নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৈয়দ মহসীন আলীর সাথে আমরা অনেক অবিচার করেছি।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫০

প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মুসা মৃত্যুবরন করেছেন কয়েক বছর হলো। আমার একটি অভ্যাস হচ্ছে দেশের এই ধরনের প্রবীণ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্বদের যেকোনো কথা আগ্রহভরে শোনা ও লেখা খুব মনো্যোগ সহকারে পড়া। এর পিছনে যুক্তি হচ্ছে এদের অভিজ্ঞতালব্দ কথাতো আমরা খুব বেশিদিন শুনতে বা পড়তে পারব না। তার অংশ হিসেবে একদিন আমি চ্যানেল আইতে প্রতিদিনের প্রখ্যাত সাংবাদিক মতিউর রহমানের উপস্থাপনায় আজকের সংবাদ পত্র অনুষ্ঠানে এবিএম মুসা সাহেবের আলোচনা শুনছি।সেই সময় তৎকালীন খাদ্য ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী চালের দামের বৃদ্ধি সম্পর্কে একটি বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন। সঞ্চালক সেই বিষয়ে এবিএম মুসার মন্তব্য জানতে চাইলেন।তার উত্তরে মুসা সাহেব বললেন , দেখো রাজনীতিবিদদের মধ্যে সৎ হিসেবে যারা পরিচিত তাদের মধ্যে রাজ্জাক একজন। তাকে আমি স্নেহ করি। তার বিষয়ে সমালোচনা করতে আমার কষ্ট হয়।তাঁর এই কথার মধ্যেই প্রকাশিত হয় তিনি শুধু বড় মাপের সাংবাদিকই ছিলেন না, একজন বড় মনের অধিকারী মানুষ।সত্যিই তো একজন সৎ ও জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ বেশিরভাগ সময় দূর্ণীতিবাজ রাজনীতিবিদদের মতো সাংবাদ কর্মীদের তোষণে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন না। কারণ তার প্রধান শক্তি যেহেতু জনগণ তাই তাদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে বেশি ভাবেন।কিন্তু এইসব রাজনীতিবি্দরা সমস্যায় পড়েন নীতিহীন কিছু সংবাদ কর্মীর জন্যে। যার সর্বশেষ শিকার হচ্ছেন জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সদ্য প্রয়াত সমাজকল্যান মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী।এর পিছনে অবশ্য কেন্দ্রীয় রাজনীতির সিন্ডিকেটও অনেকক্ষেত্রে দায়ী।
রাজনীতিবিদরা যেহেতু অন্য যেকোনো পেশাজীবীদের তুলনায় নিঃসন্দেহে দেশের জনগণের জন্যে বেশি কাজ করেন তাই সাংবাদিকদের একটি দর্শন অন্ততপক্ষে অনুসরণ করা উচিৎ ,তা হচ্ছে কোনো সৎ ও জনদরদী নেতাকে অন্তত 'টার্গেট নিউজে' পরিণত করবেন না।রাজনীতি করলেও তারাও মানুষ, তাই অনেক সময় তাদের শিশুসুলভ মন জেগে উঠতে পারে। তাই এধরনের সৎ নেতৃত্বকে ছোটখাটো বিষয়ে বিতর্কিত করবেন না। তাতে বরং সাধারণ মানুষই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ তারাতো আর আপনাদের মতো তারকাখচিত নেতৃত্বের কাছাকাছি যেতে পারেন না।
আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে , সৈয়দ মহসীন আলীর সাথে আমরা অনেক অবিচার করেছি।
তার মত সহজ সরল রাজনীতিবিদের মৃত্যু আমাকে সত্যিই ব্যথিত করেছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এটা তাঁরই দোষ ছিল। তিনি প্রকাশ্যে সিগারেট খেয়ে, বেসুরো গলায় গান গেয়ে, মিটিং-এ ঘুমিয়ে পড়ে যেমন প্রগতিশীল সাংবাদিকদের টার্গেটে পরিণত হয়েছিলেন, আবার বোরকা নিয়ে, মাদ্রাসা নিয়ে বাজে মন্তব্য করে ডানপন্থী সাংবাদিকদেরও টার্গেটে পড়েছিলেন। এ দেশে ড. ইউনুস, কামাল হোসেনরাও ইজ্জত পায় না......

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯

মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: ড. ইউনুস এবং ড.কামাল হোসেন ইজ্জত পাননা এটাতো জাতি হিসেবে আমাদের চরম ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই না।সাংবাদিকরা তখনই কাউকে টার্গেট করে যখন তাদের বিশেষ কোনো এজেন্ডা থাকে। যেমন ড.ইউনুস ও ড. কামালকে অপদস্ত করার জন্যে দেশে কিছু সাংবাদিক আছেন যাদের কাজই হচ্ছে যেকোনোভাবেই হোকনা কেন এই বরেন্য ব্যক্তিদের বিতর্কিত হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরা। সেটা যেমন অনৈতিক তেমনি কাউকে বিশেষভাবে হিউমিলেট করার উদ্দেশে সংবাদ প্রকাশ করাও অনৈতিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.