নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তৃণাবৃত মৃত্তিকা(Emran)

আল-ইমরান(মানিক)

Lecturer

আল-ইমরান(মানিক) › বিস্তারিত পোস্টঃ

শরীরজুড়ে স্রাবনের আপেক্ষা......

৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:১৮

আজ এখানে ধুলো-বালি মিস্রিত দমকা ঝড়ো হাওয়া ঘরের বাইরের মানুষগুলোকে দিয়েছে অনেক কষ্ট। আমি ঘরে ছিলাম, সে আসবে বলে। এসেছিলো, তারপর কি হলো জানিনা? একটু একটু করে বাইরের ঝড় ভেতরে এসে শুরু হলো ভয়ংকর এক ঝড়। বাইরের ঝড় থেমে গেছে, কিন্তু আমার ভেতরেরটা এখনও বয়ে চলেছে…।

জানিনা, ঝড় নিয়ে গেছে নাকি নিজেই উড়িয়ে দিয়েছি সেই সহস্রক্ষণ সঙ্গের উজ্জ্বল আভা, যে বিচ্ছুরিত হয়ে আছড়ে পড়তো সর্বদা আমার দেহে, হৃদয়ে। এইতো ঘণ্টা আট কিংবা দশেক আগে সর্বদা লাস্যময়ী, ডাগর-কালো নয়নী দেবী যাকে অর্ঘ্য দানে ক্লান্তিহীন থাকতাম আমি এবং দেবীও আশীর্বাদের বিশাল আকাশ উপহার দিতো। বিশ্বাস হয়না, এখন সে মনের মন্দির থেকে উড়ে গেছে, অনেক দূরে..., অজানায়। সত্যি আমি জানিনা, এমন কিভাবে হলো? যেন সব পুড়ে গেছে অথবা অর্ধপোড়া, যা আর কখনও ঠিক হবে না। ইন্দ্রিয়সমুহ নিস্ক্রিয়প্রায়, তাই অবশিষ্ট ছাই-ভস্ম (স্মৃতিগুলো) অতিদ্রুত মনের আবছা আলোয় অস্পষ্ট মনে হচ্ছে। আর পারি না, খুব কষ্ট হচ্ছে, এই সদ্য বিবর্ণ, ধুসর-মলিন ভস্মরাশি উড়াতে পারি না কিংবা ঝড় উড়িয়ে নিয়ে যাই না কেন? যতই চেষ্টা করি উড়াতে আবার ফিরে এসে আপাদমস্তক ঢেকে যায়...।।



ছাই মাখা শরীর সহজে মিশতে পারেনা লোকের সাথে, করতে পারেনা স্বাভাবিক ক্রিয়া। ভাবছি, চলে যাব অসীম জলরাশিতে যেখানে অবগাহন করে ধুয়ে ফেলবো অপরিস্কার, ছেঁড়া, টুকরো, ময়লা....।।

ভয় হয়, জলরাশি থেকে পরে কিনারে উঠতে পারবো? অথবা, আদৌ কি খুঁজে পাব কাঙ্ক্ষিত জলরাশি? নাকি এভাবেই পোড়া গন্ধসমেত ছাইমাখা আমি, একলা আমাকে বহন করবো ধরণীর এক কোণে, যেখানে আমার দেবী অজানায় থেকে করবে আশীর্বাদ, আর চোখের স্রাবন ধীরে ধুয়ে দিয়ে যাবে সব।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৪৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সুন্দর ও সাবলীলভাবে তুলে ধরেছেন। ভীষণ ভাল লাগলো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.