![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি দেশের সবচেয়ে উৎপাদনশীলখাত হচ্ছে শিক্ষাখাত।আর শিক্ষকরা হছেন সেই উন্নতমানের প্রোডাক্ট তৈরি করার প্রধান কারিগর। আমরা যদি বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানিখাত গার্মেন্টস শিল্পের দিকে দৃষ্টি দেই তবে দেখব সেখনে একজন দক্ষ টেকনিশিয়ানের বেতন অনেক ক্ষেত্রে মালিকের প্রাপ্তভাতার চেয়েও অনেক বেশি।বিশেষকরে যেসব সিনিয়র মার্চেন্ডাইজার নিজস্ব ক্রেতা নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের ক্ষেত্রে কোম্পানীর কোনো প্রচলিত বেতন ভাতার নিয়মনীতি প্রযোজ্য নয়।
আর এটা হওয়া কিন্তু অত্যন্ত বাস্তবসম্মতও বটে।দুনিয়ার তাবৎ উৎপাদনশীল সেক্টরের ক্ষেত্রে এ কথা প্রযোজ্য। তাইতো আমরা দেখি পৃথিবীর উন্নত দেশে এমনকি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা সবখানেই শিক্ষকদের বেতন সবচেয়ে বেশি। ভারতে একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক চাকরীর শুরুতেই ২০০০০ রুপি বেতন পেয়ে থাকেন। শুধু তাই না এই মুহুর্তে ভারতের মূখ্যসচিব বেতন পান ৯৬০০০ রুপি পক্ষাওন্তরে একজন বিশবিদ্যালয়ের শিক্ষক বেতন পান ১ লাখ ৩৫ হাজার রুপি।অথচ বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতন স্কেল সরকারের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের তুলনায় দুইধাপ নীচে। এই পরিস্থিতিতে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের পক্ষে বাস্তবিক অর্থে শিক্ষাকার্যক্রমে মনোনিবেশ করা কি আদৌ সম্ভব ? বেতন স্কেলকে শুধু আর্থিক মাণদন্ড দিয়ে বিচার করলে চলবে না , এটা সামাজিক মর্যাদার অনুঘটক হিসেবেও বহুলভাবে বিবেচিত।
অতএব অবিলম্বে সরকারের শিক্ষকদের বেতন স্কেল পূনঃর্বিবেচনা করা উচিৎ।
©somewhere in net ltd.