নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

৫ জানুয়ারির নির্বাচনঃ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিমুলে আঘাত ও অন্ধকার রাজনীতির চোরাগলিতে ঘুরপাকরত বিএনপি

১৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬







আজ ৬ মাস অতিবাহিত হতে চলল দেশে ৫ জানুয়ারির মতো একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট এই নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য লাগাতার আন্দোলন করেছিলো। যাতে প্রায় শতাধিক প্রানহানি ঘটে, রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত সম্পদের ক্ষতি হয় হাজার হাজার কোটি টাকা।বিরোধী দলের আন্দোলনে সরকার বাধ্য হয় এবারের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন শুধু ভোটারবিহীন না করে প্রার্থীবিহীন করে বাংলাদেশের নির্বাচনী কারচুপির ইতিহাসে এক অভিনব পদ্ধতি উপহার দিয়ে।এক অর্থে বিএনপি’র নির্বাচন বর্জনের আন্দোলন সেই অর্থে অনেকটাই সফল বলা চলে, যদিও এতে তাদের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের ভুমিকা ছিলো অনেকটা প্রশ্নবিদ্ধ।তবে বিএনপির তৃণমুল নেতাকর্মীদের নির্বাচন বিরোধী আন্দোলনে স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণের ফলে সারা বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটের কোন উৎসাহের আমেজ তৈরী করতে নির্বাচন কমিশন ও সরকার সম্পুর্ণ রূপে ব্যর্থ হয়েছিলো। যার ফলে সারা বাংলাদেশের বেশির ভাগ এলাকায় ভোটার উপস্থিতি ছিলো অত্যন্ত নগন্য, শতকরা হিসেবে যা ৫-৬ শতাংসের চেয়ে অধিক ছিলো না বলে বিভিন্ন দেশী বিদেশী গণমাধ্যেমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো।যদিও আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারির নির্বাচন আয়োজনকে এক ধরনের সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার প্রয়াস বলে ব্যাপকভাবে প্রচার চালিয়েছিলো। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ তখন বারবার দেশবাসীকে এই বলে আশ্বস্ত করতে সচেষ্ট ছিলো ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরে অতিসত্ত্বর সবদলের অংশ গ্রহণে একটি inclusive নির্বাচনের আয়োজন করা হবে যাতে সব দল অংশ নিতে পারবে।কিন্তু তাদের এসব প্রতিশ্রূতি সত্বেও নির্বাচনের দিন খুব নগন্য সংখ্যক ভোটার ভোট দিতে উপস্থিত হয়।প্রায় পাঁচ শতাধিক ভোটকেন্দ্রে ভোট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় নির্বাচন কমিশন, ৪৪টি কেন্দ্রে কোনো ভোটার উপস্থিত হয়নি।দেশের প্রেসিডেন্ট , প্রধাণমন্ত্রী , জাতীয় সংসদের স্পীকার,বিরোধী দলের নেতা , প্রধাণ বিচারপতি, প্রধাণ নির্বাচন কমিশনার তাদের নিজ নিজ ভোট প্রদান করতে পারেন নি বা দেয়ার প্রয়োজন হয়নি । নির্বাচনে বিদেশী কোনো পর্যবেক্ষক আসেনি।জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন আমেরিকা নির্বাচনের অনেক আগেই জানিয়ে দেয় তারা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। তারপরও আওয়ামী লীগের একগুয়েমিতে বিশেষ করে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন দেশের প্রায় ৯৫ শতাংস মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ভোট প্রদান থেকে বঞ্চিত করে ১৫৪জন সংসদ সদস্যকে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত ঘোষনা করে। নির্বাচনের নামে এটা যে কতো বড় প্রহসন ছিলো তা এই সব চিত্র দেখলেই আমরা সহজেই অনুধাবন করতে পারি।


দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন শুধু যে বাংলাদেশের শিশু গণতন্ত্রের জন্যই চরম ক্ষতি হয়েছে তাই নয় , এর আর একটি ক্ষতিকর বড় দিক হচ্ছে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যেমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন তার গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পুর্ণরূপে ধুলিষ্যাৎ করে দিয়েছে। ৯০’র স্বৈরাচারী এরশাদশাহীর পতনের পর বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যে কয়টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার মধ্যে ৯৬’র ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাদে বাকী সব নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন মোটামুটিভাবে দেশি বিদেশি সকলের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়।

