![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাম্প্রতিক সময়ে সারাবিশ্বে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক জুলিয়ান এসানজের প্রতিষ্ঠিত 'উইকিলিকস'।বিশ্ব মোড়ল মার্কিন যুক্ত্ররাষ্ট্রের বৈদেশিক দুতাবাস গুলো থেকে স্টেট ডিপার্টমেন্টকে পাঠানো বার্তাগুলো বিভিন্ন মিডিয়া কাছে ফাঁস করে দিয়ে একবিংশ শতাব্দীতে সাধারণ জনগণের তথ্য জানার সীমা নিয়ে ‘রাষ্ট্র বনাম জনগণের তথ্য অধিকার’দুই পক্ষকে মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিয়েছে।
আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় সেটা নয় ।উইকিলিকসের ঘটনা উল্লেখ করার কারণ হচ্ছে ‘এতবড় ইস্যু যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য নিরাপত্তা তথা সামরিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে পেন্টাগনের আমলাতান্ত্রিক সামরিক অহংকার ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে তার পরেও কিন্তু মার্কিন প্রশাসন কোনো মিডিয়াকে উইকিলিকসের প্রকাশিত বার্তা প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি।
অথচ একই গোলার্ধে বসবাস করেও একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে যখন কিনা প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখে ডিজিটাল যোগাযোগ মাধ্যমের উন্নয়নের গল্প শুনতে শুনতে সবার কান ঝালাপালা হবার যোগাড়, ঠিক সেই সময় আমাদের শুনতে হচ্ছে বিএনপি’র অন্যতম প্রধান নেতা তার কোনো বক্তব্য কোনো গণমাধ্যম এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও প্রকাশ করা যাবে না।একজন ফাসিঁর ( যদিও তিনি এখন রাষ্ট্রপতি কতৃক ক্ষমাপ্রাপ্ত, অন্য মামলায় যাবজ্জীবন সাজা খাটছেন ) আসামী জেলখানায় বসে তার অনেক ''সাধের বাসর ঘর দেড় ঘন্টা ধরে উপভোগ করছেন'' বলে মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। অথচ এই খবর সংবিধানের শপথ নেয়া বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ দায়ি্ত্বশীলদের দৃষ্টিগোচর হয়নি।অথবা একজন নাগরিকের নববিবাহিত স্ত্রীর প্রতি দায়িত্ব পালন করার মানবিকাধিকারের বিষয়টি ভেবে সাজাপ্রাপ্ত আসামীও হয়তবা বিশেষ প্রিভিলেজ পেয়েছেন।
সংবিধান একজন নাগরিককে কি কি অধিকার দিয়েছে্ন তা আমাদের মতো সাধারণ মানুষ সবটা না বুঝলেও অন্তত এইটুকু বুঝি প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক অধিকার, নাগরিক অধিকা্র কোনো আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত কিংবা দেশের সার্বভৌম বা স্বাধীনতা বিরোধী কথা না বলে থাকলে , তা প্রকাশে বাধা দেয়া যাবে না । তা ছাড়া খবর প্রকাশ করা গণমাধ্যমের দায়িত্ব ও কাজ,তাই প্রকাশের রসদই ফরমালিন আক্রান্ত এই অভিযোগে কেড়ে নেয়া হয়, তাহলেতো খুন ধর্ষন, রাস্তা,ব্রিজ টয়লেট চালুর ছবি প্রকাশ করে একসময় এই শিল্প বেকার হয়ে পড়বে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ,একজন খুনের আসামীও তার মনের কথা বলতে পারে্ন এবং তা প্রকাশেও কোনো বাধা থাকে না।
একজন রাজনৈতিক নেতা রাজনৈতিক বক্তব্য দিবেন এটাইতো স্বাভাবিক।তিনি তো আর নাটক সিনেমার কাহিনী বলবেন না।তিনি তো তাঁর কর্মিদের বলবেনই ''আন্দোলনে সবাইকে রাজপথে থাকতে হবে, সরকারকে না হটানো পর্যন্ত রাজপথে ছাড়ব না '' এগুলো তো গতানুগতিক রাজনৈতিক বক্তব্য। ইতিপুর্বে আমরা তো দেখেছি আওয়ামী লীগের এক নেতা বঙ্গভবনে অক্সিজেন পর্যন্ত বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিলেন।তাছাড়া ‘সরকার আইন মোতাবেক সরকার’ কিন্তু নৈতিক দৃষ্টিতে কেউ যদি এটাকে অবৈধ সরকার বলতেই পারেন, এটা নাগরিক হিসেবে তার অধিকার।আইন করে কারো মতপ্রকাশের অধিকার কেড়ে নেয়ার মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হলে নাগরিক হিসেবে কোনো অধিকারই আর থাকবে না। তাহলে আর গণতন্ত্রের কি কোনো বাস্তবিক অর্থে কোনো কাজই থাকে না । গণতন্ত্র নামক এই বিমূর্ত প্রক্রিয়াকে আমরা জাতীয় যাদুঘরে পাঠিয়ে দিলেই সব ল্যঠা চুকেবুকে যায়। তাই আমাদের মতো সকল সাধারণ জনগণ মতপ্রকাশের বিষয়ে বর্তমান সিদ্ধান্ত পুনঃর্বিবেচনা করা হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৯
মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: আমি আপনার সাথে সহমত পোষন করছি।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪
নিলু বলেছেন: মত প্রকাশ হতে হবে নিরেপেক্ষ বা কাউকে একতরফা ভাবে আক্রমণ নয় , ভালো / মন্দ নিয়ে মত দিতে হবে , দল করি বলে তার দলের পক্ষে ভালো লিখে যাবে তা নয় নিচ্চয় , তার মন্দ দিকও তুলে ধরতে হবে তাতে দলের বিপক্ষেও যেতে পারে । এসবে আমরা একমত পোষণ করে , আসুন দাবী করি মত প্রকাসে স্বাধীনতার ।