নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিঃ তারেক রহমান বুদ্ধিজীবী না হয়ে রাজনীতিবিদ হউন।

১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫



বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান হঠাৎ করে দেশের রাজনীতির সর্বাধিক চর্চিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি করে চলেছেন।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে গত ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর বিএনপি হঠাৎ করে আন্দোলন স্থগিত করে সংগঠন গোছানোর ঘোষনা দেয়,কিন্তু দীর্ঘ ৫ মাস অতিবাহিত হলেও সংগঠন গোছানোর কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে তাদেরকে দেখা যায়নি।বরং এ সুযোগে সরকার দিনের পর দিন রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিএনপিকে এখন প্রেসক্লাবের চার দেয়ালের মধ্যে বন্দী করে ফেলেছে।

এমনকি সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রীম কোর্ট চত্ত্বরে আইনজীবীদের ডাকা সমাবেশ পর্যন্ত পুলিশ দিয়ে প্যান্ডেল ভেঙে দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে।যার মানে হচ্ছে, সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে বিএনপি ঢাকায় এখন আর শুধু রাস্তা নয় কোনো হলরুমের মধ্যেও নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনাসভা পর্যন্ত করতে পারছে না।বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৪ বছরের ইতিহাসে রাজনৈতিক দলগুলোর মত প্রকাশের অধিকার এতটা প্রকটভাবে আর কখনো কেড়ে নেয়া হয়নি। এমনকি সামরিক শাষনের আমলেও রাজনৈতিক দলের কন্ঠরোধের এতটা তীব্র বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়নি।

ঠিক এরকম একটি দমবন্ধকর রাজনৈতিক পরিবেশে গণতন্ত্র যখন সম্পুর্ণরূপে মুখ থুবরে পড়েছে , ঠিক সেসময় বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের কোনো সুনির্দিষ্টি কর্মপরিকল্পনা প্রদান না করে সম্পুর্ণ অযাচিত ভাবে বারবার শেখ মুজিব ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসে কোন ধরনের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চাচ্ছেন তা বিএনপি’র সিনিয়র নেতৃত্ব সহ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে বোধগম্য নহে।সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, একটি প্রধাণ রাজনৈতিক দলের অন্যতম নীতিনির্ধারক তিনি কেন একটি ‘’ডেড ইস্যুকে ‘’ সামনে নিয়ে এসে বাংলাদেশে চলমান যে রাজনৈতিক সংকট বিরাজমান রয়েছে তাকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন ? আর এমন দুজন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বকে তিনি বারবার তাঁর আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত করছেন যারা শারীরিকভাবে অনেকদিন পুর্বেই এই ভূমন্ডল থেকে বিদায় নিয়েছেন।

তাছাড়া একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদ হিসেবে এধরনের ঐতিহাসিক বিষয়ে বার বার কথা বলা তার জন্য কোনো ক্রমেই সমীচীন হতে পারে না।নিদেনপক্ষে, তিনি যদি সত্যিই বাংলাদেশের ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ঘটনার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে চান,তবে তার জন্যে বুদ্ধিজীবী , লেখক, ইতিহাসবিদ বা রাজনীতিবিজ্ঞানীদের উপর নির্ভর করা উচিৎ।শুধু শুধু এ ধরনের অমীমাংসিত রাজনৈতিক ইস্যুতে পুনঃ পুনঃ মন্তব্যে করে তারেক রহমানের কোনো ক্রমেই নিজেকে অযাচিত রাজনৈতিক বিতর্কে জড়ানো ঠিক নয়।

তাকে মনে রাখতে হবে , শেখ মুজিব বা জিয়াউর রহমান বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতির প্রধাণ ইস্যু নয়। এখন বাংলাদেশের রাজনীতির মূল ইস্যুই হচ্ছে কত তাড়াতাড়ি একটি সবদলের অংশগ্রহণে শান্তিপুর্ণ নির্বাচনের মাধ্যেমে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে সেই দিকে নজর দেয়া। তবে হ্যা, তারেক রহমান যদি মনে করেন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই এখন প্রধাণ সমস্যা নয় , শেখ মুজিব বা জিয়াউর রহমান বিতর্কের সমাধানই রাজনীতির মুখ্য সমস্যা তাহলে কোনো কথা নেই।সেক্ষেত্রে তিনি দলীয় রাজনীতি বাদ দিয়ে, এধরনের নতুন নতুন রাজনৈতিক বিতর্কের অবতারণা করে একজন রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবী হিসেবে তার বশংবদ উপদেষ্টাদের কাছে তৃপ্তির ঢেকুর গিলতে পারবেন, তবে আখেঁরে তাতে বিএনপি ও দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের কোনো সমাধান আসবে না।

