নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“অলৌকিক আনন্দের ভার, বিধাতা যাহারে দেন, তার বক্ষে বেদনা অপার”
ছবি বিবিসি।
এ দেশের শিক্ষার্থীরা কতদিন আর রক্ত দেবে? বৈষম্যহীন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তারা পাকিস্তান আমল থেকেই ত্যাগ স্বীকার করে আসছে। ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে, কিন্তু এখনও সব ক্ষেত্রে বাংলার প্রতিষ্ঠা হয়নি। ১৯৬২ সালে শিক্ষার অধিকার রক্ষার দাবিতে রক্ত দিয়েছে, কিন্তু শিক্ষা এখন বাণিজ্যিক পণ্যে পরিণত হয়েছে। ১৯৬৯ সালে শিক্ষার অধিকার ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রক্ত দিয়েছে, কিন্তু সেই অধিকার আজও নিশ্চিত হয়নি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে তারা যে সাম্য ও ন্যায়ের রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিল, তা স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পরেও বাস্তবায়িত হয়নি।
স্বাধীনতার পরও তাদের রক্তদানের অবসান ঘটেনি। ১৯৭৩ সালে তাদের গুলিবিদ্ধ হতে হয়েছে পুলিশ বাহিনীর হাতে। ১৯৮৩ সালে শিক্ষার অধিকার রক্ষার দাবিতে প্রাণ দিয়েছে মিলিটারি ট্যাংকের নিচে। ১৯৯০ সালে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে অভূতপূর্ব অভ্যুত্থান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে, কিন্তু আজও সেই গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত হয়নি।
১৯৯০ সালের পর থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে হানাহানি ও ভয় সৃষ্টি করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিভীষিকার জায়গায় পরিণত হয়েছে।
তবুও শিক্ষার্থীরা থেমে থাকেনি। ২০১৫ সালের ভ্যাটবিরোধী আন্দোলন, ২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ও কোটা সংস্কার আন্দোলনে তাদের ত্যাগ ও রক্তদান অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু তাদের দাবিগুলো এখনও পূরণ হয়নি। আজ ২০২৪ সালে শিক্ষার্থীরা পুনরায় কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবি করেছে, যার পরিণতিতে শতাধিক ছাত্র ও সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে এবং হাজার হাজার আহত হয়েছে।
১৯৫২ থেকে ২০২৪—এই দীর্ঘ সময়জুড়ে শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগ ও অর্জন কতটুকু স্থায়ী হয়েছে? যদি না হয়, তার কারণ আমাদের জাতীয় রাজনীতির সুবিধাবাদিতা। ছাত্রদের আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক অর্জন হলেও ক্ষমতায় গিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের স্বার্থ উপেক্ষা করে। এই সুবিধাবাদিতার ফলে ছাত্রসমাজকে আগামীর বাংলাদেশের করণীয় ভাবতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭
সোনাগাজী বলেছেন:
ছাত্ররা পড়ালেখা না'করে দেশ চালাতে চাচ্ছে; ওদের কোন আন্দোলনই সঠিকভাবে হয়নি।