বস্তুতপক্ষে নির্বাচন কমিশন একটি ইনষ্টিটিউশন , আর যেকোনো ইনষ্টিটিউশন একদিনে গড়ে উঠতে পারে না।আমরা যে ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থার প্রশংসায় সারাক্ষণ মুখে ফেনা তুলে ফেলি তা কিন্তু একদিনে গড়ে উঠেনি। ‘টিএন সেশানে’র মতো লৌহমানবখ্যাত নির্বাচন কমিশনারের বলিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল ভুমিকার কারণে ভারতের নির্বাচন কমিশনের আজকের পরিবর্তনের যাত্রা ৯০’র দশকে শুরু হয়েছিলো ।যা ধারাবাহিকভাবে তাঁর উত্তরসুরীরা অব্যাহত রেখেছেন এবং এর সুফল আজকের ভারতের জনগণ সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাদের মতামত প্রকাশের মাধ্যমে দিতে পারছেন। যদিও যেকোনো ইনষ্টিটিঊশন গড়ে উঠার পিছনে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ভুমিকা খুব গুরুত্বপুর্ণ । যা ভারতের রাজনৈতিক দলসমুহ সফলভাবে পালন করতে সক্ষম হয়েছে।ফলশ্রুতিতে আমরা দেখি ভারতে বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো ফলাফল তাদের পক্ষে না গেলেও অন্তত নির্বাচন কমিশনকে কোনো ধরনের বিতর্কিত করার চেষ্টা করে না।

রাজনীতিতে এ ধরনের পরাজয় মেনে নেয়ার এবং জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান জানানোর সংস্কৃতি গড়ে ওঠা একটি রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে হলেও সত্যি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ক্ষুদ্র স্বার্থের উর্দ্ধে না উঠে সবসময় নির্বাচন কমিশনকে নিজ নিজ দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়িঁ হিসেবে ব্যবহার করতে চেষ্টা করেছে। ফলে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত স্বাধীন ও স্বার্বভৌম প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন হিসেবে দাড়াঁতে পারেনি।

৯০’র গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সামরিক শাসক এরশাদের পতনের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্র সুসংহত করার অন্যতম প্রধান রাষ্ট্রীয়স্তম্ভ ‘ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন’ গড়ে তোলার এক সুবর্ণ সুযোগ বাংলাদেশ লাভ করেছিল।কিন্তু দলীয় ও ব্যক্তিস্বার্থের উর্দ্ধে উঠতে বারবার ব্যর্থতার খেসারত দিয়ে সেই সুযোগ রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই বিসর্জন দিয়েছে।তবে এখানে একটি বিষয় খুব গুরুত্বপুর্ণ আর তা হচ্ছে যে কোনো সাংবিধানিক পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির যোগ্যতার উপরেও উক্ত প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনসত্ত্বা গড়ে ওঠা অনেকাংশে নির্ভর করে।সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে ভারতের সাবেক নির্বাচন কমিশনার ‘টিএন সেশানে’র মতো সাহসী প্রশাসনিক ব্যক্তিত্বকে আমরা আজ পর্যন্ত পাইনি যে কিনা সমস্ত রাজনৈতিক রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে দেশ জাতির প্রয়োজনে তাঁর প্রতি সাংবিধানিকভাবে অর্পিত দায়িত্ব পালনে যে কোনো কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণে পিছপা হবেন না ।উপরন্তু বাংলাদেশে গত ১০ বছরে বিভিন্ন সময়ে সাবেক আজিজ কমিশন ও বর্তমান রকিব কমিশন ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন’কে একটি ঠুঁটো জগন্নাথ বা পোষ্টবক্স সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করায় সবচেয়ে বেশি ভুমিকা রেখেছেন।তবে বাস্তবিক অর্থে এর পিছনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় দলের সমান দায় রয়েছে।দুটি দলই তাদের খেয়াল খুশী মতো নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে সবসময় সচেষ্ট থাকে।