অতএব জনাব তারেক রহমানকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তিনি কি একজন রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন ? না বিএনপি এবং দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলায় সংগঠন যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে তাতে সক্রিয় ভুমিকা রাখবেন।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫

নীল আকাশ ২০১৩ বলেছেন: আওয়ামী লীগারদের মত রাজনীতি করা রাজনীতিবিদ আর এলাকার দখল নিয়ে কামড়া কামড়ি করা রাস্তার কুত্তাদের মধ্যে খুব একটা প্রভেদ নেই। তারেক রহমান বরং রাস্তার সারমেয়দের সঙ্গে মারামারিতে লিপ্ত না হয়ে খুব বুদ্ধিদীপ্ত কাজ করেছেন। কিছুদিন পরপর একটা হাড্ডি ছুঁড়ে দিচ্ছেন আর তা দেখে কুকুরেরা যে হাউকাউ চিৎকার চেচামেচি করে যাচ্ছে, আমরা জনগণ তা দেখে বেশ বিনোদিত হচ্ছি

১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৪

মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন । কিন্তু তাতে কি বর্তমান স্থবির রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হচ্ছে? তাই আমার বক্তব্য হচ্ছে বিএনপির নীতিনির্ধারক হিসেবে তাকে এখন স র্বাধিক ম নোযোগ দিতে হবে কিভাবে এ সরকারকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধ্য করানো যায় সেই দিকে।

২| ১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩

পংবাড়ী বলেছেন: তারেক ডাকাত, মাফিয়া, ইডিয়টের রাজনীতিতে আসার কোন পথ খোলা নেই

১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৪২

মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: প্রত্যেক নাগরিকের রাজনীতি করার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে সেই হিসেবে তারেক রহমানের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করার অধিকার আপনার বা আমার কারোরই নেই । জনগণ প্রয়োজন মনে করলে যে কাউকে প্রত্যাখান করতে পারে আবার স্বাগতও জানাতে পারে। তাই আপনি আমি কারো বিষয়ে রাজনৈতিক সীমা নির্ধারন করে দিতে পারি না , এটা গণতান্ত্রিক অধিকারের নীতিবিরুদ্ধ।

৩| ১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪

পংবাড়ী বলেছেন: "
এখন বাংলাদেশের রাজনীতির মূল ইস্যুই হচ্ছে কত তাড়াতাড়ি একটি সবদলের অংশগ্রহণে শান্তিপুর্ণ নির্বাচনের মাধ্যেমে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে সেই দিকে নজর দেয়া।

-হাউকাউ ধারণা

১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭

মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: তাহলে আপনার কি ধারণা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার বিদ্যমান আছে ?শতকরা ৫ ভাগ ভোটাধিকার প্রয়োগ হয়েছে যে নির্বাচনে তার দ্বারা গঠিত সরকার দেশ পরিচালনা করবে ?

৪| ১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৬

কীর্তনখোলা তীরে বলেছেন: আমি লেখকের বক্তব্যের সাথে একমত । তারেক রহমানের এখন এই সব ফালতু বিতর্কে না জড়িয়ে কিভাবে আন্দোলনে দল সফল হতে পারে তার দিক নির্দেশনা তৈরী করা।

১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:০৭

মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।আমিও তাই মনে করি তারেক রহমানের আন্দোলনের রূপ রেখা প্রনয়ণের দিকে বেশি নজর দেয়া উচিৎ।

