![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পরেও দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উচিৎ অপরাধচক্রকে খুঁজে বের করার সাথে সাথে সংঘটিত অপরাধের ধারাবাহিকতায় যে কাউকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জন্যে যাবতীয় প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়ার পরে মাত্র একদিনের মাথায় রেজাল্ট ঘোষণা বিষয়টিকে আরো প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।প্রশ্নপত্র ফাঁস একটি গুরুতর অপরাধ। আবার এরকম একটি গুরুতর অপরাধকে আমলে না নিয়ে তাড়াহুড়া করে রেজাল্ট ঘোষণা সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার অপপ্রয়াস । প্রশ্নপত্র ফাঁসের মত জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কারো ব্যক্তিগত সমস্যা হিসেবে না দেখে সামগ্রিকভাবে আমাদের দেশের বর্তমান সকল রাষ্ট্রীয় প্রাতিষ্ঠানিক দূর্বলতা হিসেবে দেখা উচিৎ।কারণ এর সাথে দেশের মানুষের ব্যক্তিগত বিশ্বাস , অবিশ্বাসের প্রশ্ন জড়িত। যার অভাবে পুরো জাতি আজ এক চরম আস্থার সংকটে ভূগছে। আর যেকোনো পাবলিক পরীক্ষার সাথে যেহেতু সাধারণ মানুষের আশা , আকাঙ্ক্ষা , স্বপ্ন জড়িত তাই কোনো ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক লুকোচুরি বা চালাকি সন্দেহকে আরো দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর করে।
এধরনের পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানকে জনগণের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার অংশ হিসেবে প্রয়োজনবোধে ১০বার পরীক্ষা নিতে হবে। তারপরেও সন্দেহ দূর করতে হবে। কারণ আমাদের জাতিয় জীবনে বিশ্বাসের ঘাটতি এমন আকার ধারণ করেছে যা রীতিমত দূর্ভিক্ষে রুপ নিয়েছে।তাই বিশ্বাস অর্জনের জন্যে আমাদের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী।
©somewhere in net ltd.