তবে সাম্প্রতিক কালের রাজনৈতিক ঘটনাপঞ্জী যদি আমরা বিশ্লেষণ করি তাহলে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের মুল দায় আওয়ামী লীগের উপরেই বেশি বর্তায়।বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে একে অপরের প্রতি তীব্র অবিশ্বাস দীর্ঘ ৪৪ বছরে গড়ে উঠেছে যার ফলশ্রুতিতে এখানে কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করলে তা অন্য দলগুলোর কাছে কোনো ক্রমেই গ্রহণযোগ্যতা পায়না।যদিও এজন্য রাজনৈতিক সরকার গুলোই প্রধাণত দায়ী। তারপরও এ সমস্যার সমাধানের জন্য ১৯৯৬ সালে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা মুলত চালু হয়।যা মোটামুটিভাবে এতদিন আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অন্তত নির্বাচনকালীন সময়ে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে সাহায্য করত।কিন্তু সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ সংবিধানের ১২তম সংশোধনী বাতিল করে দেয়ায় বাংলাদেশের রাজনীতির সমস্ত পরিবেশই অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। যার প্রভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে আজ এক অস্থির ও অনিশ্চিত রাজনৈতিক চোরাগলিতে ঘুরপাক খাচ্ছে।

আমরা সকলেই জানি ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হয়েছে তার প্রতি বর্তমানে দেশের মানুষের আস্থার অভাব চরমভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। যার বহিঃপ্রকাশ আমরা বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিককালের আচরণের মধ্যে তীব্রভাবে লক্ষ্য করছি। আমাদের সকলের মনে রাখতে হবে জনগণের আস্থা বহির্ভুত একটি সরকারের নৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নেয়ার প্রবণতা শুধু দেশের বিভিন্ন সুবিধভোগীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না ।দেশের বাইরের বিভিন্ন শক্তিও সরকারের এই ধরনের দুর্বল অবস্থানের সুযোগ নিতে সর্বক্ষণ সচেষ্ট থাকে।যা আমরা গত কিছুদিনকার বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলেই দেখতে পাই। উদাহরণ হিসেবে গত কিছুদিন আগে ঢাকা শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে এক পাকিস্তানি নাগরিককে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী কতৃক বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে অবহিত না করে গ্রেপ্তার করে ভারতে প্রেরণ করার ঘটনাটিকে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে পারি।এ ঘটনা বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে দেশে বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এছাড়া গত এপ্রিলে নারায়নগঞ্জের সেভেন মার্ডারের ঘটনা ও মে মাসে ফেনীর ফুলগাজী উপজিলা চেয়ারম্যান একরাম হত্যাকান্ড সমাজ ও প্রশাসনিক বিভিন্ন স্তরে সরকারের নৈতিক ও প্রশাসনিক ভিত্তি যে কতটা দুর্বল হয়ে পড়েছে তা সম্পুর্ণরূপে উন্মোচিত হয়ে পড়েছে।

কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে এ ধরনের একটি আস্থাহীন সরকার যখন দেশ চালাচ্ছে তখন বিরোধী দল হিসেবে তার যে দায়িত্ব আপাত দৃষ্টিতে পালন করা উচিৎ তা করতে রাজনৈতিকভাবে বিএনপি সম্পুর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে বলে দেশি বিদেশি বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর কার্যত বিএনপি কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসুচীর মধ্যেই নেই। যদি সরকার রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনী ব্যবহার করে বিএনপিকে এখন কোনো ধরনের প্রতিবাদ সমাবেশ এমন কি মানববন্ধন পর্যন্ত করতে দিচ্ছে না। এক অর্থে সরকার বিএনপিকে প্রেসক্লাবের চাঁর দেয়ালের মধ্যে বন্দী করে ফেলেছে। তবে বিএনপির বর্তমান অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে তারা এখন পর্যন্ত এ ধরনের এক জটিল রাজনৈতিক মুহুর্তে কি করা উচিৎ বা কিভাবে মোকাবেলা করতে হবে তা ঠিক করতে পারেনি। অথবা তারা এখনও রূপকথার গল্পের মতো আশা করছে কোনো দৈব শক্তি এসে এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবে তারপর বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে সুখে শান্তিতে দেশ পরিচালনা করবে ।একটি রাজনৈতিক দল যে কতটা শিশুসুলভ চরিত্রের অধিকারী হতে পারে তা বিএনপির সাম্প্রতিক অবস্থান না দেখলে আমরা অনুধাবণ করতে পারতাম না।যে রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে সবচেয়ে বেশি সময় সরকার পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে, সেই দলের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব যে এতটা প্রকট আকার ধারণ করবে তা বের করার জন্য বর্তমানে রীতিমতো গবেষণার প্রয়োজন।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন বিএনপির বর্তমান অবস্থার জন্য তার মেধাহীন মুর্খ নেতৃত্বকেই বেশি দায়ী করেছেন। রাজনীতিবিজ্ঞানের ক্ষুদ্র জ্ঞানের অধিকারী একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে যদি আমরা বিএনপির বর্তমান অবস্থানকে দেখার চেষ্টা করি তাহলে দেখব একটি রাজনৈতিক দলের নূন্যতম মৌলিক যে বিষয় থাকতে হয় তা হচ্ছে তার রাজনৈতিক দর্শন যা এই মুহুর্তে বিএনপির মধ্যে নেই বললেই চলে ।এখন আসি কেন বিএনপির কোনো রাজনৈতিক দর্শন নেই ? তার উত্তর খুজঁতে গেলে আমরা দেখব দর্শন চর্চা করতে গেলে যতটুকু রাজনৈতিক মেধা, জ্ঞান বা নৈতিক ভিত্তি থাকতে হয় তা বিএনপির বর্তমান নেতৃত্বের মধ্যে সম্পুর্ণ অনুপস্থিত।বিএনপির সর্বোচ্চ নেতৃত্বে বর্তমানে একগাদা দুর্ণীতিবাজ ,মোসাহেব ও কর্মচারীসুলভ নেতার আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। মেধাবী রাজনীতিবিদদের জায়গা বিএনপিতে এখন আর অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। এর জন্য অবশ্য বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বই অনেকাংশে দায়ী বলে বেশিরভাগ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন । কারণ গত ২৪ বছরে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব দলের মধ্যে চিন্তাশীল , মেধা সম্পন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ধীরে ধীরে দল থেকে হয় বের করে দিয়েছে না হলে এমন ভাবে নিস্ক্রিয় করে রেখেছে যাতে দলে তাদের কাজ করার সুযোগই আর অবশিষ্ট নেই। তবে দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে মেধাহীন, মুর্খ, দুর্নীতিপরায়ন কর্মচারী মানষিকতার নেতৃত্বের অবস্থানের খেসারাত বিএনপিকে এখন রাজনৈতিকভাবে সুদে আসলে দিতে হচ্ছে।

একটি রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন সময়ে তার রাজনৈতিক কর্মসুচীর সফলতা এবং ব্যর্থতা নিয়ে যে বিশ্লেষণ করতে হয় যা তাকে ভবিষ্যত রাজনৈতিক কর্মসুচী নির্ধারণে সম্যক ধারণা প্রদান করে । বিএনপির মধ্যে এ ধরনের রাজনৈতিক বিশ্লেষনধর্মী কোনো কর্মকান্ড চালু আছে বলে আমরা শুনিনি। তার সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত হচ্ছে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরে বিএনপি দলের অভ্যন্তরে বা বাইরে আজ পর্যন্ত সাংগঠনিকভাবে আন্দোলনের সফলতা ও বিফলতার বিভিন্ন দিক নিয়ে কোনো আলোচনার উদ্যেগ গ্রহণ করেছে বলে শোনা যায়নি।

উপরন্তু গয়েশ্বর রায়ের মতো কিছু নেতৃবৃন্দ এমন সব বক্তব্য বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের কাছে রাখছেন যাতে মনে হচ্ছে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট তাদের কাছে গুরুত্বপুর্ণ নয়, তারা এখনও ব্যক্তিচর্চা ও দলের মধ্যে উপদলীয় স্বার্থ হাসিল করতে অধিক মনোযোগী।তবে এক্ষেত্রে প্রধাণ দায় অবশ্যি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কারণ এ ধরনের পরগাছা টাইপের গণবিচ্ছিন্ন নেতৃত্বের শক্তির একমাত্র উৎসই হচ্ছে ব্যক্তিতোষণ নীতি।

