পরিক্ষায় কম পেলে প্লেস নরবড়ে হয়ে যেত। তাই সব সময় চেস্টা করতাম ভালো পরীক্ষা দেয়ার। আমার বন্ধু সার্কেল সবাই তেমনি পরীক্ষা দিতাম।
--তারেক ছিলো অসাধারন ছাত্র,সিমপ্লি টেলেন্ট । অলোয়েস ক্লাসে ফার্স্ট থাকতো । আর সুফি, হি ইস এ সুপার টেলেন্ট । আই রেকেন হি ইস রিয়েলি জিনিয়াস। দু জনের মাঝে এক অদ্ভুত এক স্নায়ু যুদ্ধ চলতো পজিশন নিয়ে । শোভন এর কথা বললে , বলতে হয়, প্রচুর খাটা খাটনী করতে পারতো ছেলেটা। আল্লাহ তারে ভালই মুখস্ত করার ক্ষমতা দিয়েছে এবং দিয়েছিলো সারা রাত জেগে পড়ে ,সকালে পরীক্ষা দেয়ার ক্ষমতা। ক্লাসে আরেক জন ছিলো আবদুল্লাহ সাইদ খান শুভ। আমাদের সকলের সাইদ ভাই। অনেক ভদ্র, নম্র এবং অনেক ভালো একজন ছাত্র। সব সময় নিজের প্লেস টা ধরে রাখতো। সাব্বির এর কথা কি বলবো , ও ছিলো এক ন্যাচারাল টেলেন্ট । সারাদিন ঘুরাঘুরি, আড্ডাবাজী, খেলা ধুলা সব করতো এবং পরীক্ষাও ফাটায় দিতো । অল্প পড়তো বাট খুব গুছিয়ে পরীক্ষায় এন্সার করতে পারতো । যে কিনা এক সময় ডাইরিতে কবিতাও লিখতো এবং আমার কবিতা লেখার প্রথম শুরু এই সাব্বির এর ডাইরি দেখে । যা দেখে আমিও কবিতা লেখা শুরু করি। যানিনা আজোও সাব্বির লিখে কিনা বাট আমি কিন্তু দোস্ত লেখা এখনোও চালিয়ে যাচ্ছি । রিজুর কথা না বললেই না এখন , খুব শান্ত কিন্তু মেধাবী ছাত্র। অনেক মেধা আমার এই স্কুলের বন্ধুর। ক্লাসের জনপ্রিয়তা ছিলো তুঙ্গে। দুষ্টুও ছিলো বেশ।
জনি, রাসেল কখন পড়তো কখনই বুঝি নাই কিন্তু পরীক্ষার রেজাল্ট যখন দিতো , তখন খুব ভালো মতই বুঝতাম যে এরা ঠিক ঠিক সময়েই পড়া পড়তো। আরেকজন মাইনুল আবেদিন মাসুদ যার কিনা স্কুল জীবনেই পুরো পৃথিবীর ম্যাপ মুখস্ত ছিলো, আমরা জিজ্ঞেস করতাম , চোখ বন্ধ করে- অমুক দেশের নাম , সে না দেখেই ম্যাপ থেকে বের করে দিত সেই দেশের নাম। এও চমৎকার ছেলে , ভাল ছাত্র ।
আর আমরা সবাই আদর্শ স্কুলের ছাত্র
-----------------------------------------------চলবে
০৯ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫
হাসান মুহিব বলেছেন: াহাহহাহা, অর্ধেক শুন্য ; ভালই তো ; বাট সব থেকে ভালো ছিলো আধাগাধা তক্মামা টা
২| ০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৩৪
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: পুরানো সেই দিনের কথা
০৯ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫
হাসান মুহিব বলেছেন: হম, বহু পুরনো দিনের কথা
৩| ০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৩৪
এন জে শাওন বলেছেন: ভাই দিলেননি পুরনো করহা মনে করিয়ে?? আমি তো এখন আবেগি হইয়া যামু।
০৯ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১
হাসান মুহিব বলেছেন: কাইন্দা ফালান
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:২৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি একবার কিন্তু অর্ধেক শুন্য পেয়েছিলাম।। পুরো প্রশ্নের উত্তরে আধা লেখার জন্য।। সাথে তকমা ছিল আধাগাধা।।