![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ষক তার শারীরিক ক্ষুধা মেটানোর জন্য নারীর শরীরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।নারীর সমস্ত শরীর দুমরে-মুচরে চিবিয়ে খেতে চায়।এটা কিন্তু ধর্ষকের বিকৃত মামসিকতার বহিঃপ্রকাশ।তবে মানুষের ধর্ষন মানসিকতা সম্ভবত তার জিনগত সমস্যা।কথাটি আমার বেশি করে মনে হয়েছে কাপ্তাই লেক দিয়ে শুভলং যাওয়ার পথে।একদিকে হ্রদের দুপাশের পাহাড়ী মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য আমাকে বিমোহিত করছিলো আবার সাথে সাথে মনে পড়ছিল প্রকৃতির উপর কি ভয়ানক ধর্ষন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গড়ে উঠেছে এই কাপ্তাই লেক সেই নির্মম ইতিহাস।দুই পাশের ভগ্নপ্রায় পাহাড় গুলো যেনো মানবসৃষ্ট ধর্ষনের সেই করুণ সাক্ষী।কাপ্তাই লেক দেখতে আসা হাজারো পর্যটক যখন এর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে প্রিয় মানুষের কাঁধে হাত রাখে তখন কি তারা লেক তৈরির ফলে ঘরছাড়া লাখ লাখ পাহাড়ীর দীর্ঘঃনিশ্বাসের শব্দ শুনতে পান ? সম্ভবত না।কারণ আমাদের ধর্ষন মানসিকতা । আমরা সবাই অন্যের ধবংশের মাঝে আনন্দ খুঁজে পাই।তেমনি প্রকৃতি ধংশের এই নির্মমতার মাঝেও আমরা সৌন্দর্য খুঁজে পাই।সত্যিই অদ্ভুত আমাদের সৌন্দর্য পিয়াসু মন।
অথচ এই কাপ্তাই লেক নির্মানের ফলে ডুবে যায় পাহাড়ের সবচেয়ে উর্বর জমিগুলো। উচ্ছেদের শিকার হয় লাখো মানুষ। পাহাড়ের জনপদে নেমে আসে এক মানবিক বিপর্যয়। পানিতে তলিয়ে যায় অনেক জনপদ, নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় একটি সভ্যতা। তিল তিল করে গড়ে ওঠা পার্বত্য এলাকার পাহাড়ি মানুষের জীবন জলের নিচে হারিয়ে যায়। প্রায় ৫৪ হাজার একর উর্বর ফসলি জমি বাঁধের ফলে সৃষ্ট কৃত্রিম হ্রদে নিমজ্জিত হয়ে যায়। রাঙ্গামাটির মূল শহরটি পানিতে ডুবে যায়।
তরুণ চাকমা কবি ফেলাজিয়া চাকমা তার ‘কিজিঙৎ পূগ বেল’ কবিতায় যেনো পাহাড়ী সেইসব বাস্তুচ্যুত মানুষদের কথাই উঠে এসেছে, ’ বাংলায়
‘এই পানি পনি নয়, এই পানি চোখের পানি তোমার আমার,
এই দেশের লাখো লাখো মানুষের দুঃখের সাগর ..
আহ! যা ছিল তোমার আমার কোনো এক কালে/
আজ সব গেল পানির তলে।
(ধর্ষকের বিচার হয়, কিন্তু রাষ্ট্র যখন প্রকৃতি ধর্ষনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় তখন তাকেও বিচারের আওতায় আনা উচিৎ , অন্যথ্যায় মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়।কাপ্তাই বাঁধের কারণে সৃষ্ট যে হ্রদ, সে হ্রদে নিমজ্জিত যে সভ্যতা, তার দীর্ঘশ্বাস লাঘবে রাষ্ট্রকে আরো আন্তরিক হতে হবে। কারণ এ হ্রদের পানি নিছক নীলাভ পানি নয়, এ পানি সেখানকার পাহাড়ি মানুষের চোখের পানি। রাষ্ট্রকে মনে রাখতে হবে, এ অশ্রুজল প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে শুধু কাঁদিয়ে যায় না; বিদ্রোহীও করে তোলে।)
Photo credi: Me
Rangamati
২০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮
মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: আপনি লেখাটি না পড়েই মন্তব্য ছুরে দিলেন। আমি কোথাও লিখিনি সভ্যতা ধংশ করে কাপ্তাই লেক তৈরি করেছে, আমি বলেছি ''প্রকৃতি ধংশ করে মানুষ কাপ্তাই লেক তৈরি করেছে''। না পড়ে আন্দাজে মন্তব্য না করাই ভালো ভিটামিন সি।