তবে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অনেকের মনে প্রশ্ন বিএনপি কি তাঁর নিজের রাজনৈতিক দর্শন অনুসরণ করছে , না পরিকল্পিত ভাবে তাঁর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দী কোনো দেশিবিদেশি শক্তি কতৃক সুক্ষভাবে পরিকল্পিত রাজনীতির ক্রীড়াণক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের কাছে প্রশ্নটি আরো বেশি করে ঘুরপাক খাচ্ছে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক সময়ে লন্ডনে অনুষ্ঠিত কয়েকটি সাংবাদিক সম্মেলনে জিয়া ও মুজিব সংক্রান্ত বিভিন্ন অহেতুক বিতর্ক উত্থাপনের মধ্যে দিয়ে।তাদের মতে দেশ ও দলের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটকালীন সময়ে তারেক রহমান এ থেকে উত্তরণের কোনো সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা না দিয়ে তিনি হঠাৎ করে এদেশের রাজনীতির এক স্পর্শকাতর ইস্যুর অবতারণা করে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অনিশ্চিত সময়ে কি ফায়দা লাভ করতে চাচ্ছেন ? শুধু তাঁরাই নয় বিএনপির ভিতরের ও বাইরের শুভানুধ্যায়ী অনেকের কাছেই তা স্পষ্ট নয়।

বর্তমান বিশ্ব ও আঞ্চলিক রাজনীতির যারা খবরাদি রাখেন এবং বিচার বিশ্লেষন করেন, তারা মনে করছেন তারেক রহমান নিজের অজান্তে অথবা সাময়িক ক্ষমতা লাভের মোহে আঞ্চলিক রাজনীতির ‘’প্রধাণ গেম প্লানারের খেলার গুটি’’ হিসেবে নিজে ব্যবহৃত হচ্ছেন।আর তার অংশ হিসেবে তিনি তাদের রাজনীতির সুদূরপ্রসারী ছক অনুসারে এ ধরনের একটি স্পর্শকাতর রাজনৈতিক ইস্যুতে নিজেকে জড়িয়ে ভবিষ্যত রাজনীতিতে নিজেকে অপাংক্তেয় করে চলেছেন।তারেক রহমান নিজে বুঝতেই পারছেন না , দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমাদের আঞ্চলিক মুরুব্বিরা একটি সুস্পষ্ট মেরুকরণ সৃষ্টি করতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু মাঝখানে জিয়াউর রহমানের মতো ধীশক্তি সম্পন্ন জাতীয়তাবাদী চেতনার অধিকারী রাষ্ট্রনায়কের জন্যে সাময়িকভাবে তা করতে তারা ব্যর্থ হয়ে ছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাবে তাদের সৃষ্ট মেরুকরনের রাজনীতির ফাঁদে পা দিয়ে ফেলে।অবাক বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করতে হয়, যে রাজনীতির উপর ভর করে বিএনপি একসময় দেশি বিদেশি বিভিন্ন মহলের আস্থা অর্জন করেছিলো ধীরে ধীরে সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে নিতে আজ একটি সংকীর্ণ মানষিকতায় বিশ্বাসী ক্ষুদ্র রাজনৈতিক গোষ্ঠির আশ্রয়দাতা হিসেবে নিজেকে দেশের চিন্তাশীল সমাজ ও বিদেশী বন্ধুদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে ।যা বর্তমানে দেশের ভিতরে ও বাহিরের বিএনপির রাজনৈতিক দর্শনের সাথে ঘনিষ্ট বন্ধুদের গভীর হতাশার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।ফলশ্রুতিতে বিএনপি এখন দেশের ভিতরে ও বাহিরে একটি মেরুদন্ডহীন ও বন্ধুহীন রাজনৈতিক দলে দিনে দিনে পরিণত হচ্ছে।যার প্রমাণ আমরা গত কয়েক মাসে বিএনপির নীরব রাজনৈতিক অবস্থানের মাধ্যমে আরো পরিস্কারভাবে পাচ্ছি।

গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের ধাক্কা বিএনপিকে এমনভাবে ম্রিয়মাণ করে ফেলেছে রাজনৈতিক দল হিসেবে ক্ষমতায় না গিয়েও যে অনেক জাতীয় গুরত্বপুর্ণ কাজ করা সম্ভব এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে সেই দায়িত্ব মনে হচ্ছে বিএনপি বেমালুম ভুলে গিয়েছে।কারণ তা না হলে একটি অবৈধ সরকার( বিএনপি দৃষ্টিতে)একের পর এক জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আর্থিক সিদ্ধান্ত ও বৈদেশিক চুক্তি সম্পাদন করে যাচ্ছে কিন্তু এ বিষয়ে বিএনপি সম্পুর্ণ নির্বিকার। একটি রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য কি শুধুই ক্ষমতায় যাওয়া ? না জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জনগণের মুখপাত্র হিসেবে কথা বলা এবং যে কোনো অন্যায্য সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোও রাজনৈতিক দল হিসেবে তাঁর দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে , যার কোনোটাই বিএনপি এই মুহুর্তে করছে না।

জনগণের আস্থা বহির্ভুত সরকার যখন কোনো বড় ধরনের আর্থিক বৈদেশিক চুক্তি সম্পাদন করে সেখানে জাতীয় স্বার্থহানি হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা থাকে যা বর্তমান সরকার কতৃক বিভিন্ন চুক্তির মাধ্যমে ঘটার শতভাগ আশাংকা রয়েছে। যা বর্তমানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন গণবিচ্ছিন্ন সরকার কতৃক প্রতিনিয়ত সংঘটিত হচ্ছে । উদাহরণ স্বরূপ সম্প্রতি চীনের এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেজর ব্রিজ কোম্পানীকে পদ্মা সেতুর মুল অংশের টেন্ডারের কাজ প্রদানের সরকারি সিদ্ধান্ত ও চুক্তি , বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানের জন্য চীনের সাথে চুক্তি ও জাপানের সাথে আর্থিক চুক্তি সম্পাদন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।একটি তথাকথিত ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হয়েছে সেই সরকার একের পর এক জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ আর্থিক চুক্তি সম্পাদন করে যাচ্ছে তাতে দেশের স্বার্থ কি পরিমাণ ক্ষুন্ন হচ্ছে তা নিয়ে দেশের অন্যতম প্রধাণ জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপি টু শব্দটি পর্যন্ত করবে না , এর চেয়ে বড় রাজনৈতিক ব্যর্থতা আর দ্বিতীয়টি হতে পারে না।একে শুধু ব্যর্থতা বললেও কম বলা হবে এটা অনেকটা বিএনপির চরম রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ।

প্রশ্ন হচ্ছে , বিএনপি কেন এসব বিষয়ে একদম চুপ করে আছে ? এটা কি বিদেশি রাষ্ট্রগুলিকে তোষণ করে ক্ষমতায় যাওয়ার তীব্র মোহ ।তবে যাই হোক এই নীরবতা জাতীয়তাবাদী চেতনার ফেড়িওয়ালা হিসেবে নিজেকে জাহিরকারী বিএনপিকে দেশের বেশিরভাগ বিবেকবোধ সম্পন্ন নাগরিকের নিকট প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এক্ষেত্রে বিএনপির উচিৎ ছিল সকল বৈদেশিক মিশন গুলোকে এক সংগে ডেকে একটি অনির্বাচিত সরকারের সাথে চুক্তি করার আগে বাংলাদেশের বর্তমান স্থবির রাজনৈতিক অবস্থাকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিতে আহবান জানানো। সাথে সাথে তাদের এ বিষয়টি তাদের পরিস্কারভাবে স্মরণ করিয়ে দেয়া রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির প্রথম দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে দেশ ও জাতির সর্বোচ্চ স্বার্থ যাতে সংরক্ষিত হয় সেই দিকে নজর দেয়া।তাই বাংলাদেশের সকল বন্ধু রাষ্ট্রের এ ধরনের একটি অনির্বাচিত সরকারের সাথে কোনো ধরনের আর্থিক চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া মোটেই সমীচীন নয়, কারণ যে সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না তাদের দ্বারা দেশের স্বার্থ ক্ষুন্ন হওয়ার আশাংকা সবসময় বিদ্যমান।তাই ভবিষ্যতে এ ধরনের চুক্তি করার মধ্যে দিয়ে যাতে আমাদের কোনো বন্ধুরাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হোক বিএনপি তা প্রত্যাশা করে না ।জনগণের দল হিসেবে বিএনপি যদি এই ধরনের পরিস্কার রাজনৈতিক অবস্থান বন্ধু রাষ্ট্র সমুহকে জানিয়ে দিত তা একটি জাতীয়তাবাদী আদর্শের শক্তি হিসেবে দেশের মানুষসহ বিদেশী রাষ্ট্র সমুহের কাছে বিএনপির ভাবমুর্তি উজ্জ্বল হতো বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল বিশ্বাস করেন।

