![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ ২৬ মে ভারতের ১৫তম প্রধাণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন চরম হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি’র নরেন্দ্র মোদি।এই প্রথম ভারতের কোনো প্রধাণমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সার্কের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধাণদের আমন্ত্রন জানানো হয়েছে ।যদিও বিষয়টা নিয়ে ইতিমধ্যে ‘মোদি’ দায়িত্ব নেয়ার পুর্বেই অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন। বিশেষ করে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসেকে আমন্ত্রণ জানানোয় তামিলনারু রাজ্যের রাজনীতিবিদদের সাথে মৃদু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। যাই হোক আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু আসলে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে বা তামিলনারুর সমস্যা নয়। যে বিষয়টি আমরা আজকে আলোচনা করতে চাচ্ছি তা হলো, বাংলাদেশের প্রধাণমন্ত্রী শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপ্রাপ্ত অন্যতম একজন অতিথি, কিন্তু তাঁর পুর্ব নির্ধারিত জাপান সফরের জন্যে তিনি যেতে পারছেন না। যার ফলে তিনি তাঁর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার ডঃ শিরিন শারমিন চৌধুরীকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠাচ্ছেন।আর আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়টা সেখানেই, স্পীকার কি সরকারের কোনো অংশ ? স্পীকার তো একটি স্বাধীন ও স্বার্বভৌম একটি প্রতিষ্ঠান । তিনি কি সরকারের আর দশ জন মন্ত্রীর মতো প্রধাণমন্ত্রীর অধীনস্ত ? তিনি তো সাংবিধানিকভাবে জাতীয় সংসদের অভিভাবক ।সাংবিধানিকভাবে স্পীকার তো রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । তাহলে প্রধাণমন্ত্রী কেনো তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে স্পীকারকে পাঠাচ্ছেন ? আর প্রধাণমন্ত্রী কি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকারকে ‘ডিকটেট’ করতে পারেন? অনেকের কাছে হয়ত এ বিষয়টা খুব ছোট বা হালকা মনে হতে পারে , কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রের মুল শক্তি বা সৌন্দর্যই হচ্ছে ‘ কনভেনশন’ বা কালচার । সেক্ষেত্রে মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে মাননীয় স্পীকার ডঃ শিরিন শারমিন চৌধুরীকে পাঠিয়ে আমাদের ভবিষ্যত সংসদীয় রাজনীতির জন্যে কি একটি বাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন না ?
আর তা ছাড়া এ ধরনের একটি ‘সিম্বলিক’ অনুষ্ঠানে স্পিকার কে না পাঠিয়ে তিনি তো মাননীয় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকেও পাঠাতে পারতেন ? অথবা তিনি যদি মনে করেন তাঁর সরকারের ‘হাইপ্রোফাইল’ কাউকে পাঠাতে হবে যিনি একমাত্র তাঁর প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। তবে তো তিনি তাঁর অত্যন্ত ক্ষমতাধর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বা গওহর রিজভীর মধ্যে যে কাউকে পাঠাতে পারতেন, তাতে অন্তত সাংবিধানিক একটি পদে আসীন স্পীকারকে সরকারি কাজে ব্যবহারের হাত থেকে রক্ষা করতে পারতেন। তাছাড়া সাংবিধানিকভাবে স্পীকার যে আমাদের দেশে ‘ঠুটো জগন্নাথ’ অর্থ্যাৎ স্বাধীন ও স্বার্বভৌম নয় তা অন্তত বাইরের দেশের কাছে নগ্নভাবে প্রমাণিত হতো না।
যদিও ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর সরকার ও সাংবিধানিক পদ সব একাকার হয়ে গেছে ।তাই প্রধাণমন্ত্রী এবং স্পীকার হয়তোবা সাংবিধানিক পদের গুরুত্বের চেয়ে তাদের মধ্যে বিরাজমান ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা বিশ্বস্ততাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে এটা ভবিষ্যতের সংসদীয় রাজনীতির কালচারের জন্যে খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়ে থাকল , এমনিতেই আমরা রাষ্ট্রের কোনো ধরনের শক্তিশালী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সম্পুর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছি। তারপরে এখন আবার স্পীকারের মতো সাংবিধানিক পদকেও প্রধাণমন্ত্রী যদি তাঁর ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা শুরু করেন, তা হবে গণতান্ত্রিক শাষনব্যবস্থার জন্যে চরম হুমকিস্বরুপ। তবে মাননীয় স্পীকারের তাঁর স্বীয় পদের সাংবিধানিক মর্যাদা সমুন্নুত রাখার নিমিত্তে প্রধাণমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পুর্বে গভীরভাবে বিষয়টি ভেবে দেখার অবকাশ ছিল।
২| ২৬ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:৩৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: এই সরকার তাদের সব কিছু যাচ্ছেতাই ভাবে ব্যাবহার করছে, স্পীকার কার যেন পায়ে হাত দিয়ে সালাম করেছিলেন, সবই এদেশে জায়েয।
৩| ২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:০৭
তিক্তভাষী বলেছেন: ভালো পয়েন্ট। তবে, চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী!
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মে, ২০১৪ ভোর ৫:২৮
কীর্তনখোলা তীরে বলেছেন: স্পীকারকে না পাঠানোই উচিৎ ছিল।সরকার সাংবিধান পদগুলোকে তাঁর খেয়াল খুশি মত ব্যবহার করতে পারে্ননা। প্রয়োজনবোধে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা তোফায়েল আহমেদ অথবা আমির হোসেন আমুকে প্রধাণমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে শপথ অনুষ্ঠানে পাঠাতে পারতেন।