২| ২১ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭
ভিটামিন সি বলেছেন: দাদা আমি না পড়ে কোন মন্তব্য করি নাই। পুরোটাই পড়েছি। আপনার শিরোণাম আর পোষ্টের বিষয়বস্তু এক না। যদিও একটু নতুনত্বের মাধ্যমে আপনি উপস্থাপন করতে চেয়েছেন। এমন শব্দের ব্যবহার করেছেন শিরোনামে, যাতে করে আপনার পোষ্ট হিট হয়।
আপনি সভ্যতা ধ্বংসের কথা বলেছেন, আমি আপনার লেখা থেকে কোট করে দিচ্ছি, পড়ে দেখুনঃ- " কাপ্তাই লেক নির্মানের ফলে ডুবে যায় পাহাড়ের সবচেয়ে উর্বর জমিগুলো। উচ্ছেদের শিকার হয় লাখো মানুষ। পাহাড়ের জনপদে নেমে আসে এক মানবিক বিপর্যয়। পানিতে তলিয়ে যায় অনেক জনপদ, নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় একটিসভ্যতা। কাপ্তাই বাঁধের কারণে সৃষ্ট যে হ্রদ, সে হ্রদে নিমজ্জিত যে সভ্যতা, তার দীর্ঘশ্বাস লাঘবে রাষ্ট্রকে আরো আন্তরিক হতে হবে।
দাদা, আপনি কি লিখেছেন, আপনার নিজেরই মনে নেই। আপনার কাপ্তাই লেক পরিভ্রমন ছবি পোষ্টে দিবেন ভালো কথা, সেটি ভ্রমন পোষ্ট বা ছবি পোষ্ট দেন। ধর্ষণ পোষ্ট কেন গো দাদা?
আরেকটু বলি, আপনার লেখা অনুসারে, কাপ্তাই লেক নির্মানের ফলে লাখ লাখ পাহাড়ি বাস্তুচ্যুত হয়। দাদা যতদুর জানি কাপ্তাই লেক মানুষের বানানো না। কাপ্তাই লেকের বাধ মানুষের বানানো আর লেকটা প্রাকৃতিক। তো লাখ লাখ পাহাড়ি কি এই লেকের পানিতে বাস করতো? আচ্ছা ধরলাম করতো, তাহলে এই লাখ লাখ লোক যেখানে বাস করে সেটা কি একটা সভ্যতা নয়? তাহলে সভ্যতা কাকে বলে? যতদুর জানি পুরা পার্বত্য তিন জেলায়ও মোট লাখ লাখ ( লাখ গুনন লাখ) লোক হবে না। ১৯৫৬ সালে যখন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয় তখন পূর্ব পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যা কত ছিল তা হিসাব করলেওও লাখ লাখ হবে না।
২১ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩
মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: শিরোনামটি ব্যবহার করা হয়েছে প্রতীকী অর্থে। প্রকৃতি ধংশ কি ধর্ষনের চাইতেও বড় অপরাধ নয়। আমি মানুষের মধ্যে যে ধংশ করার মানসিকতা বিদ্যমান তাই বুঝাতে চেয়েছি। লাখ লাখ বলে কি আমি খুব বেশি ভুল করেছি।১৯৬২ সালে যদি ৫০০০০হাজার লোক ঘরছাড়া হয় তবে কি ২০১৫ সালে সেই জনসংখ্যা সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে ? না তাদের বংশ বৃদ্ধি ঘটেছে।আপনি আসলে লেখার স্পিরিটই বুঝতে পারেননি। আপনাকে বলছি আজকের পার্বত্য সমস্যার মুলে কিন্তু কাপ্তাই বাঁধ। টিপাইমুখে যখন বাঁধ দেয় তখন এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আমরা মুখে ফেনা তুলি, ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে বাংলাদেশ যে খড়ার দেশে পরিণত হচ্ছি ।তখন আমাদের খারাপ লাগে।অথচ পার্বত্য এলাকার মানুষ কেন ঘরছাড়া হয় তখন তার বিপক্ষে বিভিন্ন যুক্তি প্রদর্শন করি। আমার লেখাটি সেইসব পার্বত্য এলাকার মানুষের প্রতি সংবেদনশীলতার নামান্তর মাত্র।তবে আপনার মত জ্ঞাণী মানুষের জন্য লেখাটি নয়।
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:৪৮
ভিটামিন সি বলেছেন: বাল্পোষ্ট।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২
ভিটামিন সি বলেছেন: কাপ্তাই লেক মানুষ সভ্যতা ধ্বংস করে বানাইছে!! এই প্রথম শুনলাম।
দাদা ঘরের জিনিস বাজারে ছেড়ে দিলেন?