বিএনপিকে মনে রাখতে হবে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ধারক ও বাহক হিসেবে সর্বপ্রথম দেশের স্বার্থ রক্ষাই হতে হবে রাজনৈতিক দল হিসেবে তাঁর প্রধাণ এবং অন্যতম মুলনীতি। কারণ জনগণের ও রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার আন্দোলনের মধ্যেই একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির মৌলিক শক্তি নিহিত।এই আদর্শ থেকে যখনি বিএনপি বিচ্যুত হবে তখনই রাজনৈতিক দল হিসেবে তাকে গভীর সংকটে পতিত হতে হবে।যে সমস্যা এই মুহুর্তে বিএনপির সামনে বিদ্যমান। আমরা সকলেই অবগত আছি গত কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের দক্ষিন-পুর্বসীমান্ত এলাকা নাইক্ষংছড়িতে মায়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি’র সাথে আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি’র এক সংক্ষিপ্ত যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি হয় যাতে মিজানুর রহমান নামে এক সিপাহী শহীদ হন।যা আমাদের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত স্বরূপ , কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি রাজনৈতিক দল হিসেবে এ বিষয়ে বিএনপি’র যে কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা দরকার ছিলো তা সে করতে ব্যর্থ হয়েছে।শুধু তাই না আজ পর্যন্ত বিএনপি’র কোনো প্রতিনিধিদল আমাদের বীর সৈনিক শহীদ মিজানুর রহমানের পরিবারের প্রতি সহানুভুতি জানাতে প্রেরণ করা হয়নি।একটি জাতীয়তাবাদী চেতনার রাজনৈতিক দল হিসেবে এটা বিএনপি’র অন্যতম প্রধান দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।তাছাড়া বিএনপি’র মায়ানমারের রাষ্ট্রদুতকে ডেকে অথবা দল থেকে একটি উচ্চক্ষমচতা সম্পন্ন প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রদুতের কার্যালয়ে পাঠিয়ে নাইক্ষংছড়িতে সংগঠিত ঘটনার কঠোর প্রতিবাদ জানানো উচিৎ ছিলো।কিন্তু বিএনপি সেই দায়িত্ব পালন করতে পরিপুর্নভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এক্ষেত্রে বিএনপির অনেক শুভানুধ্যায়ীরা মনে করেন বিএনপি’র বৈদেশিক সেলে দীর্ঘদিন যাবৎ যারা জড়িত আছেন ,তারা সম্পুর্ণ রূপে ব্যর্থ।তাদের অযোগ্যতায় বিএনপি এখন বৈদেশিক রাষ্ট্রসমুহের সাথে আগে যে বন্ধুত্ব বিদ্যমান ছিলো তা এখন অনেকটাই হুমকির সম্মুখীন।সুতরাং সময় এসেছে বিএনপিকে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থের উর্দ্ধে উঠে মুর্খ ও মোসাহেবদের বাদ দিয়ে মেধাবী নেতৃত্বের মাধ্যমে রাজনৈতিক কর্মপরিকল্পনা নির্ধারন করা অন্যথায় বিএনপিকে একদিন রাজনীতির অন্ধকার চোরাগলিতে হারিয়ে যেতে হবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

কীর্তনখোলা তীরে বলেছেন: বিএনপিকে মনে রাখতে হবে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ধারক ও বাহক হিসেবে সর্বপ্রথম দেশের স্বার্থ রক্ষাই হতে হবে রাজনৈতিক দল হিসেবে তাঁর প্রধাণ এবং অন্যতম মুলনীতি। কারণ জনগণের ও রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার আন্দোলনের মধ্যেই একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির মৌলিক শক্তি নিহিত।এই আদর্শ থেকে যখনি বিএনপি বিচ্যুত হবে তখনই রাজনৈতিক দল হিসেবে তাকে গভীর সংকটে পতিত হতে হবে।যে সমস্যা এই মুহুর্তে বিএনপির সামনে বিদ্যমান। ---আমি লেখকের সাথে সম্পুর্ণ একমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.