৫| ১১ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: তারেক রহমান যে কাজটা করছেন তা আপাতত দৃষ্টীতে কোন তাৎপর্য বহন না করলেও এর ধাক্কাটাও কম না। এর কয়েকটি কারন আছে। কারন প্রথমত এই মুহুর্তে সরকার যতটা পারে কম বিতর্ক করতে চায় তাই এরকম আগুন গরম ইস্যু আসলে তা সরকার'কে কিছুটা দোটানায় ফেলবে। যদি ডিফেন্ড করতে চায় তাহলে গালা-গালি করা ছাড়া আর কিছু করার নাই। আবার যদি ডিফেন্ড না করে তাহলেও মানুষের মনে হবে আসলেই ব্যাপারটা সত্যি। তাহলে যেটা দাড়াচ্ছে সেটা হলো দ্বি-মুখি তলোয়ার, যেটা আসতেও কাটে যাইতেও কাটে এবং রাজনীতি'তে দ্বি-মুখি তলোয়ারের খেলা হলো কার্যকরী খেলা।

দ্বিতীয় ব্যাপার হলো, আলীগের একটা বড় শক্তি হলো শেখ মুজিব এবং মুক্তিযুদ্ধ। এই দুই ব্যাপার না থাকলে আলীগের রাজনীতি করা অনেক শক্ত হতো। এবং এই মুহুর্তে আলীগ রাজনৈতিকভাবে খুবই দুর্বল অবস্থানে অবস্থান করছে এখনই এই ব্যাপারগুলো বিতর্কে আনলে যতটা সুবিধা পাওয়া যাবে অন্য সময় তা পাওয়া যাবে না।

আর শেষ কথা হলো এইটাও মনে করার কোন কারন নেই যে এটাই শেষ। আরও বড় বড় ব্লো আসবে এবং তখন আলীগ'কে এমন একটা অবস্থায় নিয়ে আসা হবে যে মুজিব আর মুক্তিযুদ্ধ নিয় বড়াই করা আলীগের কাছে একটা অলীক স্বপ্নে পরিনত হবে। এতদিন অনেকে চাইলেও হাই-কমান্ড মনে করতো যে মুক্তিযুদ্ধ আর শেখ মুজিব কি নিয়ে কথা না বাড়ানোটাই রাজনৈতিক ভব্যতা। কিন্তু সেই দিন শেষ। এখন কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। যার যার যতটুকু প্রাপ্য ততটুকুই পাবে। মহামানব বানানো হবে না।

চিন্তা করে দেখেন একটা সময় ছিলো অনলাইন জগতে বাল'দের রাজত্ব ছিলো সেটা আর নেই বাস্তব জগতেও সেটা করা হবে।

আর এরকম আক্রমন করা এটাও আন্দোলনের এক ধরনের কৌশল। শুধু রাস্তায় আক্রমন করলেই হবে না সবদিক থেকেই আক্রমন করতে হবে।

১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:২৫

মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।একটি বিষয় পরিস্কার হওয়া দরকার আমি ব্যক্তিগতভাবে মনেকরি এই মুহুর্তে দেশ , জাতি, বিএনপির সামনে সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে ফ্যাসিবাদি সরকার কতৃক গণতন্ত্র হরণের সংকট। তাই বিএনপিকে এই সংকট হতে দেশকে মুক্তির পথ খোজার দিকে অধিক হারে মনোযোগ দিতে হবে।
আর একটি তারেক র হ মান যদি আওয়ামী লীগকে মুক্তিযুদ্ধ ইস্যুতে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে চান তবে জিয়াউর র হ মান কে মুজিবের মুখোমুখি না করে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযুদ্ধ কালিন সময়ে তাজউদ্দীন আহমেদের ভুমিকা তুলে ধরে শেখ মুজিবের দুর্বল অবস্থানকে চিত্রায়িত করতে হবে। এক মাত্র তা হলে আওয়ামী লীগকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির দায়ে বিবেকের কাঠগড়ায় দাড় করানো যাবে।

৬| ১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:১৮

দারুচিনির দ্বীপ বলেছেন: তারেক রহমান এখন রাজনীতিবিদ থেকে বুদ্ধিজীবী হিসেবে দেখতে বেশি পছন্দ করছেন।তিনি হয়ত বুঝতে পেরেছেন রাজনিতিতে তার ভবিষ্যত অন্ধকার তাই যদি বুদ্ধিজীবীর তকমা লাগাতে পারেন তাহলে তো মন্দ হয় না। যাই হোক চালিয়ে যান। :#) :#) :#) :#) :#)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.